আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২ আগস্ট রংপুরে আসছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি রংপুর জিলা স্কুলমাঠে রংপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তৃতা করবেন। এ নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে রংপুরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি। দিনভর চলছে প্রচার-প্রচারণা।
প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভাকে পিছিয়ে পড়া রংপুরের জন্য বেশ ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন রংপুরের মানুষ। ব্যাপক আশায় বুক বেঁধে অধীর আগ্রহে অপেক্ষার প্রহর গুণছে রংপুরের মানুষ। বিশেষ করে তিস্তা পাড়ের মানুষ এবং তিস্তা নদী নিয়ে যারা আন্দোলন করে আসছেন, তাদের আশা রংপুরের পূত্রবধূ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুরের জনসভায় বহুল প্রতিক্ষীত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিয়ে নিশ্চয়ই কোনো সুখবর দেবেন। কারণ, তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা না পাওয়ায় তিস্তা এখন এ অঞ্চলের মানুষের দুঃখ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবছর বন্যা এবং খরায় তিস্তা পাড়ের মানুষের দুঃখ-কষ্ট ক্রমান্বয়ে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। একমাত্র তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নই পারে তিস্তার দুই পাড়ের লাখ লাখ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করতে। এই মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হলে তিস্তাপাড়ের মানুষের পানির জন্য অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না। সেই সঙ্গে পাল্টে যাবে দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা।

তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী বলেন, ভারত আন্তর্জাতিক নদী আইন লঙ্ঘন করে একতরফাভাবে তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪টি নদীর পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। ভারত তিস্তার উজানে গজলডোবায় বাঁধ দিয়ে পানি প্রত্যাহার করে নেয়ার কারণে আমাদের উত্তরাঞ্চল আজ মরুভূমির হওয়ার পথে। বর্তমানে আবার ভারত নতুন দুটি খাল খনন করে তিস্তার পানি প্রত্যাহারের পাঁয়তারা করছে। তাদের পানি আগ্রাসনের কারণে আমাদের প্রাণ-প্রকৃতি এবং পরিবেশ বিপন্ন।

২ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর আগমনে খবর পৌঁছে গেছে তিস্তার প্রত্যন্ত চরাঞ্চলেও। চরম দুর্ভোগে থাকা পরিবারগুলো আশায় বুক বেঁধে আছেন। দীর্ঘদিন পর প্রধানমন্ত্রীর রংপুরে আগমনে এ অঞ্চলের মানুষ অনেক আশায় বুক বেঁধে আছেন। এবার হয়তো রংপুরের পুত্রবধূ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বহুল প্রতিক্ষিত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ঘোষণা দেবেন।