ত্যাগ চাই মর্সিয়া ক্রন্দন চাহি না
২৭ জুলাই ২০২৩, ১১:২৭ পিএম | আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২৩, ১২:০১ এএম
ত্যাগ, সহমর্মিতা, সাহায্য, সহানুভূতি ও পরোপকারই হলো মাহে মুহাররমরের একান্ত বৈশিষ্ট্য। এই গুনাবলী হতে নিজের হস্ত ও মনকে গুঁটিয়ে রাখা স্বহস্তে নিজেদেরকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়ারই শামিল। আল্ কুরআনে এই দিকনির্দেশনাই প্রদান করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে : ‘আর তোমরা আল্লাহর পথে ব্যয় কর এবং স্বহস্তে নিজেদেরকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়ো না। আর তোমরা ইহসান কর। নিশ্চয় আল্লাহ মুহমিনদের ভালোবাসেন’। (সূরা আল বাকারাহ : আয়াত ১৯৫)।
এই আয়াতে কারীমায় স্বেচ্ছায় নিজেদেরকে ধ্বংসের মুখে নিক্ষেপ করতে নিষেধ করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো যে, এক্ষেত্রে ধ্বংসের মুখে নিক্ষেপ করা বলতে কি বোঝানো হয়েছে? এ প্রসঙ্গে মুফাসসিরগণ বিভিন্ন অভিমত ব্যক্ত করেছেন। যেমনÑ ১. হযরত আবু আইয়্যুব আনসারী (রা:) বলেন, ‘এই আয়াত আমাদের সম্পর্কেই নাযিল হয়েছে। আমরা এর ব্যাখা উত্তমরূপেই জানি। কথা হলো এই যে, আল্লাহ তায়ালা ইসলামকে যখন বিজয়ী ও সুপ্রতিষ্ঠিত করলেন, তখন আমাদের মধ্যে আলোচনা হলো যে, এখন আর জিহাদে কি প্রয়োজন? এখন আমরা আপন গৃহে অবস্থান করে বিষয়-সম্পত্তির দেখা শোনা করব। এ প্রসঙ্গেই উপরোক্ত আয়াতটি নাযিল হয়েছে। (সুনানে আবু দাউদ : ২৫১২ ; জামেয়া তিরমিজি : ২৯৭২)। এতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে ধ্বংসের দ্বারা এখানে জিহাদ পরিত্যাগ করাকেই বোঝানো হয়েছে। এর দ্বারা প্রমাণিত হচ্ছে যে, জিহাদ পরিত্যাগ করা মুসলিমদের জন্য ধ্বংসেরই কারণ। সে জন্যই হযরত আবু আইয়্যুব আনসারী (রা:) সারা জীবনে জিহাদই করে গেছেন। শেষ পর্যন্ত ইস্তামবুলে শাহাদাত বরণ করে সেখানেই সমাহিত হন। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:), হযরত হুযায়ফা (রা:), হযরত কাতাদাহ (রাহ.) এবং হযরত মুজাহিদ (রাহ.) ও হযরত দাওহাক (রাহ.) প্রমুখ তাফসির শাস্ত্রের ইমানগণের কাছ থেকেও এরূপই বর্ণিত হয়েছে। (আল কুরআনুল কারীম : তরজাম, মায়ানি ও তাফসির : ১/১৮১)
২. হযরত বারা ইবনে আযেব ও হযরত নুসাল ইবনে বশীর (রা:) বলেছেন : পাপের কারণে আল্লাহর রহমত ও মাগফেরাত হতে নিরাশ হওয়াও নিজ হতে নিজেকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়ার নামান্তর। (মাজমাউয যাওয়াইদ : ৬/৩১৭)। এজন্যই মাগফেরাত থেকে নিরাশ হওয়া হারাম। ইমাম জাসসাস (রহ:)-এর ভাষ্য অনুয়ায়ী উপরোক্ত দুটি অর্থই এ আয়াত থেকে গ্রহণ করা যেতে পারে।
আর তোমরা ইহসান কর কাজেই প্রত্যেক কাজেই সুন্দর সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করার জন্য উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে কাজ করাকে আল কুরআনে ইহসান’ শব্দের দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে। ইহসান দু’রকমে হয়। যেমন-১. ইবাদতে ইহসান ও ২. দৈনন্দিন কাজকর্ম, পারিবারিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে ইহসান। এই উভয়বিধ ইহসান বাস্তবায়নের মোক্ষম সুযোগ এনে দেয় মাহে মুহাররাম। সুতরাং এই সুযোগ যারা হেলায় নষ্ট করে তারা নিজেদের হাতকে ধ্বংসের দিকেই যে ঠেলে দিচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে হেফাজত করুন, আমীন!
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
নোবিপ্রবির সঙ্গে নেদারল্যান্ডের ইউট্রিচ বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি স্বাক্ষর
৯ দফা দাবীতে নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালরে সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
এলজিইডির এক প্রকল্পে ৪০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
আবাসিক হোটেলের নামে মাদকের আড্ডা
নোয়াখালীতে মসজিদের ইমাম ও খতিবকে বিদায়ী সংবর্ধনা
খুলনাকে বিদায় করে ফাইনালে মেট্রো
কালিয়াকৈরে চাঁদাবাজের হামলায় চাঁদাবাজ কালামের মৃত্যু
বিরল উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত- ১
কামালপুর সড়কের ব্রিজ ভেঙ্গে মরণফাঁদ চরম দুর্ভোগে পথচারীরা
মেয়েদের ক্রিকেটে যুক্ত হলো যেসব সুযোগ-সুবিধা
বাড়ছে শীতের প্রকোপ, সাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়
জকিগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হামলার অভিযোগে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
খালিশপুরে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন
যুব এশিয়া কাপজয়ীরা পাচ্ছেন আর্থিক পুরস্কার
আদমদিঘীতে বিএনপি কার্যালয় উদ্বোধন
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
গোপালগঞ্জে বিএনপির বহিস্কৃত ও আ. লীগ কর্মীদের নিয়ে বিএনপির ২ জেলা কার্যালয়
কালীগঞ্জে ভাইরাল চিতাবাঘ হত্যার ঘটনায় দুইজন গ্রেপ্তার বন বিভাগ ও প্রশাসনে তোলপাড়
আশুলিয়ায় স্ট্যান্ডে চাঁদার দাবীতে হামলার অভিযোগ; আহত-১৩