একাই মনজিল মোরসেদ
২৯ আগস্ট ২০২৩, ১১:১২ পিএম | আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম
অভিযোগটা চুরির। গাছের সঙ্গে বেঁধে ইচ্ছেমতো লাঠি পেটা করা হয় গৃহবধূ ববিতা খানমকে। দরিদ্র পিতার ঘরে জন্ম তার। স্বচ্ছল স্বামী সেনা সদস্য। স্বামী-ভাসুর-শ্বশুর যৌথ সিদ্ধান্তে সোল্লাসে অশূরের মতো পেটানো হয় তাকে। ঘটনাটি ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিলের। ঘটনাস্থল নড়াইল, লোহাগড়া উপজেলার শালবরাত গ্রাম। সংবাদ মাধ্যমে খবর বেরুতেই বিহিত-ব্যবস্থা চেয়ে হাইকোর্টে হাইকোর্টে ছুটে যান একজন ব্যক্তি। তুলে ধরেন নিদারুণ এ ঘটনার আদ্যোপান্ত। বিচারপতি কাজী রেজাউল হক এবং বিচারপতি আবু তাহের মো: সাইফুর রহমানের তৎকালিন ডিভিশন বেঞ্চ ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন ববিতা নির্যাতনকারীদের। গ্রেফতার করা হয় শফিকুল শেখ, হাসান শেখ,সালাম শেখ, জিরিন আক্তার, কালাম শেখ, নান্নু শেখ ও কাশিপুর ইউপি আওয়ামীলীগ নেত আজিজুর রহমান আরজুকে। শবলের ওপর দুর্বলের এই আইনি বিজয় এনে দিয়েছিলো যে প্রতিষ্ঠান তা হলো ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ’ (এইচআরপিবি)। একটি স্বেচ্ছাসেবী বেসরকারি সংস্থা। সাংবিধানিক, আইনি অধিকার বঞ্চিত প্রান্তিক মানুষের বেদনা ভাগ করে নেয়াই যার ব্রত। যেখানে মানবতার ভূ-লুন্ঠন-সেখানেই ফায়ার সার্ভিসের ব্যাকুলতা নিয়ে ছুটে যাওয়া যার অঙ্গিকার। ব্যতিক্রম মানবদরদী এই ‘এইচআরপিবি’র প্রাণপুরুষ (প্রেসিডেন্ট) অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। আইনের জটিল চর্চার ভেতর থেকেও যার প্রথম জ্ঞান ‘মানুষ’। আইনাঙ্গনের বহুমাত্রিক বিভাজন আর বিভ্রান্তির ঢামাঢোল বিদীর্ণ করে যিনি মানবতার পতাকা উড্ডীন রাখছেন একাকী। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরবিচ্ছিন্ন অবদান রাখাতেই যার সুখ। সেই মনজিল মোরসেদকে প্রলুব্ধ করতে পারে না কোনো প্রলোভন। টলাতে পারেনি কোনো ভয়। সর্বগ্রাসী অবক্ষয়ের ¯্রােতে বিরুদ্ধপথের যাত্রী মনজিল সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে দুই দশকের প্রজ্জ্বলিত মশাল যেন। জনগুরুত্বপূর্ণ নানা ইস্যুতে সদা স্বোচ্চার । শুধুই কি মানবাধিকার ? সংবিধান সম্মুন রাখা, আইনের নানা অসঙ্গতি, খাদ্য ও ভোগ্যপণ্যে ভেজাল, পরিবেশ, খাল-বিল-নদী-নালা, পুকুর, বায়ু, শব্দ, স্বাস্থ্য সেবা, প্রতœতাত্ত্বিক নির্দশনের সুরক্ষা, সরকারি সম্পত্তি পুনরুদ্ধার, রাস্তা-ঘাট সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা, প্রবাসী ও অনাবাসী বাংলাদেশী নাগরিকের অধিকার রক্ষায় নিরন্তর কাজ করছেন তিনি।
বরিশালের উজিরপুরে শিক্ষককে জুতার মালা পরানোর ঘটনায় আওয়ামীলীগ নেতা লিটন পান্ডে এবং বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজিকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন মনজিল মোরসেদ। ২০১২ সালের ১৯ অক্টোবর নাথারকান্দি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ঘটে শিক্ষকের মর্যাদাহানির এ ঘটনা।
মিথ্যা মামলায় কারাগারে যাওয়া বগুড়ার আঞ্জু আরাকে কারামুক্ত করেন তিনি। স্বনামধন্য চিকিৎসকের আশ্রয়হীনা স্ত্রী সাফাত আরা সোবহানের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার লড়াইটিও করেছিলেন মনজিল মোরসেদ। মরহুম স্বামীর রেখে যাওয়া রাজধানীর বনানীর ১১ নম্বর রোডের এম ব্লকের ৭৮ নম্বর স্বামীর বাড়িতে প্রবেশ করতে পারছিলেন ন সাফাত আরা সোবহান। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে হাইকোর্ট আশ্রয়হীনা সাফাত আরা সোবহানের সম্পত্তি ও অধিকার রক্ষার নির্দেশ দেন। ২০১৭ সালের একটি আলোচিত মামলা এটি। ছেলে হত্যার বিচার চাইলে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়েছিলো কুষ্টিয়ার ডালিম খাতুনকে। এইচআরপিবি তার আইনি অধিকার নিশ্চিত করে। বিচার বঞ্চিত চাঁদপুর কচুয়ার নিলুফার খাতুনের পাশে দাঁড়ায় এইচআরপিবি।
ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রায় দেশের প্রত্মতাত্ত্বিক নির্দশন রক্ষায় মনজিল মোরসেদ জনস্বার্থে দায়ের করেছেন অসংখ্য মামলা। এর মধ্যে বেগম রোকেয়ার বসত ভিটা, বগুড়ার মহাস্থানগড় সংরক্ষণ ও জমি পুনরুদ্ধার, ঢাকার লালবাগ কেল্লার জমি পুনরুদ্ধার, ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষায় হাইকোর্টের নির্দেশনা এসেছে তার মামলায়। তুরাগ নদী, শীতলক্ষা,বুড়িগঙ্গাসহ রাজধানীর চারপাশের চার নদীর তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, নদীর জমি পুনরুদ্ধার,ওয়াকওয়ে নির্মাণ, সাভারে ট্যানারি স্থানান্তর, হাতিরঝিল লেকে বাণিজ্যিক স্থাপনা, দোকানপাট নির্মাণ বন্ধের নির্দেশনা নিয়েছেন তিনি। পদ্মা, মেঘনা,যমুনা,ব্রহ্মপুত্রসহ সারাদেশে জালের মতে ছড়িয়ে আছে সাড়ে ৪শ’ নদী। এসব নদীকে ‘জীবন্ত সত্তা’ এবং তুরাগ নদীকে ‘লিগ্যাল পারসন’ ঘোষণা আসে মনজিল মোরসেদের দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের প্রেক্ষিতে। রাজশাহীর ৯৫২ পুকুর ভরাট-দখলমুক্ত রাখতে হাইকোর্ট ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন এইচআরপিবি’র মামলার প্রেক্ষিতে। কক্সাবাজার সমুদ্র সৈকতে জীববৈচিত্র রক্ষা, বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ, স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশনা নেন মনজিল মোরসেদ। রাজধানীর যানজট, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, ধূলিদূষণ, রাস্তায় অবৈধ পার্কিং বন্ধের নির্দেশনা এসেছে তার জনস্বার্থের মামলা থেকে। খাদ্যে ফরমালিন, ভেজাল, শিশু খাদ্যে মেলামাইন, জীবন রক্ষাকারী ওষুধের মূল্য, ওষুধের বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন বন্ধ,এন্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ ছিলো অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদের দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের ফসল। একজন এমপি সারা জীবনে একটি আইন সংশোধন করতে না পারলেও বহু আইন ও বিধি-বিধান বাতিল কিংবা সংশোধন হয়েছে মনজিল মোর্সেদের মামলায়। হালে তিনি লড়ছেন অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ ইস্যুতে। সর্বশেষ গত ১৬ আগস্ট তিনি ঢাকার অদূরে আড়িয়াল বিল রক্ষার নির্দেশনা নেন হাইকোর্ট থেকে।
এর বাইরে কথা বলছেন, অনাবাসী বাংলাদেশীদের (এনআরবি) মৌলিক মানবাধিকার নিয়ে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ২ কোটি বাংলাদেশী বসবাস করছেন। তারা দেশে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাচ্ছেন। দেশের অর্থনীতিতে বিপুল অবদান রেখে কর্মক্লান্ত এই মানুষগুলো যখন রাজ্যের ব্যাকুলতা নিয়ে নিজ দেশে ফিরে আসেন তখন তাদের শিকার হতে হয় নানাবিধ হয়রানির। এয়ারপোর্ট, ইমিগ্রেশনে তাদের পোহাতে হয় নানা দুর্ভোগ। জন্মভিটায় পা রাখলেই দায়ের হচ্ছে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা। হতে হচ্ছে গ্রেফতার। সশরীর অনুপস্থিতির সুযোগে পরিবারের সদস্য-স্বজনরা গ্রাস করে নিচ্ছে সম্পত্তি। অথচ এসবের সমস্যার দ্রুত প্রতিকার লাভের কোনো আইনি সুযোগ নেই। তাই প্রবাসীদের সমস্যা-সঙ্কট নিরসনে ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবিতে আন্দোলন করছেন মনজিল মোরসেদ। নিজের প্রতিষ্ঠিত ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীর ফর বাংলাদেশ’র ব্যানারে যুক্তরাজ্য, সুইডেনসহ বিভিন্ন দেশে ভুক্তভোগীদের সংগঠিত করছেন। সংগঠনের ব্যানারে সম্পূর্ণ নিজ অর্থায়নে পরিচালনা করছেন নানা ধরণের সমাজ সেবা। আয়ের একটি অংশ তিনি খরচ করেন এসব কাজে। করোনার লকডাউনে গৃহবন্দী পুরো দেশ। এ সময় তিনি টেলিভিশনে লাইভে গিয়ে আদালতকে সংযুক্ত করেছেন। নিয়ে দিয়েছেন নির্দেশনা। পৌষের হিম শীতল রাতে হাইকোর্ট মাজার কিংবা কমলাপুর স্টেশনে শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করেন শীতবস্ত্র। এইচআরপিবি’র ব্যানারে সারাবছরই তিনি পরিচালনা করেন সেবামূলক কর্মকা-। অথচ এসবের জন্য স্বপ্রণোদিত হয়ে কেউ অর্থ সহায়তা দিতে চাইলে বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেন প্রস্তাব।
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ সারাদেশে এক নামেই পরিচিত। সুপ্রিম কোর্টে সুপরিচিত জনগুরুত্বপূর্ণ জনস্বার্থ মামলার কারণে। জনস্বার্থে শত শত মামলা করেছেন তিনি। এর মধ্যে ৪৭টি জনগুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় নিয়ে ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয়েছে ‘জনস্বার্থ মামলার রায়’ শীর্ষক গ্রন্থ।
স্বার্থান্ধ সমাজে দেশ ও মানব সেবায়ব্রতী নি:স্বার্থ একজন মনজিল মোরসেদের জন্ম কেমন করে হলো-জানতে চাওয়া হয় একদিন। ধানমন্ডির বসুন্ধরা গলির জৌলুসহীন চেম্বারে বসেই এর জবাব দেন তিনি। ছাত্রজীবনে ছিলেন রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। বরিশালের যে অঞ্চলটিতে জন্ম সেই এলাকাটি তখন ছিলো ন্যাপ,সর্বহারা,আওয়ামীলীগের প্রতাপ। এ সময় বিভিন্ন কারণে পুলিশী হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। দায়ের হয়েছে রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা। এ সময় কোর্ট-কাচারির নানা বিড়ম্বনা তাকে মোকাবেলা করতে হয়। রাজনীতি করার কারণে চৈতন্যে ছিলো দেশপ্রেমের প্রবাহ। ছিলেন দৃঢ় ও স্বাধীনচেতা। তখন মনে হতো, জীবনে তারপক্ষে কোনো চাকরি করা সম্ভব নয়। চাকরিতে উর্ধ্বতনের আদেশ-নির্দেশ মানতে হয়। উচ্চ শিক্ষার জন্য চলে এলেন ঢাকায়। ভর্তি হন প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানেও জড়িয়ে পড়লেন ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে। সহপাঠিদের নিয়ে শুরু করেন পাস কোর্স আন্দোলন। অস্থিরতায় মনযোগ গোল্লায় গেলো। হয়ে গেলেন আইনের ছাত্র। এলএলবি-এলএলএম করলেন। ঠিক করলেন-আইনজীবীই হবেন। নিবিষ্ট হবেন মহৎ এ স্বাধীন পেশায়। বার কাউন্সিল করলেন। ১৯৮৮ সালে অ্যানরোলড হলেন ঢাকা বারে। এখানেও যুক্ত হলেন বার পরিটিক্সের সঙ্গে। ১৯৯১ সালে ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হলেন। কয়েক বছর বিচারিক আদালতে কাজ করে অ্যানরোলড হন হাইকোর্টে। প্রখ্যাত আইনজীবী ব্যারিস্টার এম.আমীর উল ইসলামের ¯েœহ-সান্নিধ্য পেলেন। জুনিয়র হিসেবে প্রাক্টিস করলেন ৫ বছর। আমীর উল ইসলাম জনস্বার্থে বহু মামলা করতেন। সঙ্গে থেকে মনজিল মোরসেদ শিখলেন অনেক কিছু। এর সঙ্গে যুক্ত হলো ছাত্রজীবনে কোর্ট-কাচারিতে অর্জিত তিক্ত অভিজ্ঞতা। শৈশবে সমাজের, মানুষের নানা সমস্যা তাকে আলোড়িত করতো। আইন পেশায় নাম লেখানোর পর সমস্যাগুলো বেশিমাত্রায় ধরা পড়লো। ঢাকা কোর্টে যাবেন? পথে যানজট। বুয়েট ক্যাম্পাস জুড়ে গরুর হাট বসানো হয়েছে। সময় মতো পৌঁছাতে পারছেন না। একবার শুধুমাত্র যানজটের কারণে নিকটাত্মীয়ের জানাজায় শরীক হতে পারলেন না। পথে শব্দ দূষণ। সমানে চলছে গাছ কর্তন। রাজধানী থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে শিশুদের খেলার মাঠ। আবর্জনার দুর্গন্ধে শ্বাস টানা দায়। পত্রিকার পাতা খুললেই হত্যা,অপহরণ,ধর্ষণ,নির্যাতনসহ মানবাধিকার লঙ্ঘণের খবর। মন বিষিয়ে যেতো। নিত্য দেখা বিষয়গুলোই তাকে সেবামূলক আইন পেশায় আগ্রহী করে তুললো। সরাসরি মানুষের জন্য কিছু করার লালিত আকাঙ্খা বাস্তবায়নে তিনি বেছে নিলেন নিজের পথ। আর সেটি হলো ‘জনস্বার্থের মামলা’। সুপ্রিম কোর্ট বারে এককভাবে আইন চর্চায় ব্রতী হলেন। এরপর তিনি আর সুপ্রিম কোর্টভিত্তিক রাজনীতিতে জড়ালেন না। তবে নিজেকে সদা প্রস্তুত রেখেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট বার কিংবা বার কাউন্সিলের প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ের। কিন্তু প্রতিষ্ঠান দু’টি থেকে এমন কোনো চাহিদা পাননি। টনটনে আত্মমর্যাদা তাকে ব্যক্তি মানুষের কাছ থেকে কিছু প্রত্যাশা করতে শেখায় নি। ২০০৯ সালে ডাক পেয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি হওয়ার। ততোদিনে স্বাধীন আইন পেশা ও জনস্বার্থের মামলায় অবস্থান শক্তপোক্ত। ভাবলেন, ‘বিচারপতি’র পদওতো একটি চাকরি। এতে রাজী হলে ভেস্তে যেতো জীবনের লক্ষ্য।
জনস্বার্থের মামলায় অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদের বিপরীতে লড়তেন দেশ সেরা সিনিয়র আইনজীবীরা। বড় বড় শিল্পপরিবারের পক্ষে লাখ লাখ টাকা ফি নিয়ে লড়তেন তারা। পক্ষান্তরে মনজিল মোরসেদ আইনি লড়াই করতেন নিজ গরজে, স্ব খরচে। কোর্টে হারাতে না পেরে অনেক প্রভাব ও বিত্তশালীরা প্রলোভন দিয়েছেন। ঢাকার ব্রিফকেস পাঠিয়েছে। কাজ না হলে দিয়েছে প্রাণনাশের হুমকি। চেম্বারে কাফনের কাপড়ও পাঠানো হয়েছে। উড়ো চিঠি এসেছে। হামলা হয়েছে। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থেকে এসব এক চুলও নড়াতে পারেনি তাকে। পিচ্ছিল পথ বেয়ে ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তায় তৃপ্তির প্রাসাদপানে ছুটে চলেছেন একাকী মনজিল।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ব্রাজিলে সেতু ধসে নিহত ৪ ও নিখোঁজ ১০ , বিষাক্ত দূষণের শঙ্কা
যুদ্ধকালীন ইউক্রেনের ডাকটিকিট, সাহসিকতার ভাষায় দেশপ্রেম ও প্রতিবাদের প্রতীক
বিচ্ছেদ হতে না হতেই আবারও একসাথে তারকা জুটি বেন-লোপেজ
হাইতির হাসপাতালে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত তিনজন
ছাত্রদলের কমিটি : ঢাকা কলেজের সামনে ৭টি ককটেল বিস্ফোরণ
আফগানিস্তানে পাকিস্তানের বিমান হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ১৫
গুম হন কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক খালেদ হাসান
বিদেশি ভুল তথ্য ঠেকানোর মার্কিন সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ
চাঁদপুরে জাহাজে সেভেন মার্ডারের ঘটনায় মামলা
গাজায় বড়দিনে শান্তির জন্য প্রার্থনা, নিহতের সংখ্যা ছাড়লো ৪৫ হাজার
স্ত্রী-সন্তানসহ শাহরিয়ার আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মোজাম্বিকে বাংলাদেশিদের ৩শ' ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান লুটপাট ও ভাঙচুর
অতিসত্বর নির্বাচন হওয়ার দরকার : আমীর খসরু
দুর্নীতিগ্রস্ত লুটেরা মাফিয়াদল যাতে বাংলাদেশে আর ফেরত না আসতে পারে : মেজর হাফিজ
বঞ্চিত ৭৬৪ কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিচ্ছে সরকার
ক্যাডার বর্হিভূত রাখার সুপারিশ প্রত্যাখ্যান শিক্ষা ক্যাডারের
শেখ হাসিনাসহ ৬৩ জনের নামে মামলা
অভিযানের খবরে পালাল শ্রাবণধারা কারখানার পরিচালক-ম্যানেজার
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নেই আশানুরূপ সাড়া
একতাই পারবে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে