ড. ইউনূসের মামলা চলবেই
২৯ আগস্ট ২০২৩, ১১:১৮ পিএম | আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম
আত্মবিশ্বাস থাকলে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিবৃতি ভিক্ষা করে বেড়াতেন না এবং কারো চিঠি-বিবৃতি পরোয়া করি না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ট্যাক্স দেয়া সব নাগরিকের দায়িত্ব। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে ট্যাক্স ফাঁকি দিলে কাউকে ছাড় দেয় না সেদেশের সরকার। বাংলাদেশেও ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা আইনানুযায়ী চলবে, কোনো বিবৃতি, চিঠি মামলা প্রভাবিত করতে পারবে না। গতকাল মঙ্গলবার গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। সাম্প্রতিক দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনে যোগদান শেষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভদ্রলোকের যদি এতোই আত্মবিশ্বাস থাকে যে, তিনি অপরাধ করেননি, তাহলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিবৃতি ভিক্ষা করে বেড়াতেন না। এ রকম বহু নোবেল বিজয়ী আছেন, যাদের পরবর্তীতে কারাগারেও যেতে হয়েছে। একজন নোবেলজয়ীর বিষয়ে আপনারা এত উদ্বেগে আছেন। তার অপরাধটা আপনারা দেখেন না। তিনি যে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে নিয়ে ব্যবসা করেছেন সেটি উনি করতে পারেন কিনা সেটি বিবেচনা করবেন না?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের তো ব্যাংক অনেক। তার ব্যাংক ‘গ্রামীণ ব্যাংক’ কিন্তু সরকারি। তার এমডি (ড. ইউনূস) কিন্তু সরকারি বেতন তুলতেন। তিনি বিদেশে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার কীভাবে বিনিয়োগ করলেন। যারা বিবৃতি দিয়েছেন তারা কি তাকে প্রশ্ন করেছে, কীভাবে তিনি এত টাকা পেলেন? কীভাবে তিনি বিদেশে এত টাকা বিনিয়োগ করলেন, আসা-যাওয়া করেন? আপনারাও (সাংবাদিকরা) তো কোনোদিন এমন প্রশ্ন তাকে করেননি। এ কাজটা যদি কোনো রাজনীতিবিদ করতেন, তাহলে তো লিখে লিখে কলম শেষ করে ফেলতেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লেখালিখি তো অনেক করেন। তাহলে দুর্নীতিবাজ ধরা পড়লে পছন্দ হলে তার কোনো দোষ নাই, আর অপছন্দ হলে তাকে ভালো করে আচ্ছা মতো...।
শেখ হাসিনা বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে এ মামলা যাতে না হয় তার জন্য ঘুষ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে যারা বিবৃতি দিচ্ছে, তাদের কাছে আনুরোধ, তারা বিবৃতি না দিয়ে তাদের ক্লায়েন্টের জন্য আইনজীবী পাঠাক, বিশেষজ্ঞ পাঠাক। তারা এসে দলিল দেখুক। ট্যাক্স ফাঁকি দিলে তো তা ফেরত দিতে হবে। বিশ্বব্যাপী ট্যাক্স দেয়া সব নাগরিকের দায়িত্ব। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে কেউ ট্যাক্স ফাঁকি দিলে তাদের সরকার কি কোলে তুলে নাচে? না তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে? তিনি আরো বলেন, তাই আমি আহ্বান করব, যারা বিবৃতি দিচ্ছে তারা নিজেরা লোক পাঠাবে, সব দলিল দেখে তারাই বিচার করেন কোনো অপরাধ আছে কি না। না হলে আমাদের শ্রম আইন আছে। মামলা আইন অনুযায়ী চলবে, কোনো বিবৃতিতে প্রভাবিত হবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের আইন না মানলে তো মামলা হবেই। বিচার বিভাগ তো স্বাধীন। আপনারা (বিবৃতিদাতা) নিজেদের পক্ষে গেলে সাধুবাদ জানান। কিন্তু নিজেদের পছন্দের মানুষ অন্যায় করলে সেক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হলে বিবৃতি দেন। তিনি আরো বলেন, নোবেলজয়ী যার জন্য আজ বিদেশিরা বিবৃতি দেন তিনি একটা ব্যাংকের এমডি পদের জন্য পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তখন আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম নিজ দেশের অর্থায়নে পদ্মাসেতু করব। আমরা সেটি করেছি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রশ্ন রেখে বলেন, আপনারা বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখেন না। ১৪ বছর আগে বাংলাদেশ কোথায় ছিল, এখন কোথায় আছে? আপনারা আমাদের নির্বাচন নিয়ে এতো উপদেশ দেন। খালেদা জিয়ার সময়কার ঢাকা-১০ আসন ও মাগুরার উপনির্বাচন নিয়ে তো কোনো বিবৃতি দিলেন না। তখন আপনাদের উদ্বেগ কোথায় ছিল। আপনারা সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেন। জিয়াউর রহমান হ্যাঁ-না ভোট করেছিলেন। তখন কোথায় ছিল আপনাদের উদ্বেগ।
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারে সেটাই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। বিগত কয়েকটি নির্বাচনে জনগণ ভালো পরিবেশে ভোট দিয়েছে, আগামীতে ভালোভাবে ভোট দিতে পারবে। জনগণ যাকে ভোট দেবে তারাই ক্ষমতায় আসবে, এটাই বিশ্বাস করি।
বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, দলটি ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতি করে কিছু টাকা যাবে গুলশানে, কিছু যাবে হাওয়া ভবনে, বাকিটা যাবে লন্ডনে। নিজেরা নিজেরা মারামারি করবে, দুর্নীতি করতে করতে এক সময় তারা বলবে আমরা পারবো না। সেই দলকে জনগণ ভোট দেবে? তিনি বলেন, এতো উন্নয়নের পর জনগণকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কী চায়। মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি, কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই। যা কিছু করেছি, সব তো জনগণের কাজে লাগছে। সবই তো জনগণ ভোগ করছে। মেট্রোরেল করতে গিয়ে আমাদের নানা কথা শুনতে হয়েছে। সব জায়গায় কথা শুনতে হচ্ছে। আর উন্নয়ন করে সবার প্রশংসা পাব, এটা আশা করিও না। আশা করাও ঠিক হবে না। যাদের এক সময় জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছিল তারা তো এখন সমালোচনা করবেই।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, জনগণের জন্য কাজ করছি, জনগণের জন্য আছি, ১৪ বছরের মধ্যে দেশকে কোথায় নিয়ে এসেছি, সেটাও দেখতে হবে। টানা ক্ষমতায় থাকার কারণে দেশের দ্রুত একটি পরিবর্তন আনা সহজ হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সুদূরপ্রসারী প্ল্যান করে রাখে। যখনই ক্ষমতায় আসি সেগুলো নিয়ে কাজ করি। ডিজিটাল রূপকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। দেশে গরীব মানুষ একটাও থাকবে না।
শিং নেই তবু সিংহ : একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন বিএনপি নেতারা চিকিৎসার নামে সিংগাপুরে গিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন কিনা এমন কোনো গোয়েন্দা তথ্য নেওয়া যায় কি না। জনগণকে আশ্বস্ত করতে চান কিনা যে এমন কোনো ষড়যন্ত্র হবে না? জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে জায়গা না পেয়ে বিদেশে গিয়ে কার শিং গজালো, তার খোঁজ আমি নিতে পারবো না। যে কয়টা নির্বাচন হয়ে গেল, সেখানে কি জনগণ নির্বিঘেœ অংশ নিতে পারেনি? কেউ কেউ চেষ্টা করেছে নিজেরাই গোলমাল করে প্রশ্নবিদ্ধ করতে। কিন্তু সফল হয়নি। দেশে জায়গা না পেয়ে বিদেশে গিয়ে কার শিং গজালো, তার খোঁজ আমি নিতে পারবো না। সিঙ্গাপুর গিয়ে কার শিং গজালো সেটা আমি দেখব কোথা থেকে। তারা সেখানে শিং ধার করতে গেছে কি না, গুঁতা মারবে, বাংলাদেশের জনগণকে নির্বাচন করতে দেবে না, গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করব কে কোথায় গেল, কী করল।
আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে জনগণ ভোট দেবে, সেই ভোটে যারা জয়ী হবে, তারা সরকারে আসবে। অংশগ্রহণ বলতে ভোটচোরদের, দুর্নীতিবাজ, খুনি, মানি লন্ডারিং, গ্রেনেড হামলাকারী, জাতির পিতার হত্যাকারী, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী তাদের অংশগ্রহণ? এটা কি জনগণ চায়? তারা অংশ নিলেই বৈধ হবে, অন্য কেউ করলে হবে না? এটা তো হতে পারে না। বিএনপি সম্পর্কে তিনি বলেন, তাদের প্রতি মানুষের ঘৃণা, এটা মাথায় রাখতে হবে। ২০০৮ সালের পর থেকে তারা তো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে না। তারা শুধু বাণিজ্য করে। হয়তো তারা আসবে। নমিনেশন বাণিজ্য করবে। কিছু টাকা পল্টন অফিস, গুলশান অফিস পাবে। আর বাকি টাকা যাবে লন্ডনে। এই তো নির্বাচনে অংশগ্রহণ। একটা সময় নিজেরাই মারামারি করবে। বলবে, এইতো আমরা ইলেকশন করতে পারছি না। উইথড্র করলাম। এইতো তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া’।
ব্রিকসের সদস্যপদ প্রসঙ্গ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ব্রিকসে এখনই সদস্যপদ পেতে হবে, সে ধরনের কোনো চিন্তা আমাদের মাথায় ছিল না। সে রকম কোনো চেষ্টাও আমরা করিনি। ‘ব্রিকসে বাংলাদেশের সদস্যপদ পাওয়ার বিষয়ে আমি জানতে চাই, যেহেতু এটা নিয়ে কিছু আলোচনা-সমালোচনা চলছে। আমরা কি আদৌ আবেদন করেছিলাম? বা আবেদন করার কোনো পদ্ধতি আছে কি না, বা আমরা কি চেয়েছিলাম কি না ব্রিকসের সদস্যপদ পাওয়ার জন্য। চাইলে পাব না, সে অবস্থাটা আর নেই। কিন্তু প্রত্যেক কাজের একটা পদ্ধতি আছে। একটা নিয়ম আছে। আমরা সেটা মেনেই চলি। আমার সঙ্গে যখন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ হলো, তিনি আমাকে বললেন যে, ব্রিকস সম্মেলন করব। সে সময় তিনি জানালেন যে, তারা কিছু সদস্য বাড়াবেন। আমাদের মতামত জানতে চাইলেন। আমি বললাম, এটা খুবই ভালো হবে। ব্রিকস যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন থেকেই এই পাঁচ দেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে আমার ভালো যোগাযোগ ছিল এবং আছে। আমরা যখন শুনলাম ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক হচ্ছে, আমাদের আগ্রহ সেটার দিকে বেশি ছিল। সেখানে আমরা যুক্ত হতে চেয়েছিলাম। এটা যখন থেকে তৈরি হয়, তখন থেকে আমাদের এটার প্রতি আগ্রহ ছিল।
তিনি আরো বলেন, ব্রিকস থেকে প্রথম থেকেই আমাদের বলেছিল যে তারা ধাপে ধাপে সদস্য নেবে। তারা ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করে সদস্য নেবে এবং পর্যায়ক্রমে সদস্য সংখ্যা বাড়াবেন। কিন্তু ব্রিকসে এখনই সদস্যপদ পেতে হবে, সে ধরনের কোনো চিন্তা আমাদের মাথায় ছিল না। সে রকম কোনো চেষ্টাও আমরা করিনি। তিনি বলেন, সেখানে আমার সঙ্গে সব রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধানের সঙ্গে দেখা হয়েছে। আমরা কিন্তু কাউকে বলতে যাইনি আমাদের এখনই মেম্বার করেন। আমরা জানি যে প্রথমে কয়েকটা দেশ হবে এবং এটা আমাকে প্রেসিডেন্ট লাঞ্চের সময় বলেছেন। সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট এবং নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। সে সময় আলোচনা হয় যে আমরা এই কয়জনকে নেব। পরে ধাপে ধাপে আমরা সদস্য সংখ্যা বাড়াবো। এখন আমাদের অপজিশন থেকে খুব হতাশ যে আমরা সদস্যপদ পাইনি। বাংলাদেশ কিছু চেয়ে পাবে না এটা ঠিক না। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের যে মর্যাদা আমরা তুলে ধরেছি, সেখানে আমাদের সে সুযোগ আছে।
খুলেছে সম্ভাবনার দুয়ার : দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনার একটা নতুন দুয়ার খুলে গেছে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্যাংশন ও কাউন্টার স্যাংশনের এ যুগে এ সফরের মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্যের সম্প্রসারণসহ বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলে গেছে। বৈশ্বিক দক্ষিণের অবস্থানকারী দেশসমূহের উপর আরোপিত কৃত্রিম সিদ্ধান্ত এবং বিভাজনের নীতিকে না বলার এখন উপযুক্ত সময়। সর্বজনীন নিয়ম ও মূল্যবোধকে অস্ত্রে পরিণত করার প্রচেষ্টাকে আমাদের অবশ্যই প্রত্যাখ্যান করতে হবে। আমাদের নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা- নিষেধাজ্ঞার চক্র বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, সভায় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আমার সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের চিত্র বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছি। একই সঙ্গে আমরা রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের বিভিন্ন প্রস্তুতি ও কার্যক্রম সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সস্প্রদায়কে অবহিত করেছি। দক্ষিণের দেশগুলোর ওপর আরোপিত কৃত্রিম সিদ্ধান্তের কারণে আমরা আর ক্ষতিগ্রস্ত হতে রাজি নই। সর্বজনীন নিয়মের নামে আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া অসমনীতিকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য আমি দক্ষিণের দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছি। আমাদের সকল হুমকি, উসকানি ও যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। আমি বিপজ্জনক অস্ত্র প্রতিযোগিতায় সম্পদ অপচয় না করে বিশ্বব্যাপী জনসাধারণের জন্য পণ্য ও পরিষেবা প্রদানে অর্থ সংস্থান করার জন্য আহ্বান জানাই। বিশ্বজুড়ে শান্তি, ন্যায়বিচার ও স্থিতিশীলতার জন্য সকলকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানাই।
ডিম সংরক্ষণের উপায় : দেশের নিত্যপণ্যের মজুত পর্যাপ্ত রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যখন কোনো পণ্যের ঘাটতি দেখা দেয়, তখন সঙ্গে সঙ্গেই আমরা সেটা আমদানি করে বাজারদর জনগণের আওতার মধ্যে রাখার চেষ্টা করি। সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে অভাব যেন না থাকে, সেটা দেখব আমরা। বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে সিন্ডিকেটের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেব। ওরা এমনিতেই ভেঙে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাজার নিয়ন্ত্রণ ও সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে তুলে ধরা এক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই যে ডিম নিয়ে শুরু করলো। ঠিক আছে, এরপর যখন ডিম বেশি পাবেন, তখন সিদ্ধ করে ফ্রিজে রেখে দেবেন। বহুদিন থাকবে। সহসা নষ্ট হবে না। সব কিছুর বিকল্প ব্যবস্থা আছে। ডিম সিদ্ধ করে আপনি যদি ডিপে রেখে দেন, ডিম ভালো থাকে অনেকদিন। রান্নার সময় আরামে রান্না করে খাওয়া যায়। ভর্তা করে খাওয়া যায়। আমরা রাখি, খাই দেখে বলি আরকি। এগুলো তো নিজের থেকে শেখা। তিনি ডিমের বিষয়ে কথা বলার পাশাপাশি পেঁয়াজের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, পেঁয়াজ তো আছেই, এখন শুকনা পেঁয়াজের ডিজিটাল ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অভাব যেন না থাকে সেটাই দেখব আমরা। বিকল্প ব্যবস্থা করে নেব। ওই সিন্ডিকেটের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেব। ওরা এমনিতেই ভেঙে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিম, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম প্রমুখ।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বড়দিনে ভারতকে ‘দুঃসংবাদ’ শোনালো অস্ট্রেলিয়া
প্রেমিকের মৃত্যুর খবরে প্রাণ দিলেন প্রেমিকা
ব্রাজিলে সেতু ধস: নিহত ৪, নিখোঁজ ১০
যুদ্ধকালীন ইউক্রেনের ডাকটিকিট, সাহসিকতার ভাষায় দেশপ্রেম ও প্রতিবাদের প্রতীক
বিচ্ছেদ হতে না হতেই আবারও একসাথে তারকা জুটি বেন-লোপেজ
হাইতির হাসপাতালে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত তিনজন
ছাত্রদলের কমিটি : ঢাকা কলেজের সামনে ৭টি ককটেল বিস্ফোরণ
আফগানিস্তানে পাকিস্তানের বিমান হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ১৫
গুম হন কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক খালেদ হাসান
বিদেশি ভুল তথ্য ঠেকানোর মার্কিন সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ
চাঁদপুরে জাহাজে সেভেন মার্ডারের ঘটনায় মামলা
গাজায় বড়দিনে শান্তির জন্য প্রার্থনা, নিহতের সংখ্যা ছাড়লো ৪৫ হাজার
স্ত্রী-সন্তানসহ শাহরিয়ার আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মোজাম্বিকে বাংলাদেশিদের ৩শ' ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান লুটপাট ও ভাঙচুর
অতিসত্বর নির্বাচন হওয়ার দরকার : আমীর খসরু
দুর্নীতিগ্রস্ত লুটেরা মাফিয়াদল যাতে বাংলাদেশে আর ফেরত না আসতে পারে : মেজর হাফিজ
বঞ্চিত ৭৬৪ কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিচ্ছে সরকার
ক্যাডার বর্হিভূত রাখার সুপারিশ প্রত্যাখ্যান শিক্ষা ক্যাডারের
শেখ হাসিনাসহ ৬৩ জনের নামে মামলা
অভিযানের খবরে পালাল শ্রাবণধারা কারখানার পরিচালক-ম্যানেজার