ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৮০০ ছাড়াল
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৫ এএম
এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে দেশে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০৪ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৫৯৮ জন। এ নিয়ে চলতি বছর দেশে আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৬৪ হাজার ৫৬২ জনে। গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ৩৩০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৪ হাজার ২০৮ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ১২২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬৪ হাজার ৫৬২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭২ হাজার ৩৮৪ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯২ হাজার ১৭৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৪২৮ জন। ঢাকায় ৬৭ হাজার ৬২৪ এবং ঢাকার বাইরে ৮৫ হাজার ৮০৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমন্বিত পদক্ষেপের অভাবে মশাবাহিত রোগটিতে আরও বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মশাবাহিত ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট ডেঙ্গু, জিকা, চিকুনগুনিয়া ও জন্ডিসের মতো রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে এ পর্যন্ত দেশে ৮০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা বলছে, প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। এর আগে ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল। পুরো বছরে ২৮১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। ডেঙ্গু গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে সাধারণ একটি রোগ। তীব্র জ্বর, মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব, পেশী ব্যথার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। সবচেয়ে গুরুতর ক্ষেত্রে শরীরে রক্তক্ষরণও হয়। ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।
ঢাকার বাসাবো এলাকার বাসিন্দা বলেন, আমাদের বাড়ি ডেঙ্গুর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায়। বর্জ্য ও আবর্জনার পরিমাণ বেশি। আমি সতর্ক থাকি, মশারি ব্যবহার করি। তা সত্ত্বেও আমার মেয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে।
মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ নিয়াতুজ্জামান বলেন, টেকসই নীতিমালার অভাবে প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। অনেকেই জানে না কীভাবে চিকিৎসা করতে হয়। ঢাকাসহ অন্যান্য বড় শহরের বাইরে নার্সসহ চিকিৎসা সংশ্লিষ্টদের ডেঙ্গু মোকাবেলায় উন্নত প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় সরকারকে সম্পৃক্ত করা উচিত। ভবিষ্যতে প্রাদুর্ভাবের জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নেয়া যায়, গবেষকদের তা নিয়ে অধ্যয়ন করা উচিত।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
‘ন্যায়বিচারকে হত্যা’ করা হয়েছে: পিটিআই
নতুন ভূগর্ভস্থ নৌ ঘাঁটি উন্মোচন ইরানের
রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধ করছে অনেক আফ্রিকান সেনা
পাওয়ার প্ল্যান্টের ৩৬০ মেট্রিকটন তেল ডাকাতি
বাংলাদেশি কর্মী নিতে প্রস্তুত রাশিয়া: রাষ্ট্রদূত
রাজনৈতিক দলগুলো বেশি কিছু সংস্কার না চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন: প্রেস সচিব
এবার ওলমোর ইনজুরি দুঃসংবাদ বার্সার
কুড়িগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে ইমন ও আলামিন
এসএমই ফাউন্ডেশনের নতুন চেয়ারপার্সন মো. মুশফিকুর রহমান
বিয়ের ওপর কর বাতিলের দাবি
শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে আ.লীগ : মির্জা ফখরুল
নামাজের প্রথম কাতারে জামাত পড়াবস্থায় অজু ভেঙ্গে যাওয়া প্রসঙ্গে।
কয়েক মিনিটে বাংলাদেশ দখল করে নিতে পারে ভারত: শুভেন্দু অধিকারী
নরসিংদীতে নিখোঁজের ৫ দিন পর নদীতে পাওয়া গেল স্কুল ছাত্রের লাশ
বিএনপি : দেশবাদ যার রাজনীতির মূল কথা
পাহাড়ি উপজাতিরা আদিবাসী নয়
সংস্কার প্রতিবেদন : জাতির নতুন অধ্যায়ে অভিযাত্রা
অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিনিয়োগে জোর দিতে হবে
ভারতে ৫ বছর সাজাভোগ করে দেশে ফিরলেন স্বামী-স্ত্রী
চার দিনের সফরে সোমবার সুইজারল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা