ঢাকা   মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২ আশ্বিন ১৪৩১
মুনাফালোভীদের কারণে ইলিশের দাম বেশি : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরা বন্ধ

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

১২ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৪ এএম

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ইলিশ আহরণের পর কয়েক দফা স্থান পরিবর্তনের কারণে মুনাফা লোভীরা বিভিন্ন স্তরে লাভবান হন। তাদের অধিক মুনাফার কারণে বাজারে ইলিশের দাম বেশি। সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কঠোর নজরদারি, দেখভাল করা হলে ইলিশের দাম সহনীয় পর্যায় নিয়ে আসা সম্ভব। প্রধান প্রজনন মৌসুমে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩’ বাস্তবায়ন উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে গতকাল তিনি একথা বলেন।

ইলিশ উৎপাদনে কোনো ঘাটতি নেই, তারপরও ইলিশের দাম এতো বেশি কেন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ইলিশ উৎপাদনে আলাদা কোনো ব্যয় নেই। কিন্ত ইলিশ আহরণ ও সংরক্ষণ করার জন্য ব্যয়ের পরিমাণটা কম না। সরকার কিন্তু এক্ষেত্রে প্রণোদনা দিচ্ছে, যারা ইলিশ আহরণে আমাদের সহায়তা করে তাদের ভিজিএফ থেকে সাহায্য করা হচ্ছে। যারা ইলিশ আহরণ করে তাদের নৌ-যান ব্যবহার করতে হয়, জাল ব্যবহার করতে হয়, শ্রমিক নিয়োগ করতে হয়। মাছ আহরণের পর তারা যেখানে মজুত করে অবতরণকেন্দ্রে মাছ নিয়ে আসার পর সেখান থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়া করে বরফ দেওয়া থেকে শুরু করে কয়েক দফা স্থান পরিবর্তন হওয়ায় যারা মুনাফা লাভ করেন তারা বিভিন্ন স্তরে স্তরে লাভবান হন।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, আমার মনে হয়, তারা অধিক লাভবান হওয়ার কারণে ইলিশের দাম যে সহনীয় থাকা উচিত, তার চেয়ে বেশি দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে বাজার ব্যববস্থাপনার সঙ্গে যারা জড়িত, প্রতিযোগিতা কমিশন, ভোক্তা অধিকারের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত আছেন আমরা বিভিন্ন সময় তাদের তাগিদও দিয়েছি। ইতোমধ্যে তারা কিছু কাজও করছেন।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আরও বেশি তৎপরতার সঙ্গে করে বাজার ব্যবস্থাপনাকে একেবারে মাছ আহরণের কেন্দ্র থেকে শুরু করে বিপণন পর্যন্ত আরও কঠোর নজরদারি, দেখভাল করা হলে আমার বিশ্বাস ইলিশের দামকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা সম্ভব।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের কাজ যারা মৎস্য আহরণ করে, তারা আহরণ বন্ধ থাকাকালীন সময় তাদের খাবারের ব্যবস্থা আমরা করে দেই। যারা নৌকা নিয়ে মাছ ধরেন অনেক সময় তাদের নৌকা সরবরাহ করা হয়। অনেক সময় তাদের জাল সরবরাহ করছি। অনেক সময় বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য আমরা গরু, ভেড়া, ছাগল, মুরগি, হাঁস দিচ্ছি। যাতে ওই সময় তাদের বিকল্প কর্মসংস্থান হয়। আমরা গবেষণা করে ইলিশের অভয়াশ্রম কীভাবে করা যায় সেটি করছি। বাজার ব্যবস্থাপানাটা কোনোভাবেই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জব ডিস্ক্রিপশনের মধ্যে আসে না। আমরা উৎপাদন ও আহরণের সঙ্গে জড়িতদের সহায়তা করা, ভর্তুকি দেওয়ার বিষয়ে কার্পণ্য করি না।

তিনি বলেন, চলতি বছর বিগত বছরের চেয়ে ইলিশের আকারও বৃদ্ধি পেয়েছে, ইলিশের প্রাচুর্যতায় জেলেদের মুখে হাসি ফুটেছে। জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষার চলমান কার্যক্রমসমূহ এভাবেই বাস্তবায়ন করা হলে সারাবছর ইলিশের প্রাপ্যতা নিশ্চিত হবে। এ কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়নে সরকারি প্রচেষ্টার পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং আপামর জনগণ বিশেষ করে মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের আন্তরিক সহযোগিতা অপরিহার্য। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবারের মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফল ও স্বার্থক হয়ে উঠবে বলে আশা করি। মা ইলিশ রক্ষা করা শুধু মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কিংবা মৎস্য অধিদপ্তরের নয় জাতীয় সম্পদের উন্নয়ন এবং দেশের স্বার্থে এ দায়িত্ব দেশের প্রত্যেক মানুষের।

এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হকসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে কক্সবাজার ব্যুরো জানায়, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষার্থে গতকাল মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। এসময় সাগরে কোনো ধরণের মাছ ধরা যাবেনা। এদিকে গেল ভরা মৌসুমে বৈরী আবহাওয়াসহ নানা প্রতিকূলতায় আশানুরূপ ইলিশ না পেয়ে হতাশ জেলে, বোট মালিক ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা। এরমধ্যে ২২ দিনেই এই নিষেজ্ঞায় কীভাবে সংসার চলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় জেলেরা। প্রশাসন বলছে, নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে আইনের কঠোর প্রয়োগ করা হবে।

জেলা মৎস্য অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে প্রধান প্রজনন মৌসুম ও ইলিশ সুরক্ষায় গতকাল বুধবার মধ্যরাত থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা ২২ দিন সাগরে মাছ আহরণ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এই আইন বাস্তবায়ন ও সঠিকভাবে ত্রাণ সহায়তা প্রদানের লক্ষে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩’ শিরোনামে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরানের সভাপতিত্বে গত ৯ অক্টোবর দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাগণ। সভায় সিদ্ধান্ত হয় ১১ তারিখ দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে সাগরে মাছ ধরার সকল ট্রলার বন্ধ থাকবে। এছাড়া ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাত করণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষেধ থাকবে। নিষেধাজ্ঞার সময় সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ মৎস্য অধিদফতর, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, র‌্যাবসহ অনান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে থাকবে। এছাড়া জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়মের খবর পেলে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।

মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের জেলে লিয়াকত মিয়া জানান, ‘বৈরী আবহাওয়ার কারণে ২-১ দিন পর পর সিগনাল। যার ফলে ঠিকমত মাছ আহরণ হয়নি। তারমধ্যে ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরা বন্ধ। জানিনা সামনের দিনগুলোতে কি হয়? আরেক জেলে বেলায়ত হোসেন জানান, বন্ধের সময় সরকারের পক্ষ থেকে যে চাল দেওয়া হয় তা পর্যাপ্ত নয়। এই চাল বিতরণ নিয়েও অনেক সময় অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এই সময় খুবই কষ্ট হয়। দিনমজুরী কাজ করে কোনভাবে জীবন-যাপন করতে হয়। তাই জেলেদের প্রতি আরো আন্তরিক হওয়া উচিৎ। ফিসারীঘাটের মাছ ব্যবসায়ী সৈয়দ আলম জানান, ‘ধারদেনা করে ব্যবসা করেছি। সাগরে ইলিশ মাছ পড়লেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে সুবিধা করতে পারিনি। তারমাধ্যে পড়েছে আবার ২২ দিনের বন্ধ। এই অবস্থায় ব্যবসায় লাভ দূরের কথা কোনভাবে দেনা শোধরাতে পারব কিনা সন্দেহ।’

কক্সবাজার জেলা ফিসিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হাসেন জানান, গেল ৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞার পর জেলেরা প্রত্যাশা অনুযায়ী মাছ পায়নি। এর বড় কারণ ছিল বৈরী আবহাওয়া। তাই মাছ ধরা বন্ধের দিনগুলোতে যথাযত সহায়তা প্রদান করা প্রয়োজন। এছাড়া বিদেশি মাছ ধরার জাহাজ দেশের সমুদ্রসীমায় আসতে না দেওয়া, জলদস্যু মুক্ত নিরাপদ সাগর নিশ্চিত হলেই পুষিয়ে উঠবে জেলেদের ক্ষতিপূরণ।
কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বদরুজ্জামান জানান, বিভিন্ন গবেষণ ও ফলাফলে দেখা যায়, এই ২২ দিনেই ইলিশ বেশি পরিমাণে ডিম ছাড়ে। তাই এই সময়টা সমুদ্র ফ্রি রাখতে হবে। এর ফলে পরবর্তী বছর অধিক পরিমাণে ইলিশ পাওয়া যাবে। এই লক্ষকে সামনে রেখেই ‘মা ইলিশ সংরক্ষন ২০২৩’ উদযাপন হতে যাচ্ছে। এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে ইলিশ মাছ আহরণের সাথে জড়িত জেলেদেরকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়। তাই বন্ধের সময় বেকার হয়ে যাওয়া দুই হাজার ৪০ জেলে পরিবারকে ৬০২ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হবে।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ

ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ

সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২

ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল

ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল

সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ

সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ

গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন

যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার

৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান

৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান

তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা

তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা

শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত

শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত

গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র‌্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১

কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র‌্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়

ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম

ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম

যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা

মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা

মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী

মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী

প্রশাসক হতে চান শিক্ষকরা, ঠেকাতে একাট্টা ৪ সংগঠন

প্রশাসক হতে চান শিক্ষকরা, ঠেকাতে একাট্টা ৪ সংগঠন

বাংলাদেশের এই দলকে সেরা বললেন হার্শা

বাংলাদেশের এই দলকে সেরা বললেন হার্শা