সবকিছু বন্ধ করে দেয়ার প্রধানমন্ত্রীর হুমকিকে ধিক্কার জানাই
১৪ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০০ এএম | আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০০ এএম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, উন্নয়ন করে দেশকে এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছি, বেশি বললে আগের জায়গায় নিয়ে সবকিছু বন্ধ করে দিবো’ এধরনের বক্তব্য একজন প্রধানমন্ত্রী কী করে দিতে পারেন। তিনি কী তার বাবার টাকায় দেশ উন্নয়ন করেছেন? নাকি এদেশের জনগণের টাকা, মেহনতি মানুষের শ্রম ও ঘামের টাকায় করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের বক্তব্যকে আমরা ধিক্কার জানাই। এ বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় দেশময় আন্দোলন গড়ে উঠলে তার জন্য সুখকর হবে না। গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর পার্শ্বের রাস্তায় ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী বিশাল শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সভাপতি আলহাজ মুহাম্মদ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং জয়েণ্ট সেক্রেটারী জেনারেল মুফতি মোস্তফা কামাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক ঢাকা বিভাগ সৈয়দ ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ আব্দুর রহমান। আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, অধ্যাপক মোহাম্মদ আশরাফ আলী আকন, যুগ্ন মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রিয় সভাপতি মাওলানা নেছার উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাফেজ মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রিয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ।
প্রধানমন্ত্রী বার বার বলে থাকেন, দেশের এত উন্নয়ন করলাম, এত উন্নয়ন করার পরও কেন আত্ম বিশ্বাস হয়নি যে, জনগণ ভোট দিবে, তাহলে কিসের উন্নয়ন করলেন? বিদেশে বেগমপাড়া কারা বানিয়েছে? ১৫ বছরে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত কারা করেছে, কিসের উন্নয়ন করলেন? ২০০৬ সালে লগি-বৈঠা দিয়ে তান্ডব চালিয়ে মানুষ হত্যা করছে আওয়ামী লীগ। ১৭৪ দিন হরতার অবরোধ করে দেশকে পঙ্গু করে দিয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্র্বাচনের জন্য। এখন তত্ত্বাবধায়ক চিনেন না? এই ধোকাবাজি ছাড়েন, অন্যথায় দেশের জনগণ আপনাদের ক্ষমা করবে না। অর্থনৈতিকভাবে দেশকে দেউলিয়া কারা করেছে? সমাবেশে ২০ অক্টোবর ঢাকায় ছাত্র-যুব সমাবেশ কর্মসূচি করেন তিনি।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমি মুজিব কন্যা বলছি, আমার উপর আস্থা রাখুন, আমরা আস্থা রেখে নির্বাচনে গিয়েছিলাম, কিন্তু আপনি দিনের ভোট রাতে নিয়ে চরম ধোকাবাজি করেছেন। তিনি বলেন, জাতি আর বার বার ধোকায় পা দিবে না। জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া বিধ্যমান সংঘাত থেকে দেশকে রক্ষা করা যাবে না। প্রয়োজনে শ্রমিক জনতা রাজপথে ঘাম ও রক্ত ঝগাতে প্রস্তুত রয়েছে।
সমাবেশে ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক শাহ মুহাম্মদ আবু জাফর, এ, এম, ফয়েজ হোসাইন , প্রধান সমন্বয়ক, সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদ ও সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন।
২৫ দফা ঘোষণাপত্র পাঠ করেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা খলিলুর রহমান। ঘোষণাপত্রে বলা হয়, শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন করতে হবে, শ্রমিক বান্ধব রাজনীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাষ্ট্র পরিচালনায় শ্রমিকদের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে, শ্রমিকের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে আট ঘন্টার উর্ধ্বে কর্মঘণ্টা রাখা যাবেনা, বর্তমান নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম আকাশচুম্বী। তাই খেয়ে-পরে বেঁচে থাকতে শ্রমিকের নূন্যতম মজুরী পঁচিশ হাজার টাকা নির্ধারণ করতে হবে। প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, দেশের মানুষ দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে নিস্প্রেষিত। বাণিজ্যমন্ত্রী সিন্ডিকেটের কাছে অসহায়। সরকার ২০১৪-২০১৮ সালের মতো করে নির্বাচনের চেষ্টা করছে। তাদের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। জাতীয় সরকার ছাড়া কোন নির্বাচন এদেশে হবে না।
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, গোটা বাংলাদেশের মানুষ একটি চরম অস্থিরতার মধ্যে আছে। সবচেয়ে অস্থিরতা ও আতঙ্কে আছে ক্ষমতাসীনরা, কারণ তারা বিগত ১৫ বছর ধরে এমন জুলুম অত্যাচার আর লুটপাট করেছে যে তারা ক্ষমতা ছাড়তে ভয় পায়। তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ওবায়দুল কাদের তাদের নেতাকর্মীদের মনোবল ঠিক করার জন্য বিভিন্ন রকমের কৌতুক পরিবেশন করছেন। তলে তলে নাকি সব ঠিক হয়ে গেছে, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের মুরুব্বিদের সাথে নাকি কথাবার্তা হয়ে গেছে। দিল্লি যদি তাদের সাথে থাকে তাহলে তারাও থাকবে। ওবায়দুল কাদেরের বিভিন্ন সময় বলা খেলা হবে খেলা হবে বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন তিনি। এসব কথার অর্থ হলো, তাদের মধ্যে আতঙ্ক শুরু হয়ে গেছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ
সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার
যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২
ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল
সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ
গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার
৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান
তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা
শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত
গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়
ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম
যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা
মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী
প্রশাসক হতে চান শিক্ষকরা, ঠেকাতে একাট্টা ৪ সংগঠন
বাংলাদেশের এই দলকে সেরা বললেন হার্শা