ঢাকা   শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬ আশ্বিন ১৪৩১
ইসি’র প্রশিক্ষণ কর্মশালার ফাঁকে কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা

আমলারা চান রাজনৈতিক সমঝোতা!

Daily Inqilab পঞ্চায়েত হাবিব

১৫ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৫ এএম

সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন করতে হবে। এ হিসাবে চলতি সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিন অর্থাৎ, ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। সেক্ষেত্রে ১ নভেম্বর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হচ্ছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে দায়িত্ব পালন করতে হলে রাজনৈতিক সমঝোতার প্রয়োজন মনে করছেন মাঠ প্রশাসনের ডিসি থেকে শুরু করে সচিব পর্যন্ত এক কথা বলেছেন। তারা মনে করে আগে যা হয়ে সেখান থেকে সরে আসতে হবে। কারণ আগামীতে বাংলাদেশে যে পরিমান উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের অপেক্ষায় রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে রাজনৈতিক সমঝোতার প্রয়োজন। নির্বাচন যে দলেই ক্ষমতায় আসুক তাদের রাজনৈতিক সমঝোতার দরকার বলে মনে করছেন সরকারি কর্মকর্তারা।

আগারগাঁওয়ের নির্বাচনি প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চার বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক, সিনিয়র ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে। কর্মশালার ফাঁকে প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা করছেন। সুত্রের দাবি তারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি, নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্ত, ঢাকায় সফররত মার্কিন প্রতিনিধি দলের বিভিন্ন জনের সঙ্গে বৈঠক, দিল্লির নীরবতা এগুলোতে পরিস্কার যুক্তরাষ্ট্র এবার ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতো এবার ছাড় দেবে না। ফলে এখন রাজনৈতিক সমঝোতা সংকট সমাধানের একমাত্র পথ। কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণের ফাকে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সামনেও এমন কথাবার্তা বলেছেন। কেউ কেউ বলছেন, ২০১৪ বা ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন করলে যাদের উপর ভিসানীতি পড়বে তাদের পরিবারে বিপর্যয় নেমে আসবে। আবার যুক্তরাষ্ট্রের চাপ ও দিল্লির নীরবতার মধ্যে বিরোধী দল আন্দোলনে কঠোর অবস্থানে গেলে কঠিন মূল্য দিতে হতে পারে।

জানতে চাইলে সাবেক সিনিয়ন সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান ইনকিলাবকে বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন মৌলিকভাবে একটি রাজনৈতিক সমস্যা। তাই সমাধানসূত্র রাজনীতিবিদের হাতেই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। সেদিকে নজর দেয়া জরুরী। তা করতে হলে রাজনৈতিক সমঝোতার প্রয়োজন। এ টা হলে দেশের মানুষ শান্তি ও উন্নয়ন মুখী হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তপসিল এবং জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোটের তারিখ ধরে ইসি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আসন্ন ভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে পড়েছে। ক্ষমতাসীন দলসহ একপক্ষ চাচ্ছে সংবিধান অনুযায়ী ভোট করতে। অন্যদিকে বিএনপিসহ আরেকটি পক্ষ বিদ্যমান ব্যবস্থায় ভোটে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। ভোটের পুরো প্রস্তুতি ইসির থাকলেও এখনও তারা অপেক্ষা করছে বিএনপিসহ অন্যান্য দলের জন্য। ইসি প্রত্যাশা করছে, রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে তারা ভোটে ফিরবে। তবে সর্বশেষ কোনও সমঝোতা না হলে সংবিধান অনুযায়ী ভোটের পথে হাঁটবে তারা। সেক্ষেত্রে কোনও দল নির্বাচনে না এলেও তাদের কোনও কিছু করার থাকবে না। মাঠ প্রশাসন ও ইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক কর্মকা-ে। অবশ্য সব দল না এলে নির্বাচন কতটা সংঘাতহীন রাখা সম্ভব হবে সেই শঙ্কাও রয়েছে ইসির মধ্যে। যদিও এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির দাবি, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তারা সাংবিধানিক ক্ষমতার পুরোটাই প্রয়োগ করবে। সুষ্ঠু ভোটে তারা সরকার ও রাজনৈতিক দলের সহযোগিতাও কামনা করেছে।প্রস্তুত হচ্ছে ভোটের সরঞ্জাম, আগামী তফসিল নভেম্বরে, নির্বাচনের খরচ এবং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু করেছে কমিশন। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলে ভয়ভীতি ও বাধা প্রদান ঠেকাতে এবার অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেইসঙ্গে ই-ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অনলাইনে জামানতের টাকা পরিশোধেরও সুযোগ থাকছে। অন্যদিকে ভোটকেন্দ্রের নাম ও ভোটার নম্বর খুঁজে পাওয়ার ভোগান্তি কমাতে ‘বাংলাদেশ ইলেকশন অ্যাপ’ নামে একটি অ্যাপ তৈরি করছে কমিশন। এই অ্যাপে ভোটারের তথ্যের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের জন্য রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, ডিসি, এসপি, ওসিসহ নির্বাচনকেন্দ্রিক বিভিন্ন দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের পরিচয়, ফোন নম্বর দেওয়া থাকবে।

এবারের নির্বাচনে খরচ বাড়ছে দ্বিগুণ। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে ব্যয় হয়েছিল ৭০০ কোটি টাকার মতো। আর এবারের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য খরচ প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা ঠিক করেছে নির্বাচন কমিশন। এই ব্যয়ের দুই-তৃতীয়াংশই হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেছনে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য কমিশনাররা এরইমধ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাদের সাংবিধানিক দায়িত্বের কথা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এরই মধ্যে নির্বাচনি প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শেষ হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর এই প্রশিক্ষকরা নির্বাচনি কর্মকর্তাদের (প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার) প্রশিক্ষণ দেবে। এছাড়া প্রশিক্ষণ চলছে নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনে নির্ধারিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা-উপজেলা নির্বাচনি কর্মকর্তাদের। রোডম্যাপের ঘোষণা অনুযায়ী নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তফসিল ও ডিসেম্বরের শেষ বা জানুয়ারির শুরুতে হবে ভোটগ্রহণ। অবশ্য ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট করবে এমন তথ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছে। জানা গেছে, জাতির উদ্দেশে ভাষণের মাধ্যমে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই তফসিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তার আগে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভোটের তফসিলের ব্যাপারে অবহিত করবে হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন।

বিএনপি বা তার মিত্রকে ছাড়া ইসিকে শেষ পর্যন্ত ভোটে যেতে হলেও বিষয়টিতে নিজেদের জন্য স্বস্তিদায়ক মনে করছেন না সিইসি নিজেই। এদিকে সব দল অংশ না নিলে নির্বাচনে গোলযোগ হতে পারে, ইসি এমন বার্তাও পেয়েছে তার মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের থেকে। গত ৮ অক্টোবর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি সভায় ইসির মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের উদাহরণ দিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মাঠ কার্যালয়গুলো হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারে। এজন্য তারা তাদের কার্যালয় সুরক্ষার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের অনুরোধ করেন।

গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। গ্রহণযোগ্য হওয়ার অর্থ নির্বাচনটা অবাধ এবং ফেয়ার হয়েছে। এই চেষ্টাটা করতে হবে। জনগণকে দেখতে হবে ভোটাররা নির্বিঘেœ ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পেরেছেন। প্রবেশ করে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন। এইটুকুই দেখাতে পারলে কে নির্বাচনে আসলো, কে আসলো না। জনগণ যদি আসে, ভোটাররা যদি আসেন, তারা যদি ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। তাহলে নির্বাচনে একটা বড় সফলতা আমি যদি আপেক্ষিক অর্থে বলি, অর্জিত হয়ে যাবে।

এর আগে বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিএনপি সম্পর্কে সিইসি বলেছেন, তারা নির্বাচনে না এলে নির্বাচন সুষ্ঠু হলেও অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। অন্য ৫-১০টা দল অংশ নিলেও তারা ‘মূল বিরোধী দল’ যে বিএনপি, তাদের সমকক্ষ ওরা নয়। ওই দলটা যদি অংশগ্রহণ না করে তাহলে একটা অনিশ্চয়তা বা একটা শঙ্কা, একটা অসম্পূর্ণতা থেকে যেতে পারে এতে কোনও সন্দেহ নেই। তিনি বলেন, নির্বাচন যদি কোনও সংঘাত বা সহিংসতা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় তাহলে তারা ‘খুশি হবেন’ বটে, কিন্তু গণতান্ত্রিক চেতনার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নির্বাচন অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রশাসনে কোনও ধরনের রদবদলের পরিকল্পনা ইসির নেই।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সংবিধান এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী তারা নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছেন। আরপিওতে যেভাবে নির্দেশনা রয়েছে, সেভাবে আমরা সোজা এগিয়ে যাচ্ছি। ডানে বামে তেমন তাকাচ্ছি না। আমাদের প্রস্তুতি আপ টু-ডেট আছে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কমিশন প্রস্তুত বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

জানা গেছে, বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার সাত মাসের মাথায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে। ইতোমধ্যে ঘোষিত রোডম্যাপের বেশিরভাগ কাজ গুছিয়ে এনেছে। অবশ্য সব দলের আস্থা অর্জনের যে বিষয়টি ইসির রোডম্যাপে ছিল তা দৃশ্যত এখনও সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী দেড়শ’র মতো আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়ার কথা থাকলেও আর্থিক সংকটে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। পরে পুরোটাই ব্যালটে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। ইতোমধ্যে নির্বাচনি কাজের জন্য বেশ কয়েক ধরনের সরঞ্জাম দরকার হয়। এরমধ্যে ব্যালট পেপার, স্ট্যাম্প প্যাড, গালা, মনোনয়ন ফরম, অফিসিয়াল সিল (গোল সিল), মার্কিং সিল (ব্যালটে মারার সিল), ব্রাশ সিল (সিলগালা করার জন্য পিতলের সিলমোহর), অমোচনীয় কালির কলম, ছোট-বড় দুই ধরনের চটের ব্যাগ, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও বাক্সের লক ইত্যাদি। এছাড়াও একাধিক রঙের কলম, খামসহ আরও কিছু সামগ্রী প্রয়োজন পড়ে। নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনাকাটার কাজও শেষ পর্যায়ে। এ মাসের মধ্যেই শতভাগ কেনাকাটা সম্পন্ন হবে। এসব সামগ্রীর মধ্যে প্রায় সবগুলোরই দরপত্র ও কার্যাদেশ আগেই সম্পন্ন হয়েছে। বেশ কিছু সামগ্রী ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও মাঠপর্যায়ে পৌঁছে গেছে। অমোচনীয় কালির কলম কেনা নিয়ে কিছুটা জটিলতা হলেও গত সপ্তাহে সেটার চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের জন্য ৮০ হাজার ব্যালট বাক্স কেনা হচ্ছে। ব্যালট বাক্স ও ঢাকনা আগে বিদেশ থেকে আমদানি হতো। তবে এবার দেশীয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেই এগুলো কিনছে ইসি। অন্যদিকে সরকারি মুদ্রণ সংস্থার ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ৬১ হাজার রিম বা ৩২ লাখ ২০ হাজার দিস্তা কাগজ কেনা হচ্ছে। এ কাগজ দিয়ে তৈরি হবে ব্যালট পেপার, বিভিন্ন ধরনের খাম ও প্যাড। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময় শেষ হলেই ব্যালট পেপার ছাপানোর কাজ শুরু হবে। ইসি ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, সংসদীয় আসনের পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ হয়েছে। আইনি কাঠামোর সংস্কারও হয়েছে। সর্বশেষ গত মাসের শেষ দিকে তারা নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার সংশোধনী চূড়ান্ত করে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে। যদিও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশোধনীতে ইসির ক্ষমতা হ্রাস-বৃদ্ধি নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়। ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। এতে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ১০৩টি। আর ভোটকক্ষের সংখ্যা ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪টিতে। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিরীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। ৯ লাখের বেশি নির্বাচনি কর্মকর্তাসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম কেনাকাটা, নির্বাচনে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ভাতা মিলিয়ে এবার প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা খরচ হবে। এর বাইরে নির্বাচনি প্রশিক্ষণে খরচ হবে প্রায় ১০০ কোটি টাকার বেশি।

নাম প্রকশে অনিচ্ছুক একাধিক জেলার ডিসি ইনকিলবকে বলেন, আসলে দেশের যে পরিমান উন্নয়ন বর্তমান সরকার করেছে, তা অন্যকোনো সরকার করে নাই। কিন্তু আগামীদিন গুলোর জন্য রাজনৈতিক সমঝোতার দরকার আছে। তা হলে আমরা অনেক দুর এগিয়ে যাবো।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

জুনে ইউরোপে আশ্রয়ের আবেদন ১৭ শতাংশ কমেছে

জুনে ইউরোপে আশ্রয়ের আবেদন ১৭ শতাংশ কমেছে

রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট

রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট

গারো পাহাড়ের বালু খেকোদের বিরুদ্ধে এসিল্যান্ডের সতর্কবার্তা

গারো পাহাড়ের বালু খেকোদের বিরুদ্ধে এসিল্যান্ডের সতর্কবার্তা

রেকর্ডের মালা গেঁথে দ. আফ্রিকার বিপক্ষে আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়

রেকর্ডের মালা গেঁথে দ. আফ্রিকার বিপক্ষে আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়

মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর, চীনকে ঠেকাতে কোয়াড কি এখনও প্রাসঙ্গিক?

মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর, চীনকে ঠেকাতে কোয়াড কি এখনও প্রাসঙ্গিক?

টেলর সুইফটের পর কমলাকে বিখ্যাত বিজ্ঞান ম্যাগাজিনের সমর্থন নিয়ে বিতর্ক

টেলর সুইফটের পর কমলাকে বিখ্যাত বিজ্ঞান ম্যাগাজিনের সমর্থন নিয়ে বিতর্ক

ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়

ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়

কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার

কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার

মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি

মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন