ফরিদপুরে স্কুল থেকে ১০ শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টাকালে স্কুলছাত্র-ছাত্রীসহ স্থানীয়রা দলবদ্ধ হয়ে অপহরণকারীদের ঘেরাও করে ৩ জন আটক করেছে এবং অপহরণকারীদের মাইক্রোবাসে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা। ফরিদপুর শরহতলীর কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশনের মাঠে এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, ঐ স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করতে গেলে সহপাঠীদের বাধার কবলে পরে অপহরকারীরা। এরপর তাদের রোধ করে সকলে গণধোলাই দেয় শিক্ষার্থীরা। এসময় উত্তেজিত জনতা ও স্কুলের শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী মিলে অপহরণকারীদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

গতকাল সোমবার ফরিদপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে রক্ষিত মহিলা কমিশনার জয়গুন বেগম ইনকিলাবকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এই বিষয় বিদ্যালয়ের শিক্ষক অমুল্য কুমার ইনকিলাবকে জানান, সোমবার সকালে কয়েকজন দুর্বৃত্ত একটি মাইক্রোবাসে করে আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশনের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সাহসিকতার সাথে ওই ছাত্রীর সহপাঠী ও স্থানীয়রা স্কুল মাঠের মধ্যে গাড়িটির গতিরোধ করে ধরে ফেলে। দুজনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে ও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে দিশেহারা ক্ষুব্ধ সহপাঠী ও স্থানীয়রা সকলে মিলে মাইক্রোবাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।

ঘটনার সাথে জড়িত আটকৃতরা হলো- ফরিদপুর সদর উপজেলার ইশানগোপালপুর ইউনিয়নের জয়দেবপুর গ্রামের ইসমাইলের ছেলে মামুন (৪০) ও শহরের গোয়ালচামট এলাকার বাদশা মোল্লার ছেলে আলমগীর (৫২)।
অপরদিকে, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল ইনকিলাবকে বলেন, একটি মাইক্রোবাস নিয়ে কয়েকজন দুর্বৃত্ত ওই স্কুলের এক ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা করে। সহপাঠীদের বাধার মুখে অপহরণে তারা ব্যর্থ হয়। সেসময় দুইজনকে আটক করে গণধোলাই দেয় স্থানীয় ও শিক্ষার্থীরা। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত একজনকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। দুর্বৃত্তদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে শিক্ষার্থীরা। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনা তদন্ত চলছে এর সাথে জড়িত অন্যদেরকে গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও তিনি জানান।

উল্লেখ্য হটাৎ করে শহরের বিভিন্ন জায়গায় চুরি ছিনতাইসহ নানা ধরনের অপরাধ প্রবণতা একটু বাড়ছে বলে শহরবাসী মনে করেন।