সংবিধানে ‘নির্বাচনকালীন সরকার’ বলে কিছু নেই। তফশিল ঘোষণার পর থেকে বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে থাকবে। এ কথা বলেছেন আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। আইনমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্ভর করবে, তিনি কী করবেন। বর্তমান সরকারের আকার ছোট করবেন কি না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রভিশন ফিরিয়ে আনার কোনো সুযোগ নেই। সংসদের চলতি অধিবেশনে এমন প্রস্তাব উত্থাপিত হবে না। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত প্রতিবার নির্বাচন নষ্ট করার চেষ্টা চালায়। এবারও তারা সেই চেষ্টাই করছে। কিন্তু এতে কোনো লাভ হবে না।

আনসারদের তল্লাশি এবং গ্রেফতার করার ক্ষমতা প্রদান প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যদের অপরাধীকে গ্রেফতার ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে না । এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেছেন যে এ সব কোনো ক্ষমতা আনসারকে দেয়া হচ্ছে না। এই আইনটা নিয়ে যেসব বিষয়ে প্রশ্ন ছিল, সেই সব ব্যাপার দেখা হয়েছে। তদন্তের কথা বলা হয়েছে, পুলিশ বাহিনীর বক্তব্যগুলো প্রাধান্য দিয়ে এই আইনটা পাস হবে।

আইনটিতে বলা হয়েছে, কোনো অপরাধ যদি আনসার বাহিনীর সামনে ঘটে, তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ধরে পুলিশে সোপর্দ করতে পারবে। একজন সাংবাদিক এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, আমি যেটা জানি... কিছু কিছু জায়গায়... যেখানে প্রশ্ন ছিল, সেটা যখন স্থায়ী কমিটিতে যাবে, সেগুলো স্পষ্ট করা হবে।

এ সংসদে যাতে সংবিধান সংশোধন করা হয় সেজন্য ৩০ অক্টোবর আইন মন্ত্রণালয়ের অভিমুখে ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, এ ব্যাপারে শুধু আমি একটা কথাই বলতে চাই, রাজনৈতিক কর্মসূচি দেয়ার অধিকার তাদের আছে। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে একটি বিষয় আমি পরিষ্কার বলে দিতে চাই, সেটা হচ্ছে সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও অবৈধ ঘোষণা করেছে। এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করেছে। এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারা ফিরিয়ে আনার কোনো সম্ভাবনা নেই।

আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধানে বলা আছে, নির্বাচন কখন হবে, সেই অনুসারে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে। আমরা চাই, সবাই নির্বাচনে আসুক এবং নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে।