আজ ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ। এ সমাবেশ দেশের গণতন্ত্রের টানিং পয়েন্ট। এই সমাবেশ সফলতার মধ্যে দিয়ে শুরু হবে সরকার পতনের এক মহাযাত্রা। এমনটি মনে করছেন সরকার বিরোধীরা। সরকার পতনের এ মহাযাত্রার সূচনাতে শরিক হতে সারাদেশের ন্যায় সিলেট বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী এখন ঢাকায়। প্রতিকুল পরিবেশ পরিস্থিতির যেতে হচ্ছে তাদের। গ্রেফতারসহ অজানা শঙ্কার শেষ নেই তবুও নির্ভিক তারা। মনে করা হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মী পৌঁছেছে ঢাকায়। বেশির ভাগেই দু-একদিন আগেই সিলেট থেকে ঢাকায় গিয়ে অবস্থান করছেন। তবে, সমাবেশে অংশ নিতে গিয়ে বাধার সম্মুখিন হচ্ছে। সূত্র জানায়, শুধু বাসে নয় গত কয়েকদিন ধরে সিলেট থেকে ট্রেন, মাইক্রোবাস ও বিমানে অনেক নেতাকর্মী ঢাকায় যান।
জানা যায়, সমাবেশের ব্যাপারে গত মঙ্গলবার বিকালে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি যৌথভাবে প্রস্তুতি সভা করে। এ সভায় নেতাকর্মীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। যৌথ সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, ড.এনামুল হক চৌধুরী ও আরিফুল হক চৌধুরী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী ও আবুল কাহের চৌধুরী শামীমসহ সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।
সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতারা জানান, সিলেট বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী মহাসমাবেশ যোগ দিতে প্রস্তুত। দলবদ্ধভাবে নয়, যার যার সুবিধামতো উপায়ে ঢাকায় যেতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সমাবেশে যাওয়ার পথে সরকারের বাধার মুখে যেন পড়তে না হয়, সেজন্য দু থেকে তিনদিন আগেই ঢাকায় যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সিলেট জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি ময়নুল ইসলাম গতকাল বিকেলে জানান, গত কয়েকদিন অস্বাভাবিকভাবে বাসের টিকিট বিক্রি হয়েছে। প্রতিটি বাস যাত্রীভর্তি ছিলো।
ঢাকায় অবস্থানরত সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, মহাসমাবেশে যোগ দিতে সিলেট থেকে প্রায় কয়েক হাজার নেতাকর্মী এখন ঢাকায় অবস্থান করছে। আমরা পূর্ব থেকে নেতাকর্মীদের জানিয়ে দিয়েছিলাম যে যার মতো যাওয়ার জন্য তাই তারা আগে থেকেই ঢাকায় এসেছে। সিলেট থেকে এই সমাবেশে দশ হাজার নেতাকর্মী যোগ দেবে বলে জানান তিনি।