৩ নভেম্বর রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ ৩ দাবিতে গণভবনের সামনে সোহেল তাজ

স্টাফ রিপোর্টার

০৩ নভেম্বর ২০২৩, ০১:০৭ এএম | আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৩, ০১:০৭ এএম

৩রা নভেম্বর রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ মোট তিন দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার গণভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন জাতীয় ৪ নেতার অন্যতম তাজউদ্দিন আহমেদের পুত্র, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। তিনি বলেছেন, আজকে বলতে দু:খ হয়, আমি ব্যক্তিগতভাবে জাতীয় ৪ নেতার পরিবারের সন্তান হিসেবে এবং দেশের নাগরিক হিসেবে আমার কষ্টের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, এই জাতীয় ৪ নেতারার সঠিক মূল্যায়ণ আজ অবধী বাংলাদেশে হয়নি। ওই দাবিগুলোর বিষয়ে সঠিক জবাব না পাওয়া পর্যন্ত তিনি সেখানে (গণভবনে) অবস্থান করবেন বলে জানান।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে গণভবন অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেন সোহেল তাজ। এ সময় সঙ্গে ছিলেন তাঁর বড় বোন শারমিন আহমদ। সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে সোহেল তাজ বলেন, আপনারা জানেন, আগামীকাল (আজ) ৩রা নভেম্বর, বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় দিন। এই দিনে আমাদের জাতীয় ৪ নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এই জাতীয় ৪ নেতা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সে সময় এই জাতীয় ৪ নেতা বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন করেছিলেন। যাকে আমরা মুজিবনগর সরকার হিসেবে জানি। তিনি আরো বলেন, আজকে বলতে দু:খ হয়, আমি ব্যক্তিগতভাবে জাতীয় ৪ নেতার পরিবারের সন্তান হিসেবে এবং দেশের নাগরিক হিসেবে আমার কষ্টের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, এই জাতীয় ৪ নেতারার সঠিক মূল্যায়ণ আজ অবধী বাংলাদেশে হয়নি।
তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগভাবে মনে করি, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, এমন একটি দেশের জন্য যেখানে সকল নাগরিকের ন্যায় বিচার ও সুবিচার থাকবে। সকল নাগরিকের সমান অধিকার থাকবে। এমন বাংলাদেশ হবে, যেখানে দূর্নীতি মুক্তি একটি সমাজ ব্যবস্থা থাকবে। যেভাবে মেধাভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা থাকবে। যেভাবে সকলের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের সুযোগ সুবিধা থাকবে এবং অধিকার থাকবে।
এ সময় ৩রা নভেম্বরকে রাষ্ট্রীভাবে পালন করা হয় ৩ দফা দাবি করেন সোহেল তাজ। তিনি জানান, দাবির বিষয়ে সঠিক জবাব না পাওয়া পর্যন্ত গণভবনের সামনে থেকে আমি যাব না। তিনি আরো বলেন, আমার দাবি যুক্তিসংগত। কিন্তু আমি জানতে চাই কেন এই দাবি পূরণ হচ্ছে না। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছে। সোহেল তাজের দাবিগুলো হলো- ১. ৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন, ২. ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হওয়ায় ওই দিনকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করা এবং ৩. জাতীয় ৪ নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১০ এপ্রিলও পদযাত্রা করে একই দাবিতে গণভবনে গিয়ে তিনি স্মারকলিপি জমা দিয়েছিলেন।

বিভাগ : জাতীয়