দেরাদুনে সিল করা হলো নির্বাসিত আফগান রাজার বাড়ি

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক :

০৪ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৭ এএম | আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৭ এএম

ভারতের দেরাদুনের ইসি রোডে অবস্থিত ‘কাবুল হাউস’। ১৯ শতকের শেষদিকে, দ্বিতীয় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধের পর ভারতে নির্বাসন দেয়া হয়েছিল তখনকার আফগানিস্তানের সুলতান মহম্মদ ইয়াকুব খানকে। তিনিই এই বাড়িটি তৈরি করেছিলেন। বৃহস্পতিবার এই বাড়িটি সিল করে দিল দেরাদুন কর্তৃপক্ষ। কারণ এটি শত্রুপক্ষের সম্পত্তি।

এর আগে বৃহস্পতিবার, কাবুল হাউস থেকে সমস্ত দখলদারি অপসারণ করে সিটি ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ। এর ফলে গৃহহীন হয়ে পড়েছে অন্তত ১৬টি পরিবারের প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ লোক। তারা সকলেই নিজেদের নির্বাসিত আফগান রাজার বংশধর বলে দাবি করেন।

গত ৪০ বছর ধরে দেরাদুন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কাবুল হাউস নিয়ে মামলা চলছে। ২০১৯-এ জেলা কর্তৃপক্ষ বাড়িটিকে ‘শত্রুপক্ষের সম্পত্তি’ হিসেবে দাগিয়ে দিয়েছিল। জেলা প্রশাসনের দাবি, কাবুল হাউসে যারা থাকতেন, দেশভাগের পর তারা সকলেই পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন। ফলে, এই সম্পত্তিটি পাকিস্তানিদের বলেই ধরতে হবে। তাই এটিকে ‘শত্রুপক্ষের সম্পত্তি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দিন কয়েক আগে, আদালত বাড়িটি থেকে সবাইকে উঠে যাওয়ার আদেশ দিয়েছিল। বাড়িটি খালি করার জন্য ১৫ দিন সময় দেয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার, পুলিশ বাহিনী নিয়ে গিয়ে সকলকে বাড়ি থেকে বের করে দেন জেলাশাসক।
তবে, বাড়িটির এতদিনের বাসিন্দারা জানিয়েছে, তারাই ইয়াকুব খানের বংশধর। আর, তারা কখনই কাবুল হাউস ছেড়ে যাননি। তাদের দাবি, ইয়াকুবের ১১ জন ছেলে এবং ১১ জন মেয়ে ছিলেন। তাদের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজন পাকিস্তানে পাড়ি দিয়েছিলেন। কিন্তু, তাদের অধিকাংশই দেরাদুন বা আফগানিস্তানে থেকে গিয়েছিলেন। তারা আরও জানিয়েছেন, একশ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই বাড়িতে থাকেন তারা। হঠাৎ করেই তাদের বাড়ি খালি করার আদেশ দেয়া হয়েছিল। ঘরবাড়ি হারিয়ে এখন অকূল পাথারে পড়েছেন তারা। ১৪৪ বছরের পুরোনো এই বাড়িটির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৪০০ কোটি রুপি।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

মেসির সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন সেই সাংবাদিক

মেসির সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন সেই সাংবাদিক

দেশের মানুষ হাসিনার ফাঁসি চায় :ভোলায় সারজিস আলম

দেশের মানুষ হাসিনার ফাঁসি চায় :ভোলায় সারজিস আলম

জীবনযাত্রা ব্যয় আরো বাড়তে পারে

জীবনযাত্রা ব্যয় আরো বাড়তে পারে

সাবেক ওসি শাহ আলমকে ধরতে সারা দেশে রেড অ্যালার্ট

সাবেক ওসি শাহ আলমকে ধরতে সারা দেশে রেড অ্যালার্ট

মনে হচ্ছে পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে

মনে হচ্ছে পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ভালোভাবেই হচ্ছে

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ভালোভাবেই হচ্ছে

চাল ও মুরগির বাজার অস্থিতিশীল

চাল ও মুরগির বাজার অস্থিতিশীল

সামরিক খাতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় তুরস্ক

সামরিক খাতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় তুরস্ক

মানুষ জবাই করা আর হাত-পা ভেঙে দেয়ার নাম তাবলিগ নয় :জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ান

মানুষ জবাই করা আর হাত-পা ভেঙে দেয়ার নাম তাবলিগ নয় :জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ান

মুজিব কোট এখন ‘বাচ্চাদের পটি’

মুজিব কোট এখন ‘বাচ্চাদের পটি’

সীমান্তে প্রতিরোধ ব্যূহ

সীমান্তে প্রতিরোধ ব্যূহ

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আরও ৬ জনের লাশ ঢামেক মর্গে

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আরও ৬ জনের লাশ ঢামেক মর্গে

মালয়েশিয়ায় এনআইডি ও স্মার্ট কার্ড সেবা কার্যক্রম চালু হচ্ছে

মালয়েশিয়ায় এনআইডি ও স্মার্ট কার্ড সেবা কার্যক্রম চালু হচ্ছে

সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার

সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার

ক্র্যাবের সভাপতি তমাল, সাধারণ সম্পাদক বাদশাহ্

ক্র্যাবের সভাপতি তমাল, সাধারণ সম্পাদক বাদশাহ্

মুকসুদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ : আহত ২৫

মুকসুদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ : আহত ২৫

ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সহযোগী মনে করে তালেবান

ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সহযোগী মনে করে তালেবান

মাইনাস টু ফর্মুলার আশা কখনো পূরণ হবে না : আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

মাইনাস টু ফর্মুলার আশা কখনো পূরণ হবে না : আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

গাজীপুর কারাগারে শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যু

গাজীপুর কারাগারে শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যু

ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে শীর্ষ পর্যায়ের দূত পাঠাবে চীন

ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে শীর্ষ পর্যায়ের দূত পাঠাবে চীন