কতিপয় সংবাদপত্রের মিথ্যাচার
১২ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১০ এএম | আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১০ এএম
দিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভারতের মন্ত্রী পর্যায়ের টু-প্লাস-টু বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়েছে কি না তা নিয়ে মিথ্যাচার করেছে বাংলাদেশে কিছু গণমাধ্যম। গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের বিপরীতে ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বিশ্বের বৃহত্তম দুই গণতান্ত্রিক দেশের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠক শেষে এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা দাবি করেন, বৈঠকে বাংলাদেশের বিষয়ে তার সরকারের অবস্থান ‘স্পষ্টভাবেই’ তুলে ধরেছেন তারা।
আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশে সরকার দলের প্রস্তুতি এবং বিরোধী দলগুলোর চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের শ্যেন দৃষ্টি ছিল দিল্লিতে এই বৈঠকের দিকে। কিন্তু উৎসুক রাজনীতিবিদ বা গণমাধ্যমকে অনেকটা হতাশ হতে হয়। তবুও অতি আশাবাদীরা ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যকে ভিত্তি ধরে নানা গসিপ তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। মূলত মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের যৌথ বিবৃতিতে এবং ভারতের মূলধারার গণমাধ্যমগুলোতে বাংলাদেশের প্রসঙ্গটি স্থান না পেলেও পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে উল্লেখ করেছেন যে, তাদের পক্ষ থেকে প্রসঙ্গটি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে উপস্থাপিত হয়েছে।
বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘উদ্বেগের’ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিনয় কোয়াত্রা বলেন, ‘তৃতীয় কোনো দেশের নীতিমালা নিয়ে আমাদের মন্তব্য করার জায়গা নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সেদেশের মানুষ তাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন’।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের এ অবস্থানের কোনো প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রে পড়বে বলে মনে হয় না। যৌথ বিবৃতিতে যেসব বিষয়ে তারা একমত হয়েছেন সেসব বিষয়ই তুলে ধরা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে সহযোগী দৈনিককে তার মন্তব্য দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। এই পরিবর্তন আসার সম্ভাবনাও কম। তাদের ভাষ্য, শুক্রবার বৈঠকের পর দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে এটা আরো ভালোভাবে বোঝা গেছে।
এম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমি মনে করি দুই দেশ যার যার অবস্থানেই আছে। ওরা যে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে তাতে বৈঠকে এ বিষয়ে (বাংলাদেশের) আদৌ কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা সেটারও কোনো উল্লেখ নেই। এতে আমরা ধরেই নিতে পারি যে এটা নিয়ে কোনো এগ্রিমেন্ট, কোনো ধরনের এক্সচেঞ্জ হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকেও এটা নিয়ে কিছু বলা হয়নি।
‘তারা যদি বিষয়টি (বাংলাদেশের নির্বাচন) নিয়ে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতেন, কিংবা যদি বলতেন যে আমরা বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করেছি এবং এই এই জায়গায় একমত হয়েছি- তাহলে হয়তো বিষয়টা অন্যরকম হতো’।
হুমায়ুন কবির আরো বলেছেন, ‘এক্ষেত্রে এটা ধারণা করাটা খুব অযৌক্তিক হবে না যে, তারা তাদের পারস্পরিক অবস্থানটাই ধরে রেখেছেন এবং কোনো মতৈক্য হয়নি। অর্থাৎ তারা তাদের নিজ নিজ অবস্থানেই আছেন’।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত
অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে
দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১
নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে
অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন
ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের
পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ
মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি
রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী
বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের
আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া
ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী
সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির
রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার
উন্মুক্ত মঞ্চে তরুণদের উচ্ছ্বাস