গারো পাহাড়ে বন্যহাতি আতঙ্কে আধাপাকা ধান কাটছে কৃষক
১৬ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৭ এএম | আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৭ এএম
শেরপুর জেলার গারো পাহাড়ে পাকতে শুরু করেছে স্বপ্নের আমন ধান। সেই সাথে কৃষকের মাঝে বাড়ছে বন্যহাতি আতঙ্ক। ফলে অনেক কৃষক ভয়ে আধাপাকা ধান কেটে ঘরে তুলছেন। শেরপুর জেলা (উত্তর) গারো পাহাড়ের ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর কৃষকের মাঝে চলছে এমন ভীতিকর অবস্থা।
সীমান্তবর্তী পানিহাটা গ্রামের কৃষক বিজার কুবির। ধারকর্জ করে পানিহাটা ও ফেকামারীতে ৬৫ শতক জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। ফলনও ভালোই হয়েছে। সপ্তাহান্তেই পাকবে ধান। কিন্তু সেই আধা পাকা ধান কেটে নিতে বাধ্য হন তিনি। বিজার কুবির জানান, ক্ষেতের পাশেই তালতলা পাহাড়ে হাতির পাল অবস্থান করছে। বাধ্য হয়েই হাতির ভয়ে আধা পাকা ধান কাটতে হচ্ছে। তা ছাড়া ফসল রক্ষার কোন উপায় নেই। শুধু বিজার কুবির একা নয়, তার মতো পানিহাটা ও ফেকামারী সীমান্ত এলাকার অর্ধশত কৃষক বন্য হাতির আক্রমণ থেকে রক্ষায় আধাপাকা ধান কাটতে বাধ্য হচ্ছেন। হাতির পাল প্রতিরোধ ও আমন ধান রক্ষায় তারা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। মধুটিলা বন বিভাগ ও সীমান্তবর্তী কৃষকরা জানান, রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের পানিহাটা ও ফেকামারী গ্রামে ভারত সীমান্তবর্তী কমপক্ষে ১০০ একর জমিতে অর্ধশত কৃষক আমন ধান আবাদ করেছেন। ধান পাকতে এক থেকে দেড় সপ্তাহ সময় প্রয়োজন। কিন্তু জমির পাশেই তালতলা টিলায় পাহাড়ি জঙ্গলে গত কদিন ধরেই ৪০ থেকে ৫০টি বন্য হাতির পাল অবস্থান করছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে পানিহাটায় হাতির পাল ধানখেতে নেমে ৫০ শতক জমির ধান খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে বিনষ্ট করেছে। এলাকাবাসী মশাল জ্বালিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে হাতির পাল তাড়াচ্ছেন। বাধ্য হয়েই গত শুক্রবার থেকে ফসল রক্ষায় স্থানীয় কৃষকেরা জমির আধাপাকা ধান কাটতে বাধ্য হচ্ছেন।
পানিহাটা গ্রামের লিটন মানকিন বলেন, ৫০ শতক জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছি। ধান পাকতে ও কাটতে দুই-এক সপ্তাহ সময় প্রয়োজন ছিল। কিন্তু হাতির আক্রমণের ভয়ে নিরুপায় হয়ে আধাপাকা ধান কেটে বাড়ি নিয়ে আসতে হয়েছে। কৃষক প্রদীপ নিংমিংজা বলেন, ৪৫ শতক জমিতে ফলন ভালই হয়েছে। কিন্তু প্রতি রাতেই হাতি হানা দিচ্ছিল। তাই বাধ্য হয়েই আধাপাকা ধান কাটতে হচ্ছে।
বন বিভাগের গোপালপুর বিট অফিসার সাব্বির জাহাঙ্গীর বিন ওয়ালি বলেন, গত ৫ থেকে ৭ দিন যাবৎ পানিহাটা ও ফেকামারীর পাশে তালতলা বনে ৪০ থেকে ৪৫টি বন্য হাতির একটি পাল অবস্থান করছে। সমতলে হাতি প্রতিরোধে বন বিভাগের কর্মকর্তাসহ এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছে। বন বিভাগের মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জ অফিসার আবদুল করিম বলেন, প্রতি বছরই ধান পাকার মৌসুমে বন্য হাতির পাল প্রতি রাতে ধানক্ষেতে হানা দেয়। তাই কোন কোন কৃষক ফসল রক্ষায় আধাপাকা ধান কেটে নিচ্ছেন। তবে হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বন বিভাগ ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকে। হাতির যেন ক্ষতি না হয়, সে জন্য আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ট্রাম্পের তথ্য চুরি করে বাইডেন শিবিরে পাঠিয়েছিল ইরান! দাবি গোয়েন্দা সংস্থার
সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান গ্রেফতার
ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার
আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়
হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড ইংল্যান্ড
পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের
বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি
ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী
সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু
রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে
বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে
বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা
লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই
রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে
দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা
জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ
উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন
সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।