‘নির্বাচনের আগে বিরোধী নেতাকর্মীদের সাজা হচ্ছে বাংলাদেশে’
২৫ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম | আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম
বাংলাদেশের আদালত প্রধান বিরোধী দল বিএনপি’র অন্তত ৯৮ জন কর্মকর্তা (কার্যত নেতা) ও এক্টিভিস্টকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। এর ফলে গত মাস থেকে এ পর্যন্ত সাজা পাওয়া ব্যক্তির সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে। বিএনপি বলেছে, দেশের একমাত্র বিরোধী দলকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে এ মামলাগুলো দেয়া হচ্ছে এবং এগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বাংলাদেশে আগামী ৭ জানুয়ারি একটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা চতুর্থ দফা ক্ষমতায় আসতে চান শেখ হাসিনা। নির্বাচনের আগে সহিংসতার অভিযোগে অনেক বিরোধী নেতাকর্মীদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তারা আড়াই থেকে সাত বছর পর্যন্ত সাজা পেয়েছেন।
মনির উজ জামান নামের একজন প্রসিকিউটর বলেন, ২০১৩ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে বিএনপির ৭৫ কর্মীকে ঢাকার একটি আদালতে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ৭৫ জনের মধ্যে ৭২ জনই ‘পলাতক’ এবং এখন তারা ‘ওয়ান্টেড’ তালিকাভুক্ত।
তাপস কুমার পাল নামের অন্য একজন প্রসিকিউটর এএফপিকে বলেন, ঢাকার আরেকটি আদালত ২০১৫ সালের এক সহিংসতার দায়ে ১২ বিএনপি কর্মীকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। আসামিপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম জানান, ২০১৩ সালে রাজনৈতিক সংঘর্ষের সময় সহিংসতার দায়ে গত বুধবার বিএনপির আরো ১১ সদস্যকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এই দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে বেশ কয়েকজন অনুপস্থিত ছিলেন। নজরুল ইসলাম বলেন, তাড়াহুড়ো করে মামলাগুলোর রায় দেয়া হয়। বিএনপির আইনজীবী কায়সার কামাল অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বিএনপির অন্তত ৪০০ সিনিয়র কর্মকর্তা ও এক্টিভিস্টকে সাজা দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য, যুব ও ছাত্রনেতা এবং যারা আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রত্যাশী ছিলেন তারাও আছেন। তিনি বলেন, এই মামলাগুলো মঞ্চস্থ, ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জাতীয় নির্বাচনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে হঠাৎ করেই এসব মামলার বিচার শুরু হয়।
শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা ছাড়তে এবং একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি কয়েকটি বড় সমাবেশ ও মিছিল করেছে। কিন্তু গত মাসের শেষ দিক থেকে পুলিশ বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন চালানো শুরু করেছে। এতে বিএনপির প্রায় পুরো শীর্ষ নেতৃত্বকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং হাজার হাজার কর্মী-সমর্থকও গ্রেপ্তার হয়েছে। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ব্যাপক আকারে বড় হয়েছে। কিন্তু তার ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ববাদী শাসন এবং হাজার হাজার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উদ্বেগেরও জন্ম হয়েছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
রেকর্ডের মালা গেঁথে দ. আফ্রিকার বিপক্ষে আফগানের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়
মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর, চীনকে ঠেকাতে কোয়াড কি এখনও প্রাসঙ্গিক?
টেলর সুইফটের পর কমলাকে বিখ্যাত বিজ্ঞান ম্যাগাজিনের সমর্থন নিয়ে বিতর্ক
ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়
কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার
মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই
নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন
চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে
নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন