জনগণের আন্দোলন বালির বাঁধ দিয়ে থামানো যায় না
১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম | আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম
বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, নদীর জোয়ার বালির বাঁধ দিয়ে থামানো যায় না। শহীদের রক্তাক্ত সংগ্রামে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, লড়াই করছি। বালির বাঁধ ভেঙ্গে আমরা জোয়ারের বাঁধ গড়ে তুলেছি। আমরা আজ এখানে নবতর উপায়ে সংগ্রাম শুরু করব। সে সংগ্রামে লড়াই হবে শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এক দফা আন্দোলনের। আমরা চাই দেশের জনগণের ক্ষমতা জনগণকেই ফিরিয়ে দিতে। এ লড়াই দেশের জনগণের কন্ঠরোধ করে সর্বক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে তার বিরুদ্ধে। সে বাধাকে উপেক্ষা করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব। আমরা সরকারকে এটা বলতে চাই, বালির বাঁধ কখনও টিকবে না। জোয়ারের পানি এগিয়ে যাবে।
তিনি গতকাল শনিবার নগরীর এনায়েত বাজার মোড়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে মহান বিজয় দিবসের বিজয় র্যালি পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বিজয় দিবস উপলক্ষে সকাল থেকে মহানগর বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীরা রঙ বেরঙের সাজে এনায়েত বাজার মোড়ে সমবেত হয়। সেখানে সমাবেশ শেষে আবদুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে এক বিশাল বিজয় র্যালি নিয়ে জুবিলি রোড, তিন পুলের মাথা হয়ে নিউমার্কেট সংলগ্ন অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানান।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।
এসময় আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আমাদের দলের নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কারাগারে আছেন। অবিলম্বে তাকে মুক্তি না দিলে কারাগার ভেঙ্গে আমরা তাকে মুক্ত করবো। আমাদের নেতা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাসসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্ত করবো। এ মুক্তি আন্দোলনের মধ্যে করতে হবে। এ সরকারের কাছে চাওয়ার কিছু নেই। সরকার ধ্বসে পড়েছে। আমরা জয়ের মুখোমুখি, বিজয় অর্জনের প্রাক্কালে।
নোমান বলেন, সরকার বার বার চেষ্টা করেছে আমাদের সব কর্মসূচি ব্যর্থ করে দেয়ার জন্য। কিন্তু একটি কর্মসূচিও ব্যর্থ হয়নি। বরং কর্মসূচিগুলো অসাধারণ হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের একদফা আন্দোলনের কায়েম না হবে ততদিন আমাদের সংগ্রাম চলবে। আমরা বলতে চাই, বালির বাঁধ যতই বড় দেখা যাক সে বালির বাঁধ থাকবে না। আমরা বালির বাঁধের বিরুদ্ধে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এস এম ফজলুল হক বলেন, শেখ হাসিনার সরকারই শেষ সরকার নয়। আজ হোক কাল হোক বিদায় তাদের অনিবার্য পরিণতি। পৃথিবীর প্রতিটি স্বৈরাচারে পতন হয়েছে করুণভাবে। বিএনপির নেতাকর্মীকে জেলে পুরে গোটা দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করেই আমরা একটি স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছিলাম। এই যুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। কিন্তু আজকে এই দেশ সম্পূর্ণভাবে গণতন্ত্রবিহীন হয়ে পড়েছে। এই দেশে আজ মানুষের ভোটের অধিকার নেই। সমস্ত গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো হরণ করা হয়েছে। মানুষের অধিকার হরণ করে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, দেশের মানুষ এবং গণতান্ত্রিক বিশ্বের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে আওয়ামী ডামি, আওয়ামী স্বতন্ত্র, আওয়ামী নৌকা, মনোনীত নৌকার এক অদ্ভুত নির্বাচনের আয়োজন চলছে। একই ক্লাবের খেলা। খেলোয়াড়ও একই দলের। নিজেরাই নিজেদের বিরোধী দল। ভোটারদের কাছে আহ্বান, জবরদস্তি করলেও ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। ভোট বর্জন করুন। শেখ হাসিনার ভোটরঙ্গ রুখে দিন।
এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, আজকে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে দেয়া হচ্ছে না। ক্ষমতাসীনরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে গোটা জাতিকে বিকৃত ইতিহাস দিচ্ছেন। বর্তমানে দেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো রাজনীতি নেই, আছে শুধু দলনীতি।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বিএনপি স্বাধীনতার ঘোষক সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানের দল। চট্টগ্রামের মাটি থেকে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে যে স্বপ্ন নিয়ে বীর জাতি অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল সে স্বপ্ন আজ ভূলুণ্ঠিত। আওয়ামী লীগ সরকার ভোটাধিকার হরণ করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে।
এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক অ্যাড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, মাহবুব আলম, জসিম উদ্দিন শিকদার, এস এম আবুল ফয়েজ, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, কেন্দ্রীয় মহিলাদলের যুগ্ম সম্পাদক ফাতেমা বাদশা, মহানগর মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী মো. সালাউদ্দীন, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, আবদুস সাত্তার সেলিম, মো. সেকান্দর, হাজী হানিফ সওদাগর, আবদুল্লাহ আল হারুন, থানা সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, জাহিদুল হাসান, মো. শাহাবুদ্দীন, হাজী বাদশা মিয়া, জসিম উদ্দিন জিয়া, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, মনির আহম্মেদ চৌধুরী, আবদুল কাদের জসিম, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, জাহাঙ্গীর আলম, গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া, কাওসার হোসেন বাবু, কৃষকদলের আহ্বায়ক মো. আলমগীর, তাঁতীদলের মনিরুজ্জামান টিটু প্রমুখ। ##
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
গোল উৎসবে বার্সার ছয়ে ছয়
রোনালদোর দ্রততম শত গোলের রেকর্ড ছুঁলেন হল্যান্ড
ঘটনাবহুল ড্রয়ে শেষ আর্সনাল-সিটি মহারণ
বায়তুল মোকাররমের ঘটনার জেরে ইফা মহাপরিচালক প্রত্যাহার
কোর্ট ম্যারেজ করা প্রসঙ্গে?
এখনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বরদের রেখেছেন কেন? - রিজভী
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে
রাষ্ট্র গঠনে যা করা জরুরি
নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে একটি প্রস্তাবনা
ঈশ্বরদীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনসহ যুবদল নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
ইসরাইল এখনো সন্ত্রাসীর মতো হামলা চালাচ্ছে
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অতিশী
ওরা পার্বত্য অঞ্চলকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়
বৃষ্টির মতো রকেট নিক্ষেপ হিজবুল্লাহর পালিয়েছেন লাখ লাখ ইসরাইলি
পাহাড়ে অশান্তির বীজ উপরে ফেলতে হবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে
পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ
শৈলকুপায় অস্ত্র ও গুলিসহ ২ জন আটক
অশান্ত মণিপুরে সেনা টহল
‘ট্রাম্প ও তার দল ভণ্ডামি করছে’
হেলিকপ্টারে যেতে পারলেন না ভারতের দুই মন্ত্রী