আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে জাকের পার্টি। দুই শতাধিক আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন দলটির মনোনীত প্রার্থীরা। জাকের পার্টির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চেয়ারম্যানের প্রেসসচিব কাজী মো. রাশেদুল হাসান বলেছেন, আমরা ভেবেছিলাম জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের সাথে জাকের পার্টির একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হবে, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত গতকাল পর্যন্ত দেখা গেল নির্বাচন ভাগাভাগি হয়ে গিয়েছে।

গতকাল রোববার দুপুর দেড়টায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে এই মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, জাকের পার্টি সারা দেশে ২১৮টি আসনে দলীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে। তবে নোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে দুই শতাধিক আসন থেকে দলীয় প্রার্থী সরে দাঁড়াবে। তবে কিছু আসনে জাকের পার্টির প্রার্থী থাকবে। সেই সংখ্যাটা দশেরও কম হবে। এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন।গতকাল বিকেল ৪টার মধ্যে বৈধ প্রার্থীরা রিটার্নিং কার্যালয়ে হাজির হয়ে অথবা বার্তাবাহকের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। আর আজ সোমবার প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এদিন থেকেই নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। রাশেদুল হাসান বলেন, আমরা গত ৬ মাস ধরে ৩০০টি আসনে নির্বাচন করার জন্য প্রার্থীতা দিয়েছিলাম। তবে ২১৮ আসনে আমাদের প্রার্থীতা বৈধ হয়েছিল। এরমধ্যে আজকে পর্যন্ত আমরা দেখলাম, যে নির্বাচন আমরা ভেবেছিলাম জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের সাথে জাকের পার্টির একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হবে কিন্তু গতকাল পর্যন্ত দেখা গেল নির্বাচন ভাগাভাগি হয়ে গেছে। জাকের পার্টির এই প্রেস সেক্রেটারি আরও বলেন, জাকের পার্টির জনপ্রিয়তা যাচায়ের সুযোগ গতকালই নষ্ট হয়ে গেছে। তাই হাইকমান্ডের নির্দেশে আমরা আমাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করলাম। আমাদের অধিকাংশ প্রার্থী ইতিমধ্যে প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

জাকের পার্টি ২১৮ আসনেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে আমাদের সুপ্রিম অথরিটি বিভিন্ন কারণে কয়েকটা রাখবেন কিনা সেটা তারা জানেন।