যুবদল সভাপতি

গায়েবি মামলার মতো গায়েবি জবানবন্দি নেওয়া হচ্ছে

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম | আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম

রিমান্ডের নামে নির্যাতন করে, দিনের পর দিন গুম রেখে, অমানুষিক অত্যাচার করে বিএনপি নেতাকর্মীদের দিয়ে যেসব স্বীকারোক্তি আদায় করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু। তিনি বলেন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সারাদেশে গায়েবি মামলার পর আদালতে গায়েবি বিচারের মতো এগুলোও গায়েবি স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি। যা জনগণ কখনোই বিশ্বাস করে না।
গতকাল বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি গ্রেপ্তারকৃত বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী নাশকতার ঘটনায় সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুকে জড়িয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এর মধ্যে গাজীপুরে ট্রেন লাইন কাটার ঘটনায় আটক ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি ইখতিয়ার রহমান কবির তার জবানবন্দিতে টুকুর ইন্ধনে এ কাজ করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন গোয়েন্দা পুলিশ। তবে বিএনপির দাবি, ইখতিয়ার রহমান কবিরকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করার পর চারদিন নিখোঁজ রেখে অকথ্য নির্যাতন করে এই স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে।
সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু বলেন, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক, কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক থেকে এখন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘ ৩৬ বছরের রাজনৈতিক জীবনে অন্যায়ের কাছে নতি স্বীকার করেননি। সরকার মনে করেছে- নির্যাতন নিপীড়ন করে সরকার টিকে থাকতে পারবে। গুম করেছেন, হত্যা করেছেন, পঙ্গু করেছে। অসংখ্য নেতাকর্মীকে শহীদ করা হয়েছে। অনেককে গ্রেপ্তার করে মিথ্যা মামলায় অমানুষিক নির্যাতন করে মিথ্যা জবানবন্দী নিচ্ছেন। গায়েবি মামলা, গায়েবি সাজা দেওয়ার মতো গায়েবি জবানবন্দী নিয়ে কখনো পার পাওয়া যাবে না। মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। রাষ্ট্র শক্তি ব্যবহার করে মনে করেছেন- অন্যায়ভাবে এই আন্দোলনকে দমন করবেন। কিন্তু মানুষ আর বোকার স্বর্গে বাস করছে না। মানুষ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন দেখতে চায় না। এই সরকার ডামি নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছে। ইতোমধ্যে এই নির্বাচন ড্যাম (ধ্বংস) হয়ে গেছে মানুষের কাছে। কারন মানুষ মনে করছে- নির্বাচনের নামে পিঠা ভাগাভাগি করতে গণভবনে বসে নির্বাচনের আসন বন্টন করা হচ্ছে। কি নির্লজ্জভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে কাজ করছে এই বিশ্ব বেহায়া সরকার।
টুকু বলেন, মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। দেশের ৬ কোটি ভোটার যারা ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভোট দিতে পারে নাই, সেই ভোটারদের ভোট নিশ্চিত করতে এদেশের তরুণ, ছাত্র ও যুব সমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তাদের দাবি একটিই- এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়ে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরাপদে ভোট দিতে চান। সেই আন্দোলনের নেতৃত্বে আছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেখানে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে, মিথ্যা জবানবন্দী নিয়ে কখনো রাজপথ থেকে সরিয়ে রাখা যাবে না। সরকার মনে করেছে, ভয়ে ভীত হয়ে আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াবো। সেটা কখনো হবে না।
দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু বলেন, আসুন সবাই- সকল অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াই। সত্যের জয় একদিন হবেই, মিথ্যা পরাজিত হবেই। যারা অন্যায় করছেন তাদের বিচার একদিন বাংলার মাটিতে হবেই। জয় অনীবার্য। এই বিজয়কে কেউ রুখতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষ কখনো অন্যায়ের কাছে মাথানত করে নাই। এই অন্যায়ের কাছেও মাথানত করবে না। সকলে আগামীদিনে সকল ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে সকল নির্যাতন নিপীড়ন উপেক্ষা করে বাংলাদেশে রাস্তায় নেমে আসুন।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

জেলেদের দিক নির্ণয়ের জন্য বরগুনায় লাইট হাউজ স্থাপন

জেলেদের দিক নির্ণয়ের জন্য বরগুনায় লাইট হাউজ স্থাপন

ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের অভিষেকের বিরুদ্ধে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের অভিষেকের বিরুদ্ধে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের দুরবস্থা বর্ণনার বাইরে

বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের দুরবস্থা বর্ণনার বাইরে

বেনাপোলে ৩০ হাজার মার্কিন ডলারসহ ৪০ লাখ টাকার চোরাই পণ্য জব্দ

বেনাপোলে ৩০ হাজার মার্কিন ডলারসহ ৪০ লাখ টাকার চোরাই পণ্য জব্দ

গাজায় যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ ‘অস্থায়ী’: নেতানিয়াহু

গাজায় যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ ‘অস্থায়ী’: নেতানিয়াহু

রক্তে প্লাবিত শরীর, সিংহের মতো তৈমুরের হাত ধরে হাসপাতালে সাইফ

রক্তে প্লাবিত শরীর, সিংহের মতো তৈমুরের হাত ধরে হাসপাতালে সাইফ

বড়লেখায় যুবদল নেতাকে হত্যা

বড়লেখায় যুবদল নেতাকে হত্যা

মার্কিন বিমানবাহী জাহাজে হামলার দাবি হুথির

মার্কিন বিমানবাহী জাহাজে হামলার দাবি হুথির

সীমান্তের কাঁটাতার: কীসের, কেন আর কবে থেকে এই বেড়া?

সীমান্তের কাঁটাতার: কীসের, কেন আর কবে থেকে এই বেড়া?

জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে শীতার্ত মানুষের পাশে স্বেচ্ছাসেবক দল

জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে শীতার্ত মানুষের পাশে স্বেচ্ছাসেবক দল

নোয়াখালীর চৌমুহনীতে পাওনা টাকার দ্বন্দ্বে কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

নোয়াখালীর চৌমুহনীতে পাওনা টাকার দ্বন্দ্বে কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

ঘরে ফেরার আশায় জিনিসপত্র গুছিয়ে নিচ্ছেন বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা

ঘরে ফেরার আশায় জিনিসপত্র গুছিয়ে নিচ্ছেন বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা

জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতা যুদ্ধে মা-বোনদের খুন ও সম্ভ্রমহানির সাথে জড়িত ছিল: হাফিজ ইব্রাহিম

জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতা যুদ্ধে মা-বোনদের খুন ও সম্ভ্রমহানির সাথে জড়িত ছিল: হাফিজ ইব্রাহিম

সীমান্তে উসকানিদাতাদের চরম মূল্য দিতে হবে: আখতার হোসেন

সীমান্তে উসকানিদাতাদের চরম মূল্য দিতে হবে: আখতার হোসেন

সেনাপ্রধানের সঙ্গে রাওয়ার নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎ

সেনাপ্রধানের সঙ্গে রাওয়ার নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎ

ইস্তাম্বুলে শুরু হলো ফিলিস্তিনি আন্তর্জাতিক মিডিয়া ফোরাম 'তাওয়াসুল'

ইস্তাম্বুলে শুরু হলো ফিলিস্তিনি আন্তর্জাতিক মিডিয়া ফোরাম 'তাওয়াসুল'

বিএসএফ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে : লে. কর্নেল কিবরিয়া

বিএসএফ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে : লে. কর্নেল কিবরিয়া

যুদ্ধবিরতির প্রতীক্ষায় গাজার ফিলিস্তিনিরা, নিহত ৪৭ হাজার ছুঁই ছুঁই

যুদ্ধবিরতির প্রতীক্ষায় গাজার ফিলিস্তিনিরা, নিহত ৪৭ হাজার ছুঁই ছুঁই

এক সপ্তাহে মসজিদে নববীতে ৫৪ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়

এক সপ্তাহে মসজিদে নববীতে ৫৪ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়

ধর্ম নিয়ে তাচ্ছিল্যকারীদের বিরুদ্ধে জিহাদের ডাক দিলেন আজহারী

ধর্ম নিয়ে তাচ্ছিল্যকারীদের বিরুদ্ধে জিহাদের ডাক দিলেন আজহারী