মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন আরেকটি জালিয়াতির নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এটি আওয়ামী লীগের অধীনে একতরফা ও ভাঁওতাবাজির নির্বাচন। ভোটারদের সঙ্গে প্রতারণা করার নির্বাচন। ঐদিন নির্বাচনের নামে আওয়ামী লীগের দলীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে আওয়ামী লীগের তিন চার জন দলীয় লোকের মধ্য থেকে যেকোন একজনকে এমপি হিসেবে ঘোষণা করা হবে। ঠিক যেমনটা করে দলের কাউন্সিল করে জেলা ও উপজেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। এটা কোনো ভোট নয়। ভোট দিয়ে এই অবৈধ সরকারের ক্ষমতা নবায়নে সহযোগিতা করবেন না। এই নির্বাচন বন্ধ করতে হবে।
তিনি গতকাল রোববার নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী মাজার ও শেরশাহ এলাকায় সরকার পতনের একদফা দাবি ও ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে জনমত তৈরির লক্ষ্যে বায়েজিদ থানা কৃষক দলের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন। তিনি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী, দোকানদার ও সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করে আসন ভাগাভাগির একতরফা ডামি নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসী দল নয়, সন্ত্রাসী দল আওয়ামী লীগ। বিএনপির আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নিতে মানুষ পুড়িয়ে মারে আওয়ামী লীগের লোকেরা। কয়েকদিন আগে ভোলায় বোমা বানাতে গিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসী মারা গেছে। বরিশালে শেখ হাসিনার জনসভায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মারামারিতে একজন মারা গেছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষ, অস্ত্রবাজি হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে পেট্রোলবোমাসহ হাতেনাতে ধরা পড়েছে যুবলীগ, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। আর দায় চাপাচ্ছে বিএনপির ওপর। আসলে প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলকে নির্মূল করে চিরদিন ক্ষমতা আঁকড়ে রাখেতে চান। কিন্তু জনগণ তা হতে দেবে না।

এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, বায়েজিদ থানা কৃষক দলের সভাপতি আমির হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন, সহ-সভাপতি জসিম উদ্দীন, ডা. মোহাম্মদ ইউনুছ, তাজুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক নুরুল আলম কালু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. খলিল, প্রচার সম্পাদক মো. ফেরদৌস, মো. হাসান, আনিসুর রহমান প্রমুখ।

বিআরটিসি ও স্টেশন রোড ফলমন্ডি এলাকায় মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের নেতৃত্বে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। এ সময় আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ৭ জানুয়ারি আরেকটি আসন ভাগাভাগির নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগের লোকজন ছাড়া মানুষ এখন গ্রেফতারের ভয়ে পলাতক। শেখ হাসিনার নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিদিন বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। নির্বাচন কমিশন শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে দেওয়া তালিকা অনুযায়ী বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করবে। এভাবে মাফিয়া সরকার নির্বাচন করতে যাচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনের নামে এই খেলা কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে বানচাল করা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহ আলম, আলকরন ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম মিয়া, বাগমনিরাম ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ফয়েজ, মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, কোষাধ্যক্ষ নুর হোসেন উজ্জ্বল, বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন, মো. রিয়াদ, মাঈনুদ্দীন খান রাজিব।

এছাড়া মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. আবদুস সাত্তার, নাজিমুর রহমান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, হারুন জামান, মহানগর বিএনপ নেতা সিহাব উদ্দিন মোবিন, খোরশেদ আলম ও জাফর আহমদের নেতৃত্বে চাক্তাই খাতুনগঞ্জ এলাকায় লিফলেট বিতরণ করা হয়। বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি হাজী হানিফ সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হাসান ও সিনিয়র সহ-সভাপতি হাসান মুরাদের নেতৃত্বে পশ্চিম গোসাইলডাঙ্গা এলাকায়, আমিন শিল্পাঞ্চল ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম ও মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক এরশাদ হোসেনের নেতৃত্বে মোহাম্মদ নগর হাউজিং সোসাইটি এলাকায়, মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি ফজলুল হক সুমন, সহ-সম্পাদক মিফতাহ উদ্দীন শিকদার টিটু, বন্দর থানা যুবদলের আহ্বায়ক শফিউল আজম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ইয়াছিনের নেতৃত্বে গোসাইলডাঙ্গা ও আনন্দবাজার এলাকায়, মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, যুগ্ম সম্পাদক সেলিম খান, সহ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী মিন্টু, কোতোয়ালী থানা যুবদলের সদস্য সচিব মো. হাসান ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে রেয়াজুদ্দিন বাজার তামাকুন্ডি লেইনে গণসংযোগ করা হয়।