নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা মূল্যায়ন বাংলাদেশের জনগণ, মিডিয়া ও রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নির্ভর করে বলে জানিয়েছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসা এক ভারতীয় পর্যবেক্ষক। এছাড়া দেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সহিংস-নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) কঠোর নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কয়েকজন বিদেশি পর্যবেক্ষক। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে ব্রিফিং করেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, ইরাক, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ভারত ও মালদ্বীপের স্বাধীন পর্যবেক্ষকরা।

তারা বলেন, গত ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশে আসার পর তারা জানতে পেরেছেন যে, নির্বাচন বিরোধীদের একটি অংশ ঢাকায় একটি ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করেছে এবং ভোটকেন্দ্রে ভাঙচুর চালিয়েছে ও যানবাহনে আগুন দিয়েছে।
শ্রীলঙ্কা মুসলিম কংগ্রেসের এমপি সৈয়দ আলী জহির বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করতে এ ধরনের কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা জানাই আমরা। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনকে আমরা সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলছি।

পর্যবেক্ষকরা জানান, তারা গতকাল ঢাকা ও আশপাশের অন্তত ৩০টি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। সেই সময় তারা নারী ও পুরুষ ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখেছেন। ভোটাররাও ভোটদানের ক্ষেত্রে কোনো বাধা বা ভয় পায়নি বলেও জানান তারা।
সৈয়দ আলী জহির বলেন, ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেজন্য রাজনৈতিক দলের লোকজনদের কেন্দ্রের আশেপাশে না থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কতটা বিশ্বাসযোগ্য হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর বলেন, বিশ্বাসযোগ্যতা মূল্যায়ন বাংলাদেশের জনগণ, মিডিয়া ও রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নির্ভর করে।

পর্যবেক্ষক টেরি এল ইসলে বলেন, এটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অত্যন্ত নিরাপদ ছিল। মার্কিন পর্যবেক্ষক বলেছেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী বা দলগুলো ভোটারদের কোনো ভয়ভীতি দেখায়নি। এটা গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য শুভ লক্ষণ।###