প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, সমকামিতাকে গোটা বিশ্বের মানুষ ঘৃণা করে। ইসলাম ধর্মে সমকামিতার সর্বোচ্চ শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড। কুরআন, বাইবেল, হিন্দু ধর্ম ও সংবিধান নিষিদ্ধ সমকামিতাকে যারা প্রমোট করছে তারা ইসলাম, দেশ ও জাতির দুশমন।

তিনি বলেন, ট্রান্সজেন্ডার বা সমকামিতা শুধু ইসলামেই নয়, অন্যান্য ধর্মেও বৈধ নয়। খ্রিস্টধর্মে বলা হয়েছে, সমকামিরা ঈশ্বরের গজবপ্রাপ্ত। হিন্দুধর্মে বলা হয়েছে সমকামি মহিলা হলে আগুল কেটে বা মাথা ন্যাড়া করে দেয়া এবং ২০০ রুপি জরিমানা করা। সমকামি পুরুষ হলে পানিতে ডুবিয়ে মারা। বাংলাদেশে সংবিধানে সমকামিদের ১০ বছর কারাদণ্ডের বিধান আছে।

তিনি বলেন, সন্তানদের নাস্তিক্যবাদ শিক্ষা দেয়ার জন্যই শিক্ষা কারিকুলামে ইসলাম বিদ্বেষী অধ্যায় জুড়ে দেয়া হয়েছে। দেশবাসি এই শিক্ষা কারিকুলমাকে প্রত্যাখ্যান করছে। তিনি বলেন, আজকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীবিত থাকলে তার কন্যাকে বলতেন তোমার চতুর্দিকে যারা আছে তাদেরকে পরিহার করো।

গতকাল শনিবার বিকেলে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ এসব কথা বলেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে একতরফা ডামি নির্বাচনের সংসদ এবং ট্রান্সজেন্ডার ও সমকামিতাকে বৈধতাদানকারী বিতর্কিত শিক্ষা কারিকুলাম বাতিলের দাবিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান,সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ,মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবুল কাশেম, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, আলহাজ আলতাফ হোসেন, ডা. শহিদুল ইসলাম, মুফতি মানসুর আহমদ সাকী, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান, ফজলুল হক মৃধা, মুফতি নিজামুদ্দিন, মাওলানা আল আমিন সোহাগ, মুফতি হাফিজুল হক ফাইয়াজ। এতে উপস্থিত ছিলেন, দলের যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ আমিনুল ইসলাম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সিনিয়র সহসভাপতি আলহাজ আব্দুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির।

সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে। দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিসহ সবকিছু ধ্বংস করা হয়েছে। বর্তমান ডামি সংসদ একদলীয় নয় এক ব্যক্তির পার্লামেন্ট। এই সংসদে যে আইন হবে, তা অবৈধ আইন হবে। এই বিতর্কিত শিক্ষা কারিকুলাম পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রী এমপিদের লজ্জা নেই। এই শিক্ষা কারিকুলাম বাংলাদেশের জনগণকে পঙ্গু করার দলীল। এই কারিকুলাম ইতিহাস ঐতিহ্য ও ধর্মীয় চিন্তা চেতনা বিরোধী। পরে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, এ সরকারকে দ্রুত ক্ষমতা ছেড়ে চলে যেতে হবে। ট্রান্সজেন্ডারের নামে সমকামিতাকে প্রমোট করার চেষ্টা করা হলে জনগণ তা রুখে দিবে। আমরা সমকামিতাকে প্রতিষ্ঠিত হতে দেবো না। ভারতের একটি কোচিং সেন্টারের ওয়েবসাইট থেকে নেয়া তথ্য দিয়ে বাংলাদেশের সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে। জাতি হিসেবে আমরা চরম লজ্জিত। ট্রান্সজেন্ডার যাদের ভালো লাগে, তারা নিষিদ্ধ পল্লীতে যেতে পারেন। যদিও নিষিদ্ধ পল্লীতে যাওয়াকে ইসলাম সমর্থন করে না। তবুও আমাদের দেশের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ধ্বংস হতে দেবো না। পরে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।