এক দফা আন্দোলনের সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত গায়েবি মামলায় জামিন না দিয়ে গণহারে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দলের নেতারা। গতকাল বুধবার নগর বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, গত কয়েকদিনে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীকে জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। সর্বশেষ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, যুগ্ম সম্পাদক নুরুল আলম শিপু, কোতোয়ালী থানা যুবদলের সদস্য সচিব মো. হাসান, এনায়েত বাজার ওয়ার্ড যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম, কোতোয়ালী থানা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ফয়সাল, চান্দগাঁও থানা যুবদল নেতা আবদুস সাত্তার, মো. শাহাজান, এস এম আলমগীর, চান্দগাঁও ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল আহমেদসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

নগরীর কোতোয়ালী, চকবাজার ও চাঁন্দগাও থানার মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় চট্টগ্রামের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। গণহারে জামিন নামঞ্জুরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম ও সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন।

এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচন একতরফাভাবে করে রাষ্ট্রক্ষমতা নিষ্কণ্টক রাখার লক্ষ্যে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের কারাগারে প্রেরণ করছে সরকার। বিএনপির নেতৃত্বে চলমান আন্দোলনে সাড়া দিয়ে জণগণ ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ায় সরকার ভীত হয়ে পড়েছে। তাই তারা নির্যাতন চালিয়ে বিএনপির আন্দোলন দমন করার পায়তারা করছে। গ্রেফতার করে গোটা দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে। দেশে আইনের শাসন ও মানবাধিকার বলে কিছু নেই। বিএনপি নেতাকর্মীদের পুরোনো গায়েবি মামলাগুলো দ্রুত শেষ করা হচ্ছে। বিএনপিকে রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে দমন পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে। কিন্তু জুলুম নির্যাতন চালিয়ে অতীতে কোন ফ্যাসিবাদী শক্তির শেষ রক্ষা হয়নি, আওয়ামী লীগেরও হবে না।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার দেশে একদলীয় বাকশালী শাসন কায়েম করে বিরোধী মত দমনের হিংসাত্মক রাজনীতিতে মেতে উঠেছে। ভুয়া রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলায় গ্রেফতার ও কারাগারে প্রেরণ আওয়ামী লীগের নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু অবৈধ সংসদ বাতিল করে জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের আন্দোলনে বিএনপি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। নেতাকর্মীদের ওপর যতই দমনের স্টিম রোলার চালানো হোক না কেন, চলমান গণআন্দোলনের ঢেউকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। তীব্রতর আন্দোলনের মাধ্যমেই এই ডামি সরকারকে নতুন নির্বাচনে বাধ্য করা হবে।