আইনজীবীকে মারধোর করার মামলায় বিএনপি’র আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালসহ ১০ আইনজীবীর জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। ৬ সপ্তাহ পর তাদের বিচারিক আদালতে হাজির হতে হবে।
বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ এ জামিন দেন। এ তথ্য জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী। তিনি বলেন, আমরা এ জামিন বাতিলের জন্য আপিল বিভাগে আবেদন করবো। নিম্ন আদালতই যেখানে জামিন দিতে পারে, সেখানে উচ্চ আদালতে তারা কেন আবেদন করলেন?

গতকাল জামিনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী। সরকারপক্ষে ডিএজি সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী ও সাইফুদ্দিন খালেদ।
এর আগে নিজ দলের আইনজীবী কাজী মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীনকে ভয়-ভীতি ও মারধরের অভিযোগ এনে ব্যারিস্টার কায়সার কামালসহ ১০ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন অন্য এক আইনজীবী। এজাহারভুক্ত অন্য আইনজীবীরা হলেন, অ্যাডভোকেট শাহের খান পাঠান, এরশাদ ওরফে রাশেদ, উজ্জল, আব্দুল্লাহ আল মাহবুব, উচ্ছল, গাজী তৌহিদুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম সপু, মাকসুদ উল্লাহ ও অ্যাডভোকেট শহীদুজ্জামান।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি দায়ের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে কোর্ট বর্জনের ডাক দেয় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। এর মধ্যে ৩ জানুয়ারি একটি মামলার খবর নিতে সুপ্রিম কোর্ট গেলে আইনজীবী ফোরামে কোনো পদ না থাকা সত্ত্বেও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সামাজিক ও পেশাগত ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে উক্ত ফোরাম থেকে তাকে বহিষ্কার করে। ওইদিন দুপুরে বহিষ্কারের কারণ জানতে চাইলে ধমক দিয়ে পাশে থাকা অনুসারীদের ধরার জন্য বলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সেখান থেকে বের হয়ে চলে এলেও বিকেলে তার ঠিকানায় এসে সুপ্রিম কোর্ট বারের মূল ভবনের ৪০৯ নম্বর রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ব্যারিস্টার কায়সার কামালের নির্দেশে আইনজীবী শাহের খান পাঠান তাকে মুখে ঘুসি মারে। এর কারণ জানতে চাইলে আইনজীবী এরশাদ ওরফে রাশেদ আমার বাম চোখের নিচে লোহার চেয়ার দিয়ে আঘাত করে। ঘটনার সময় তারা ছাড়াও অন্য আসামিরা তাকে মেরে েেঝতে ফেলে দেয়। প্রাণনাশের হুমকিও দেয়া হয়। প্যান্টের পকেটে থাকা ১০ হাজার ৫৭৫ টাকাও নিয়ে নেয় তারা। পরবর্তীতে তার চিৎকারে আশেপাশের রুমের লোকজন এসে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।