রাউজানে বিএনপি কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম
চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলা সদরের হাজীপাড়া এলাকায় মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে যাওয়া মো. মুসা মিয়া (৪৫) নামের এক বিএনপি কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঘটনার তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল বিএনপি কর্মী মুছা স্থানীয় একটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে যান। নামাজ শেষে মসজিদে উপস্থিত থাকা কতিপয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী তাকে আটক করে মারধর শুরু করে। বেধরক পিটুনির ফলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। পরবর্তীতে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, তাকে সরকারি দলের কর্মীরা পিটিয়ে হত্যা করেছে। পরে চিকিৎসককে দিয়ে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে বলে লিখে নেয়া হয়েছে। মুসা বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী। বিগত ১৫ বছর যাবৎ তিনি সন্ত্রাসীদের কারণে এলাকা ছাড়া। বর্তমানে তিনি ওমান প্রবাসী এবং দেশে আসলে হাটহাজারীতে থাকেন।
ঘটনার বিষয়ে রাতে রাউজান থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, মসজিদে নামাজ শেষে লোকজনের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মুসা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে শুনতে পেয়েছি। সেখান থেকে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ হিসেবে হার্ট অ্যাটাক বলা হয়েছে। ওসি বলেন, এরপরও যেহেতু এই ঘটনা নিয়ে কথা উঠেছে, মুসাকে বিএনপির কর্মী বলা হচ্ছে, তাই পুরো ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। লাশের ময়না তদন্ত করে মৃত্যুর আসল কারণ উদঘাটন করা হবে বলেও জানান তিনি। এদিকে রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিহতের পরিবারের একজন সদস্য ইনকিলাবকে বলেন, বিএনপি কর্মী মুছা স্থানীয় একটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়া শেষে মসজিদে উপস্থিত থাকা কতিপয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী তাকে মারধর করে। বেধরক পিটুনির ফলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। তখন উপস্থিত লোকজন তাকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু রাউজান থানার ওসি জাহিদুর রহমান কোন সহযোগিতা করেননি। ওসিকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি গুরুত্ব না দেয়ায় তাকে হাসপাতালে নিতে বিলম্ব হয় এবং মুসার মৃত্যু হয়। মুসাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হলে বেঁচে যেতেন বলে দাবি করেন তার পরিবারের ওই সদস্য।
গতকাল রাতে নিহত মুসা মিয়ার বড় ভাই তৌফিকুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, আমার ভাই বিএনপি কর্মী ছিল। তার বিরুদ্ধে কোন মামলা ছিল না। আগামী মার্চ মাসের ৫ তারিখ তার ওমানে চলে যাওয়ার কথা ছিল। আওয়ামীলীগের স্থানীয় কিছু নেতা-কর্মীর ভয়ে সে বাড়ি যেত না। গত এক মাস আগে বাড়ি আসেন মুসা। মা-বাবার কবর জিয়ারত করতে গিয়ে আওয়ামীলীগের স্থানীয় কিছু নেতা-কর্মীর হাতে আমার ভাই নির্মমভাবে খুন হয়েছে। আমি ও আমার পরিবার এই হত্যাকান্ডের বিচার চাই।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মুসা মিয়ার ২ ছেলে। সে সকলের সাথেই ভাল ব্যবহার করতো। তার কোন শত্রু নেই। রাজনৈতিক কারনে আমার ভাইকে খুন করা হয়েছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
সোনারগাঁয় ভোট কিনতে এসে টাকাসহ যুবক আটক
তিন দশক পর ঢাকা আসছেন অস্ট্রেলিয়ার কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এভারেস্ট জয় করলেন বাংলাদেশি বাবর আলী
গাজায় ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১২১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা ইসরায়েলের
সউদীতে আরো এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
স্মার্টফোনের আয়ু আর দশ বছর! বিস্ফোরক দাবি মেটার শীর্ষ এআই বিজ্ঞানীর
গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের হামলা, নিহত অন্তত ১৭
বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেন, একদিকে থেকে অন্যদিকে হেঁটে যেতে কতক্ষণ লাগবে জানেন?
অপরাজিত থেকেই শাবির লেভারকুসেনের শিরোপা উৎসব
বদলে যাবে পূর্ব অভিজ্ঞতা, ২০২৪ সালেই স্মার্ট গ্লাসে ‘বিপ্লব’ আনতে চলেছে গুগল!
২৬ বছর পর ‘হারিয়ে যাওয়া কিশোরে’র খোঁজ মিলল প্রতিবেশির ঘরে
কিরগিস্তানে আতঙ্কে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ভিক্ষুক, মোট সম্পত্তি ৭.৫ কোটি
মেসির ফেরার ম্যাচে মায়ামির নাটকীয় জয়
ভারতের কোভ্যাক্সিনেও রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
নেতানিয়াহুকে গাঞ্জের পদত্যাগের আলটিমেটাম
মোদি বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারতে নির্বাচনের চেষ্টা করছেন : কেজরিওয়াল
রাজনীতিবিদের সুন্দরী স্ত্রীকে নিয়ে হইচই
‘কারা আগে যাবে’ নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২ গ্রুপের দ্বন্দ্ব, নিহত তরুণ
সমীকরণ মেলানোর রুদ্ধশ্বাস নাটকীয়তা শেষে চেন্নাইকে বিদায় করে প্লে-অফে বেঙ্গালুরু