রাজশাহীর তানোর উপজেলায় ভাষা শহীদ দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এক ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা খুন হয়েছে। নিহত জিয়াউর রহমান তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদের বিলশহর এলাকার মৃত মোহর ম-লের ছেলে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তানোর উপজেলার বিলশহর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি তালন্দ ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সদস্য ছিলেন। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে তানোর থানা পুলিশ। তবে স্থানীয়রা বলছেন নির্বাচনোত্তর সহিংসতার জের ধরে তাকে খুন করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলো, তানোর তালান্দু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান আলীর স্ত্রী আয়েশা আক্তার সুমি, একই এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে ফরহাদ হোসেন, আলাউদ্দিনের ছেলে সোহাগ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, যুবলীগ নেতা জিয়াউরের লাশ বিলশহর এলাকার মরশের দোকানের পাশে থেকে রাত দেড়টার দিকে উদ্ধার করা হয়। তার শরীর ও হাত-পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। নিহতের বড়ভাই রবিউল ইসলাম জানান, তার ভাইকে হত্যার জন্য বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছিল। তারা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে হত্যা করেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নিহত জিয়াউল ভাষা শহীদ দিবস উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বিলশহর গ্রামে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে রাস্তার পাশে তার শ্বশুর বাড়ির সামনে ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা। ভোর রাতে গ্রামবাসী দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়। নিহত জিয়াউল দীর্ঘদিন ধরে তানোর পৌর এলাকার আমশো মোড়ের দুলালের সাথে কসাইয়ের ব্যবসা ও নিজে আলুর ব্যবসা করেতেন। এলাকাবাসীর ধারণা, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বা কসাই দুলালের সাথে সুমির পরকীয়া ঘটিত কারণে এ হত্যাকা- ঘটতে পারে।

তানোর থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।