হঠাৎ ধনী হলে মানুষ ভাবে ইংরেজিতে কথা বলা স্মার্টনেস : প্রধানমন্ত্রী
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০১ এএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হঠাৎ ধনী হয়ে গেলে কিছু কিছু মানুষ ভাবে ইংরেজিতে কথা বলা স্মার্টনেস। আসলে স্মার্ট হতে গেলে ইংরেজিতেই কথা বলতে হবে তা নয়, নিজের ভাষাকে সুন্দর করে উপস্থাপন করাটাই স্মার্টনেস। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে গতকাল শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু পরিবার হঠাৎ টাকা পয়সার মালিক হয়ে গেছেন। তারা মনে করেন ছেলেমেয়েরা ইংরেজিতে কথা বললে খুবই দক্ষ হয়ে গেল। ইংরেজিতে কথা বললেই স্মার্ট হয়ে যাবে। এমনটা না, স্মার্ট হতে হলে শুধু একটা ভাষা শিখতে হবে এবং সে ভাষায় কথা বলতে হবে আমি সেটা বিশ্বাস করি না। জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে মানুষকে অনেক ভাষা শিখতে হয়। কিন্তু মাতৃভাষাকে লালন ও চর্চা করা একটি জাতির মূল কর্তব্য।
শেখ হাসিনা বলেন, কর্মক্ষেত্রের প্রয়োজনে অনেক ভাষা শেখা দরকার। শিক্ষার মাধ্যমটা মাতৃভাষায় হওয়া উচিত, তার সঙ্গে শিশুদের আরও দু-তিনটি ভাষা শেখানোর দরকার। নিজের ভাষা রক্ষা করার মধ্যদিয়ে একটা জাতি উন্নত জীবন পেতে পারে। আমাদের মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকারটুকু কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। একটা বিজাতীয় ভাষা আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
তিনি বলেন, আমি একমাত্র বাংলা ভাষাটাই ভালো জানি। ইংরেজি তেমন ভালো পারি না। কিন্তু, এখন বলতে গেলে শুধু খেয়াল রাখি, অন্যরা আমার ভাষা বুঝতে পারে কি না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাতৃভাষার আন্দোলন শুরু হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তখনকার আইন বিভাগের ছাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উদ্যোগ নেন, তিনি ছাত্র সংগঠন গড়ে তোলেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। আরো কয়েকটি প্রগতিশীল সংগঠনকে নিয়ে ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতার উদ্যোগের ফলে এবং তার নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়ে আমরা আমাদের স্বাধিকার পেয়েছি, স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদা পেয়েছি। দক্ষিণ এশিয়ায় একমাত্র বাংলাদেশ হচ্ছে একটি ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র। আমাদের মহান নেতা জাতির পিতার নেতৃত্বে আমরা এই মর্যাদা অর্জন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শান্তি থাকলেই প্রগতি ও উন্নতি আসে। বাঙালি শান্তিতে বিশ্বাস করে। আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। সারাবিশ্বের যুদ্ধ বন্ধ হোক। বন্ধ হোক অস্ত্র প্রতিযোগিতা। অস্ত্রের টাকা দিয়ে নারী ও শিশুর বিকাশ, পরিবেশের উন্নয়নসহ বিশ্বের উন্নয়নের নানান কাজে ব্যয় হোক।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এতে আরও বক্তব্য দেন- প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, ইউনেসকোর বাংলাদেশের দেশীয় পরিচালক কিনোট স্পিকার অধ্যাপক শিশির ভট্টাচার্য। স্বগত বক্তব্য দেন উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস
শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া
ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল
‘ফিলিস্তিনের পর ইরান, সউদী ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’
প্রতি বছর ৩ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে বৈধতা দানের ঘোষণা স্পেনের
প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া
মুসলিম চিকিৎসক
শীর্ষে দিল্লি
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান
মানসিক সুস্থতায় কর্মবিরতি