গাজীপুরের শ্রীপুরে সরকার নির্ধারিত বেতন কাঠামো ও সঠিক সময়ে বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকেরা।

গতকাল শনিবার ভোর সাড়ে ৬টা থেকে উপজেলার জৈনাবাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে এএ ইয়াং মিলস্ লিমিটেড নামের শ্রমিকেরা। এতে মহাসড়কের দুপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়ে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। উত্তেজিত শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় ক্ষিপ্ত শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও তাদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। একঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এতে করে অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হয়।

ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, নতুন বেতন কাটামো ও সঠিক সময়ে বেতন বাস্তবায়ন এবং সঠিক সময়ে বেতন প্রদানের দাবি নিয়ে আমরা রাস্তায় নেমেছি। সময় মতো বেতন না দেয়ার কারণে আমরা বাড়ি বাড়া আর দোকান বাকি দিতে না পাড়ায় আমরা বাড়ির মালিক ও দোকানিদের কাছে নাজেহাল হচ্ছি।

কারখানার অপারেটর পদে কর্মরত খাদিজা বেগম বলেন, সরকার ঘোষিত নতুন বেতন কাঠামোতে বেতনের দাবি জানিয়েছিলাম। আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ছিলাম। হঠাৎ পুলিশ আমাদের ওপর টিয়ার শেল ছুড়ে ধাওয়া দিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। আশপাশের সব কারখানায় বেতন বাড়িয়েছে, আমাদের এখানে বেতন বাড়ানোর কথা বললেই তারা শুধু বাহানা করে। তাই বাধ্য হয়েই আন্দোলনে নেমেছি।

শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আসাদ জানান, নতুন কাঠামোতে বেতনের দাবি জানিয়ে শনিবার সকাল থেকে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কে র্দীঘ যানজটের তৈরি হলে দুর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা। আমরা তাদের নানা ভাবে বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিতে পারিনি। এক পর্যায়ে আন্দোলনরত শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। আধ ঘণ্টা পর তারা ফের সংবদ্ধ হয়ে গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। পরে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়ে মারলে পুলিশ টিয়ার শেল ছুড়লে শ্রমিকরা মহাসড়ক ছেড়ে চলে যায় এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।