পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বসতি রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে
১০ মার্চ ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৪, ১২:০২ এএম
ইসরাইল নিজেদের জনসংখ্যা স্থানান্তর করে এসব বসতির বৃদ্ধি ঘটাচ্ছে আর তা ‘যুদ্ধাপরাধ’, বলেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার। খবরে বলা হয়, ফিলিস্তিনের দখলকৃত ভূখণ্ডে ইসরাইলি বসতি রেকর্ড পরিমাণে বিস্তৃত হচ্ছে আর তাতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বাস্তব সম্ভাবনা বিলীন হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান। ইসরাইল নিজেদের জনসংখ্যা স্থানান্তর করে এসব বসতির বৃদ্ধি ঘটাচ্ছে আর তা ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভলকার তুর্ক। গত মাসে ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিম তীরে নতুন গৃহায়ণ পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন একে আন্তর্জাতিক আইনের ‘পরিপন্থি’ বলে অভিহিত করেছে।
“বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা ও বসতি স্থাপনের সঙ্গে সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঞন বেদনাদায়কভাবে নতুন স্তরে পৌঁছে গেছে আর একটি কার্যকর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সব বাস্তব সম্ভাবনা বিলীন করার ঝুঁকি তৈরি করছে,” এক বিবৃতিতে বলেছেন তুর্ক। রয়টার্স জানিয়েছে, মার্চের শেষ দিকে জেনিভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে যে প্রতিবেদনটি পেশ করা হবে তার সঙ্গে এ বিবৃতিটি দিয়েছেন তিনি।
জাতিসংঘের নিজস্ব পর্যবেক্ষণ ও অন্য সূত্রগুলোর ভিত্তিতে তৈরি করা ১৬ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদনটিতে ২০২৩ এর অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত এক বছর সময়সীমার মধ্যে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইল ২৪৩০০টি নতুন হাউজিং ইউনিট গড়ে তুলেছে বলে নথিবদ্ধ করা হয়েছে। ২০১৭ সালে পর্যবেক্ষণ শুরু করার পর থেকে এটিই একক সময়ে সবচেয়ে বেশি হাউজিং ইউনিট গড়ে তোলার রেকর্ড বলে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইল রাষ্ট্র ও তাদের বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতার তীব্রতা, নির্মমতা এবং নিয়মিত ঘটার বিষয়টি নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় থেকে। ওই সময় থেকে পশ্চিম তীরে ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনী অথবা বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় ৪০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
প্রতিবেদনে এমন ঘটনাও নথিবদ্ধ হয়েছে, যেখানে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা পুরোপুরি অথবা আংশিকভাবে সেনাবাহিনীর উর্দি পরে সামরিক বাহিনীর ব্যবহৃত রাইফেল নিয়ে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা করেছে অথবা তাদের নির্যাতন করেছে। কখনো কখনো তারা খুব কাছ থেকে গুলিবর্ষণ করেছে। এসব ঘটনায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী ও বসতি স্থাপনকারীদের মধ্যে যে সীমারেখা আছে তা প্রায়ই অস্পষ্ট হয়ে গেছে। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের সময় ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ইসরাইলিরা দখল করে নেয়।
এখন পশ্চিম তীরের যেখানে তারা ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ করছে সেখানে তাদের ‘বাইবেল বর্ণিত জন্মগত অধিকার’ আছে বলে দাবি করে আসছে ইসরাইল। আর দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা পশ্চিম তীরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে এবং ‘সন্দেহভাজন জঙ্গিদের’ লক্ষ্যস্থল করছে। সূত্র : রয়টার্স।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বায়তুল মোকাররমের ঘটনার জেরে ইফা মহাপরিচালক প্রত্যাহার
কোর্ট ম্যারেজ করা প্রসঙ্গে?
এখনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বরদের রেখেছেন কেন? - রিজভী
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে
রাষ্ট্র গঠনে যা করা জরুরি
নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে একটি প্রস্তাবনা
ঈশ্বরদীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনসহ যুবদল নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
ইসরাইল এখনো সন্ত্রাসীর মতো হামলা চালাচ্ছে
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অতিশী
ওরা পার্বত্য অঞ্চলকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়
বৃষ্টির মতো রকেট নিক্ষেপ হিজবুল্লাহর পালিয়েছেন লাখ লাখ ইসরাইলি
পাহাড়ে অশান্তির বীজ উপরে ফেলতে হবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে
পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ
শৈলকুপায় অস্ত্র ও গুলিসহ ২ জন আটক
অশান্ত মণিপুরে সেনা টহল
‘ট্রাম্প ও তার দল ভণ্ডামি করছে’
হেলিকপ্টারে যেতে পারলেন না ভারতের দুই মন্ত্রী
মার্কিনিদের লেবানন ছাড়ার আহ্বান
সংঘাতের মধ্যে নতুন অস্ত্র সামনে আনলো ইরান
ভারতকে পারমাণবিক সাবমেরিন আন্ডারওয়াটার ড্রোন দেবে ফ্রান্স