রাজশাহীর ইফতার বাজারে নেই চিরচেনা ভিড়
২৪ মার্চ ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৪, ১২:০৫ এএম
রমজানের দশদিন পার হলেও রাজশাহীর ইফতার বাজার তেমনভাবে জমে ওঠেনি। চিরচেনা ভিড় নেই নগরীর ইফতারের দোকনগুলোতে। বিশেষ করে শহরের প্রাণকেন্দ্র সাহেব বাজার, তালাইমারী, বিনোদপুর, লক্ষীপুর, হড়গ্রাম বাজার, গোরহাঙ্গা, শালবাগান, বিন্দুরমোড় এলাকায়। আগে দুপুরের পর থেকে ইফতার সামগ্রী কেনার জন্য এসব স্থানে ভিড় থাকত। বাটার মোড়ের জিলাপী কেনার সেই ভিড় আর নেই। বড় মসজিদ চত্বরের আশেপাশের হোটেল রেস্তোরাঁগুলোতে জমজমাট বেচাকেনা নেই। চিলিস, ওয়ারিশান, রহমানীয়া, ওসানিয়া, শামীম সুইট, বিদ্যুতসহ বেশকটি দোকান প্রতিবছর নতুন আইটেম নিয়ে ক্রেতাদের চমক দিত। এবার তেমনটি দেখা যাচ্ছেনা।
ইফতার বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুড়ি, জিলাপি, পেয়াজু, বেগুনী, বুটের ঘুগনি প্রতিটি আইটেমের দাম বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে জিলাপি আর নিমকীর দাম। গত বছরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন চিনি বেসনসহ উপকরণের দাম বেড়েছে। আলুর দাম বাড়ার কারণে আলুর চপের দামও বেড়েছে। ডিমের চপও বাড়তি। আবার এসবের আকারও কমেছে। মুড়ির বাজার চলে গেছে বড় বড় কোম্পানির দখলে। এখন মুড়ি থেকে সবকিছুর বাজার নিয়ন্ত্রণ বড় বড় কোম্পানির দখলে। ফলের বাজারে সাধারণ মানুষের নজর দেওয়ার সাহস নেই। একটা ডাব বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কলার জাত ও আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা হালি। লেবুর শরবত খাবার উপায় নেই। বহুল আলোচিত তরমুজ ৬০ টাকা কেজি। পেয়ারা ৭০ টাকা কেজি। আর বাঙ্গি জোর করে পাকানো পেঁপে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি। সারাদিন রোজাব্রত পালন করার পর চিনি কিংবা গুড়ের শরবত খাবার কথা ভুলতে বসেছে সাধারণ মানুষ। ফুটপাতের ঘোল মাঠার দামও বেড়েছে। দুধের দাম বাড়ার কারণে। আগে রমজান শুরু হবার সাথে মহল্লার চা সিঙ্গাড়ার দোকানগুলোয় ইফতার সামগ্রী বিক্রির বাড়তি আয়োজন থাকে। অনেক অস্থায়ী ইফতারীর দোকান বসে। এবার তেমন চিত্র নেই।
বড় ছোট বেশ কয়েকটি হোটেল রেস্তোরাঁর লোকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের ইফতার বাজারে মন্দাভাব বিরাজ করছে। প্রত্যাশিত ক্রেতা তারা পাচ্ছেন না। কারণ হিসাবে বলছেন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার কথা। মানুষ জীবন ধারন করতে হিমশিম খাচ্ছে।
বেশ কিছু রেস্তোরাঁয় ভিন্ন চিত্র রয়েছে। যেখানে বিত্তশালীদের বিলাসী কেনাকাটা নজর এড়ায়না। ফাষ্টফুডের দোকানগুলো ইফতার সামগ্রী নিয়ে পসরা সাজিয়েছে। বিভিন্ন ধরনের কাবাব, তেহরি, হালিম ও পানীয় সেখানে সাধারণ মানুষের খুব একটা ভিড় নেই। সাধারণ মানুষ চেয়ে চেয়ে দেখছে থরে সাজানো ফল ফলারী ও ইফতার সামগ্রী। কিন্তু তাদের পরখ করে দেখার ক্ষমতা নেই। কেউ কেউ ইফতারে বানাচ্ছে খিচুড়ি। এদিয়েই ইফতার ও রাতের খাবার হয়ে যাচ্ছে। মাঝারি মানের রেস্তোরাঁর সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের বেচাবিক্রিতে মন্দার কথা। বড় দুটি রেস্তোরাঁর কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের অবস্থাও খুব ভাল নয়। সবার এক কথা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে সব বাজারে। শাকসবজি, মাছ, মুরগি, গোশত, তেল, মসল্লা, পেঁয়াজ, আদা কোথাও স্বস্থি নেই।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ
সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার
যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২
ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল
সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ
গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার
৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান
তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা
শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত
গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়
ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম
যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা
মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী
প্রশাসক হতে চান শিক্ষকরা, ঠেকাতে একাট্টা ৪ সংগঠন
বাংলাদেশের এই দলকে সেরা বললেন হার্শা