ঢাকা   মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২ আশ্বিন ১৪৩১

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠছে নতুন শিল্পকারখানা

Daily Inqilab কামাল আতাতুর্ক মিসেল

২৪ মার্চ ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৪, ১২:০৫ এএম

দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রায় ৫ কোটি মানুষের ভাগ্য বদলে নয়াদিগন্ত উন্মোচন হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দ্বিতীয় চার লেন (পুরাতন নতুন মিলে) এর তিন সেতু। এ সেতুগুলোকে ঘিরেই গত ৫ বছরে রাজধানী ঢাকার সাথে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প বিপ্লবের সাথে গড়ে উঠেছে নতুন নতুন শিল্প কল-কারখানা। ফলে অর্থনীতির চাকা ঘোরার পাশাপাশি বাড়ছে কর্মসংস্থানও।

দেশের অর্থনীতির হৃৎপিন্ড বলা হয়ে থাকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। চার লেনের এই মহাসড়কের যানবাহনগুলো এত দিন দুই লেনের গোমতী ও মেঘনা সেতুতে ওঠার সময় যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকত। প্রত্যেকটি গাড়িকে গড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হতো। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দুই লেন থেকে চার লেনে উত্তীর্ণ হওয়ার পর সরকার মহাসড়কের যানজট কমাতে মহাসড়কটির কাঁচপুর, মেঘনা ও দাউদকান্দির মেঘনা-গোমতীর পুরাতন সেতুর পাশাপাশি নতুন তিনটি সেতু নির্মাণ হওয়ায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অর্থনীতে সুফল মিলতে শুরু করেছে। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, যোগাযোগের মাইলফলকে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে মহাসড়করে পাশে একাধিক নতুন পোশাক তৈরির কারখানা পাশাপাশি বোতলজাত পানি পরিশোধনাগার, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, বিনোদন কেন্দ্র, কমফোর্টারের কারখানা ও হোটেল মোটেল গড়ে উঠেছে। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে একের পর এক শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন উদ্যোক্তারা।

শফিউল আলম গ্রুপের ব্যবস্থাপক পরিচালক শফিউল আলম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, আমরা আশা করছি, আমাদের ক্রয়াদেশ আরও বাড়বে। ফলে আমাদের ব্যবসা আরও প্রসারিত হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে গড়ে উঠছে নতুন নতুন সবুজ পোশাক কারখানা। এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও পেয়েছে একটি। এসব কারখানায় উৎপাদিত পোশাক ইউরোপ, আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ যাচ্ছে বিভিন্ন দেশে। বছরে এখান থেকে পোশাক রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ১২শ› কোটি টাকা।

গার্মেন্টস খাতের একাধিক উদ্যোক্তা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, গ্রিন ফ্যাক্টরির স্বীকৃতি বাংলাদেশে বাড়ার কারণে প্রচলিত বাজার তথা ইউরোপ ও আমেরিকার বাইরে নতুন বাজারগুলো থেকে বাড়তি অর্ডার আসছে। এতে সার্বিকভাবে রফতানি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উভয় পাশে ইতোমধ্যে কুমিল্লার চান্দিনা, দাউদকান্দি, সদর দক্ষিণ, চৌদ্দগ্রাম, ফেনী ও মিরসরাই গড়ে ওঠেছে আরও ১০টি পোষাক কারখানা। আর এই পোশাক রফতানির ওপর ভর করে দেশের অর্থনীতিও জোর কদমে এগিয়ে চলেছে।

জানা যায়, বাংলাদেশে এখন গ্রিন ফ্যাক্টরি ১৮৬টি। এর মধ্যে প্লাটিনাম ক্যাটাগরির ৬২টি, গোল্ড ১১০টি, সিলভার ১০টি ও সার্টিফাইড চারটি। এর মধ্যে গত বছরে ৩০টি কারখানা স্বীকৃতি পায়। এর মধ্যে ১৫টি ছিল প্লাটিনাম ক্যাটাগরির। আর চলতি জানুয়ারি মাসে দুইটি প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে ও একটি গোল্ড ক্যাটাগরিতে গ্রিন ফ্যাক্টরির স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া ৫৫০টির বেশি কারখানা গ্রিন ফ্যাক্টরি হতে রেজিস্ট্রেশন বা পাইপলাইনে রয়েছে।

গোল্ডেন ক্যাটাগরিতে সবুজ কারখানার স্বীকৃর্তি পাওয়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার ডেনিম প্রসেসিং প্লান্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আয়েশা আক্তার বলেন, অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে বৈশ্বিক বাজারে যখন পোশাকের অর্ডার কমে যাচ্ছে, তখন এ ধরনের স্বীকৃতি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মনোবল বৃদ্ধি করে। এতে বাংলাদেশের প্রতি ক্রেতাদের আস্থা বাড়ছে। এর ফলে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশের রফতানি আয়ে সুবাতাস বইছে। এছাড়াও এইসব কারাখানায় যারা কাজ করছেন তারা সবাই স্থানীয়, তাদের একটা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হলো। অর্থনীতিকভাবে উন্নত হচ্ছে। তিনি বলেন, ডেনিম প্রসেসিং প্লান্ট থেকে ২০২৩ সালে সাড়ে ৪ কোটি টাকার পোষাক রপ্তানী করেছেন।

এ প্রসঙ্গে কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি জামাল আহমেদ বলেন, এই ধরনের স্বীকৃতি আমাদের মনোবল বৃদ্ধি করছে। এর প্রভাব পড়ছে রফতানি আয়েও। দেশের সবুজ ফ্যাক্টরির স্বীকৃতি বাড়ার কারণে আগামীতেও রফতানি আরও বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।

তবে খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, গ্রিন ফ্যাক্টরি করতে প্রচুর বিনিয়োগের প্রয়োজন। একটি ফ্যাক্টরি করতে প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। এর পাশাপাশি জমিও লাগে প্রায় তিন থেকে ১০ বিঘা। তারা আরও জানান, এ পর্যন্ত দেশে যেসব কারখানা গ্রিন ফ্যাক্টরির খেতাব জিতে নিয়েছে, তাদের বেশির ভাগ উদ্যোক্তার বিনিয়োগই ৫০০ কোটি থেকে এক হাজার ১০০ কোটি টাকার মধ্যে ছিল। তাঁদের মতে, গ্রিন ফ্যাক্টরির স্বীকৃতি পেতে একটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে নির্মাণ থেকে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে সর্বোচ্চ মান রক্ষা করতে হয়। ভবন নির্মাণ শেষ হলে কিংবা পুরনো ভবন সংস্কার করেও আবেদন করা যায়। গুরুত্ব্পূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এর জন্য উদ্যোক্তাকে উৎপাদনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কার্যক্রম পরিচালনায় শতভাগ আন্তর্জাতিক মানদন্ড বজায় রাখতে হয়।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে যে সব সবুজ কারখানায় গড়ে ওঠছে সে সব কারখানা আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে যে পরিমাণ জমির ওপর কারখানা হবে তার অর্ধেকটাই ছেড়ে দিতে হবে সবুজায়নের জন্য। সবুজ বাগান থাকবে। কারখানার চারপাশে খোলা জায়গা থাকবে। ভেতরেও থাকবে খোলা জায়গা। শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ থাকবে সুন্দর। এক শ্রমিক থেকে অন্য শ্রমিকের দূরত্বও থাকবে বেশ। এ ছাড়া সবকিছুই হবে স্বয়ংক্রিয়। যন্ত্রপাতি হবে অত্যাধুনিক। ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎসাশ্রয়ী হবে। থাকবে সোলার প্যানেল, এলইডি লাইট। এ ছাড়া পানি রিসাইক্লিং ব্যবস্থা থাকতে হবে।

এ বিষয়ে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেন ভূইয়া দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, মহাসড়কের দাউদকান্দি থেকে মিরসরাই পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশের কোনো প্লট খালি নেই। সব শিল্প উদ্যোক্তারা নিয়ে নিয়েছেন। তারা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছেন। আগামী এক বছরের মধ্যে বা পরে দেখা যাবে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বেকারত্বের হার কমে ১০ ভাগ বা ৩০ ভাগে নেমে আসছে। তিনি আরও বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রামের তিন সেতুর চারলেনের কারণে সবচেয়ে বেশি সফল হয়েছে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বেকার তরুণরা। একদিকে যেমন নানা কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে, অন্যদিকে প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতেও। যোগাযোগব্যবস্থা আরও ভালো হওয়ার পাশাপাশি নিত্যনতুন কারখানা গড়ে উঠলে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল একসময় দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হয়ে উঠবে।

এফবিসিসিআই’য়ের সহ-সভাপতি মোসতাকিম আশরাফ টিটু দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, চারলেন সেতুগুলো হওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আর যানজট তেমন হচ্ছে না। দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের ১৪ জেলায় ‘শিল্প বিপ্লব’ ঘটছে।

কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট নোমান খান দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, তিনটি চারলের সেতুর প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সামগ্রিক চিত্র পাল্টে গেছে। আমরা সব দিক দিয়ে উপকৃত হয়েছি। এখন আর আগের মত ঘন্টার পর ঘন্টা মহাসড়কে ফ্যাক্টরীর মাল নিয়ে সড়কে দাড়িয়ে থাকতে হচ্ছে না। কুমিল্লা থেকে সহজে ঢাকাসহ দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে কারখানার মাল দিনে দিনে পৌঁছাতে পারছে। সেতুগুলো চালুর মাত্র ৫ বছরের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জনপদের অর্থনৈতিক খাতে আমূল পরিবর্তন এসেছে। প্রায় অর্ধশত শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে কেবল কুমিল্লাতে। এতে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ

ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ

সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২

ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল

ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল

সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ

সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ

গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন

যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার

৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান

৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান

তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা

তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা

শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত

শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত

গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র‌্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১

কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র‌্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়

ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম

ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম

যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা

মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা

মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী

মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী

প্রশাসক হতে চান শিক্ষকরা, ঠেকাতে একাট্টা ৪ সংগঠন

প্রশাসক হতে চান শিক্ষকরা, ঠেকাতে একাট্টা ৪ সংগঠন

বাংলাদেশের এই দলকে সেরা বললেন হার্শা

বাংলাদেশের এই দলকে সেরা বললেন হার্শা