ঢাকা   শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬ আশ্বিন ১৪৩১
বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স ২০২৩ প্রতিবেদন প্রকাশ  পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা ৩১ লাখ ৯০ হাজার বেশি, প্রজনন হার কমেছে  দেশে তালাক ও বিচ্ছেদ কমেছে, বেড়েছে সাক্ষরতার হার  গ্রামেও শহরের মতো সুযোগ-সুবিধা ও কর্মসংস্থান বেড়েছে  ঢাকার বস্তির বেশিরভাগ মানুষ বরিশালের  দেশে অলস সময় পার করছেন ৩৯ শতাংশ তরুণ

গড় আয়ু কমেছে

Daily Inqilab অর্থনৈতিক রিপোর্টার

২৫ মার্চ ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৪, ১২:০৫ এএম

বেড়েছে দেশের জনসংখ্যা। বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যা ১৭ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার। দেশে বর্তমানে মোট জনসংখ্যার নারী ৮ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার এবং পুরুষ ৮ কোটি ৪২ লাখ। পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা ৩১ লাখ ৯০ হাজার বেশি। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স ২০২৩ এর প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক বছরের ব্যবধানে দেশের মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু কমেছে। ২০২২ সালে দেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৭২ দশমিক ৪ বছর, যা ২০২৩ সালে কমে হয়েছে ৭২ দশমিক ৩ বছর। একই সঙ্গে শিক্ষা, কর্ম কিংবা প্রশিক্ষণে নেই–দেশে এমন তরুণের (১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী) সংখ্যা ২০২৩ সালে ৩৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ৪০ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এ ছাড়া বেড়েছে সাক্ষরতার হার। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে এই হার ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী নারীদের সন্তান জন্মদানের হার কমেছে। ২০২৩ সালে দেশে প্রজনন হার দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ১৭, এক বছর আগেও তা ছিল ২ দশমিক ২০। এসডিআরএসইন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম প্রকল্পের আওতায় ২০১২টি নমুনা এলাকা হতে সংগৃহীত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স ২০২৩-এর গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিএস ডিজি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জনশুমারি ও গৃহগণনার ২০২২-এর ভিত্তিতে ১ জানুয়ারি ২০২৪ সালে প্রাক্কলিত জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার। যেখানে নারী ৮ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার এবং পুরুষ ৮ কোটি ৪২ লাখ জন। সংস্থাটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে সর্বশেষ চূড়ান্ত জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। ফলে দেশে নতুন করে দেশে জনসংখ্যা বেড়েছে ১৭ লাখ ৬১ হাজার ৮৯ জন। বয়সভিত্তিক জনসংখ্যার বিন্যাস মধ্যে : ০-৪ বছর বয়সী ১০ দশমিক ২২ শতাংশ, ৫-১৪ বছর বয়সী ১৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ, ১৫-২৪ বছর বয়সী ১৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ, ২৫-৩৯ বছর বয়সী ২২ দশমিক ২৮ শতাংশ, ৪০-৪৯ বছর বয়সী ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশ, ৫০-৫৯ বছর বয়সী ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ, ৬০-৬৪ বছর বয়সী ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং ৬৫+ বছর বয়সী ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ। ২০২৩ সালে জন্মের সময় প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল পরিসংখ্যানিকভাবে অপরিবর্তিত রয়েছে, যা ৭২ দশমিক ৩ বছর। জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার (আরএনআই) ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ যা ২০২২ সালে ছিল ১ দশমিক ৪০ শতাংশ। লিঙ্গ অনুপাত কিছুটা নিম্নমুখী যা ২০২৩ সালে দাঁড়িয়েছে ৯৬ দশমিক ৩ শতাংশ এবং নির্ভরশীলতার অনুপাত ৫৩ দশমিক ৭ শতাংশ। দেশে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১ হাজার ১৭১ জন। প্রতি হাজার জনসংখ্যায় স্থূল জন্মহার ১৯ দশমিক ৪, যা ২০২২ সালে ছিল ১৯ দশমিক ৮। স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সন্তান প্রসবের হার ২০২২ সালের ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ সেই তুলনায় হ্রাস পেয়ে ২০২৩ সালে হয়েছে ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ এবং অস্ত্রোপচার পদ্ধতিতে প্রসবের হার ২০২২ সালের (৪১ দশমিক ৪ শতাংশ) তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩ সালে হয়েছে ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ। প্রতি হাজার জনসংখ্যায় স্থূল মৃত্যুহার ৬ দশমিক ১ শতাংশ যা ২০২২ সালে ছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ৩৩ এবং প্রতি লাখ জীবিত জন্ম শিশুর বিপরীতে মাতৃমৃত্যুর অনুপাত ১৩৬ জন, যা ২০২২ সালে ছিল ১৫৩ জন। এছাড়া এক বছরের ব্যবধানে ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী নারীদের সন্তান জন্মদানের হার কমেছে। ২০২৩ সালে দেশে প্রজনন হার দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ১৭, এক বছর আগেও তা ছিল ২ দশমিক ২০। বিবিএস বলছে, স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সন্তান প্রসবের হার ২০২২ সালের ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশের তুলনায় হ্রাস পেয়ে ২০২৩ সালে হয়েছে ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশে। অস্ত্রোপচার পদ্ধতিতে প্রসবের হার ২০২২ সালের ৪১ দশমিক ৪ শতাংশের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩ সালে হয়েছে ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, শিক্ষা, কর্ম কিংবা প্রশিক্ষণে নেই বাংলাদেশে এমন তরুণের সংখ্যা ২০২২ সালের ৪০ দশমিক ৬৭ শতাংশের তুলনায় কিছুটা হ্রাস পেয়ে ২০২৩ সালে ৩৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ হয়েছে। দেশে ৫ বছরের বেশি বয়সী মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী জনসংখ্যার হার ২০২৩ সালে ৫৯ দশমিক ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তবে, ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে এই হার ২০২২ সালের ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশের তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ হয়েছে। ২০২৩ সালে ১৫ বছরের বেশি বয়সী ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার দাঁড়িয়েছে ৫০ দশমিক ১ শতাংশে।

বিবিএসের জরিপে বলা হয়েছে, দেশে দশটি রোগে বেশি মানুষ মারা যায়। এর মধ্যে হার্ট অ্যাটাকে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়। এরপরেই আছে ব্রেইন স্ট্রোক, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, যকৃতের ক্যান্সার ও অ্যাজমা, সাধারণ জ্বর, উচ্চ রক্তচাপ, নিউমোনিয়া, হৃদ্রোগ ও ডায়বেটিস।

বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, দেশে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর হারে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ২০২৩ সালে ১ দশমিক ০২ শতাংশ মানুষ মারা গেছে হার্ট অ্যাটাকে, ২০২২ সালেও এই সংখ্যা একই ছিল। তবে ব্রেইন স্ট্রোকে মৃত্যুর হার বেড়েছে। ২০২৩ সালে এ হার ছিল শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ, এর আগের বছর যা শূন্য দশমিক ৫৩ ছিল। মৃত্যু হার বেড়েছে যকৃতের ক্যান্সারেও। ২০২৩ সালে যকৃতের ক্যান্সারে মারা গেছে শূন্য দশমিক ২৭ শতাংশ মানুষ, এর আগের বছর যা ছিল শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ। তবে দেশে অ্যাজমায় মৃত্যু কমেছে। ২০২৩ সালে প্রতি হাজারে শূন্য দশমিক ২৭ শতাংশ মানুষ অ্যাজমায় মারা গেছে, ২০২২ সালে যা ছিল শূন্য দশমিক ২৮ শতাংশ। সাধারণ জ্বরেও আগের বছরের তুলনায় মৃত্যু কমেছে। দেশে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ২০২৩ সালে মৃত্যু বেড়েছে, তবে নিউমোনিয়া ও হৃদ্রোগে মৃত্যু হার অপরিবর্তিত আছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে এক বছরে সিজারিয়ান ডেলিভারি ৯ শতাংশের বেশি বেড়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে দেশে সিজারিয়ান ডেলিভারির হার ছিল ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ২০২২ সালে এ হার ছিল ৪১ দশমিক ৪ শতাংশ। বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, স্বাভাবিক প্রসবের হার অনেক কমেছে। ২০২৩ সালে দেশে স্বাভাবিক প্রসবের হার ছিল ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ, এক বছর আগে যা ছিল ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৩ সালে শহরে ৫৯ দশমিক ১ শতাংশ শিশুর জন্ম হয়েছে, এর আগের বছর যা ছিল ৫৩ শতাংশ। এছাড়া, হাসপাতালে সন্তান প্রসবের হার বেড়েছে। ২০২৩ সালে ৩২ দশমিক ৭৭ শতাংশ সন্তান জন্ম হয়েছে বাড়িতে, ২০২২ সালে যা ছিল ৪২ দশমিক ৩১ শতাংশ।

প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে স্যাম্পল ভাইটাল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের (এসভিআরএস) প্রকল্প পরিচালক আলমগীর হোসেন বলেন, ২০২৩ সালে সিজারিয়ান ডেলিভারির হার বেড়ে ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ হয়েছে, এটি উদ্বেগজনক। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, একটি দেশে সিজারিয়ান ডেলিভারির হার ১০-১৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেলেই তা উদ্বেগজনক।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, দেশে তালাকের হার বৃদ্ধির পর আবার কমেছে। ২০২৩ সালে দেশে তালাকের হার কমে ১ দশমিক ১ শতাংশ হয়েছে, ২০২২ সালে যা ছিল ১ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০২১ সালে এ হার ছিল শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। বিবিএসের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে গ্রামে তালাকের হার ছিল ১ দশমিক ১ শতাংশ, এর আগের বছর যা ১ দশমিক ৪ শতাংশ ছিল। আর শহরে এ হার শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ, এক বছর আগে যা ১ দশমিক শূন্য শতাংশ ছিল। এছাড়া দাম্পত্য বিচ্ছেদের হারও কমেছে। ২০২৩ সালে দাম্পত্য বিচ্ছেদের হার ছিল শূন্য দশমিক ২৬ শতাংশ, এক বছর আগে যা শূন্য দশমিক ২৯ শতাংশ ছিল।

বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২২-এ উঠে এসেছিল, দেশে পুরুষদের প্রথম বিয়ের গড় বয়স ছিল ২৪ বছর; নারীদের ক্ষেত্রে ছিল ১৮ দশমিক ৪ বছর। সেই হিসাবে দেখা যাচ্ছে, পুরুষদের প্রথম বিয়ের গড় বয়স কিছুটা বেড়েছে। নারীদের ক্ষেত্রে তা অপরিবর্তিত রয়েছে। গত বছরের জরিপ অনুসারে, পল্লি অঞ্চলের তুলনায় শহরাঞ্চলের পুরুষ ও নারী উভয়ই বেশি বয়সে প্রথম বিয়ে করেন। আগের জরিপে শহরাঞ্চলের পুরুষ ও নারীদের প্রথম বিয়ের গড় বয়স ছিল যথাক্রমে ২৫ দশমিক ২ ও ১৯ দশমিক ৬ বছর। আর পল্লি অঞ্চলের পুরুষ ও নারীদের প্রথম বিয়ের গড় বয়স ছিল যথাক্রমে ২৩ দশমিক ৭ ও ১৮ দশমিক ১ বছর। এছাড়া পরিসংখ্যানে আরও উঠে এসেছে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবহারকারীর হার সামান্য কমে ৬২ দশমিক ১ শতাংশ হয়েছে। বিবিএসের তথ্য বলছে, সারা দেশেই সাবলেট থাকা মানুষের হার বেড়েছে। ২০২৩ সালে দেশে ৪ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ সাবলেট থেকেছে, এর আগের বছর যা ছিল ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে, বর্তমানে শহরে সাবলেট থাকার হার ৬ শতাংশ, ২০২২ সালে যা ৫ দশমিক ৮ শতাংশ ছিল। সাবলেট গ্রহণকারীর পাশাপাশি সাবলেট প্রদানকারীর সংখ্যাও বেড়েছে। ২০২৩ সালে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ সাবলেট দিয়েছে, ২০২২ সালে যা ছিল শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। দেশে সাবলেট বাড়ার কারণ জানতে চাইলে এসভিআরিএস ইন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম প্রকল্পের আলমগীর প্রকল্প পরিচালক হোসেন বলেন, বর্তমানে গ্রামেও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড অনেক বেড়ে গেছে। গ্রামেও এখন শহরের মতো সুযোগ-সুবিধা ও কর্মসংস্থান বেড়েছে। সে কারণে পল্লি অঞ্চলেও সাবলেট থাকার হার বেড়েছে। শহরের বস্তিতে বসবাসকারী প্রায় সাড়ে ১৩ শতাংশ মানুষ বরিশালের। এর আগে ২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনে বরিশালে নিরাপদ টয়লেট সবচেয়ে কম বলে প্রকাশ করা হয়। সে সময় প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে ৫৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ পরিবারে নিরাপদ টয়লেট বা শৌচাগার সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে কম ৩৭ দশমিক ৯২ শতাংশ রয়েছে বরিশাল বিভাগে। আর সবচেয়ে বেশি নিরাপদ শৌচাগার সুবিধা ঢাকাতে। বিভাগটিতে এ হার ৬৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ। জরিপ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষা, কাজে বা প্রশিক্ষণে নেই, দেশে এমন তরুণের সংখ্যা ৩৯ শতাংশ। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪০ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এ বছর কিছুটা কমে এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

রেকর্ডের মালা গেঁথে দ. আফ্রিকার বিপক্ষে আফগানের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়

রেকর্ডের মালা গেঁথে দ. আফ্রিকার বিপক্ষে আফগানের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়

মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর, চীনকে ঠেকাতে কোয়াড কি এখনও প্রাসঙ্গিক?

মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর, চীনকে ঠেকাতে কোয়াড কি এখনও প্রাসঙ্গিক?

টেলর সুইফটের পর কমলাকে বিখ্যাত বিজ্ঞান ম্যাগাজিনের সমর্থন নিয়ে বিতর্ক

টেলর সুইফটের পর কমলাকে বিখ্যাত বিজ্ঞান ম্যাগাজিনের সমর্থন নিয়ে বিতর্ক

ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়

ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়

কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার

কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার

মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি

মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন