এক টাকা কেজি শসা তবু মিলছে না ক্রেতা
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০২ এএম
জমিতে পঁচছে শসা। গাছ থেকে শসা তুলতে মজুরির টাকাটাও এখন লোকসান। কারণ দিনাজপুরের বাজারে শসার ক্রেতা নেই। বাজারে নেয়ার পর ক্রেতার অভাবে শরীরের ঘাম ঝড়িয়ে সার-বীজ দিয়ে উৎপাদিত শসাই বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বাধ্য হয়ে পানির দামে এক থেকে দেড় টাকা কেজি দরে শসা বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছে কৃষকেরা। ঈদে মহাসড়কে স্বস্থি ফিরাতে মালামালবাহী গাড়ী বন্ধ থাকার কারণেই ফড়েয়ারা শসা ক্রয় করতে পারেনি বলে পাইকাররা জানান। জেলার বীরগঞ্জ, কাহারোল ও খানসামা উপজেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে এই দৃশ্য দেখা যায়। কৃষকরা বলছে আগামীতে আর শসা আবাদ করবে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে খানসামা উপজেলার পাকেরহাট এলাকার বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা সাইকেলে, ভ্যানে এমনকি মাথায় করে শসা (ব্যাগ ও বস্তায়) নিয়ে আসছে। কিন্তু শসা কেনার কেউ নেই। আশপাশ এলাকার ছোট ছোট ব্যবসায়ীরাই একমাত্র ক্রেতা। ক্রেতা না থাকায় কৃষকেরা শসা যে দামেই হোক বিক্রি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। কৃষক মঈনউদ্দিন জানালেন সে চার বস্তা শসা এনেছে। উৎপাদন খরচ পরের কথা। বাজারে আনতে ভ্যান ভাড়া উঠানোই এখন দায় হয়ে পড়েছে। তাই সে এক টাকা কেজি হিসাবে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছে। এই অবস্থা সকল কৃষকের।
উপজেলার ভাবকি ইউনিয়নের কৃষক রহমান জানান, শসা আবাদ করতে বাঁশের বাতা ব্যবহার করতে হয়। ঝুলে থাকে বলে রশি দিয়ে টানা দিতে অনেক। বীজ, সার ও কীটনাশক আছে। রয়েছে আবাদের কষ্ট। সব মিলিয়ে তার ৫ কাঠা জমিতে শসা আবাদ করতে খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। রোজার সময় দাম ভাল থাকায় ৫ হাজার টাকার শসা বিক্রি হয়েছে। এখন গাছে শসা ঝুলছে। কিন্তু তুলতে পারছি না। কারণ তুলতে যে খরচ বিক্রি করে তাও উঠানো যাচ্ছে না। তাই ক্ষেতেই পঁচছে স্বাদের শসা।
তার মতে রমজান মাসে শসা বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে। দাম ভাল পাওয়ায় এবং আবহাওয়া ভাল থাকায় অনেকেই নুতন ভাবে শসার আবাদ করে। রমজান শেষ হতেই শসা’র চাহিদা কমে যায়। আবার অনেকেই ঈদের আগে ও পরে ৮ দিন মহাসড়কে পরিবহন বন্ধ থাকায় গ্রাম পর্যায় থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম এসব অঞ্চলের ক্রেতারা না আসায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সংরক্ষণের কোন ব্যবস্থা এবং স্বল্পকালীন জাতের সবজি হওয়ায় শসা রাখা সম্ভব হচ্ছে না। আবার শসা উঠিয়ে এই জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হবে। তাই কৃষকরা শসা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামানের জানান, শসা সবজির একটি অংশ। খুব বেশি জমিতে আবাদ না হলেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন হয়েছে বেশি। দামের ব্যাপারে তিনি বললেন, এটা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের বিষয় না। এর জন্য রয়েছে বিপণনসহ অন্যান্য বিভাগ। তিনি বললেন বিপণন ব্যবস্থা ঠিক থাকলে কৃষকরা দাম পাওয়ার কথা। গরমের সময় শসা অনেক উপকারী এবং চাহিদাও বেশি থাকে। কিন্তু কেনো ধ্বস নেমেছে সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে পারেন না।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
অতিক্তি লোক ভিড় করায় মাওলানা মামুনুল হক মুক্তি পাননি
দুটি মার্কিন ডেস্ট্রয়ারসহ চার জাহাজে হামলা হুতিদের
দক্ষিণাঞ্চলীয় বাহিনীর সদর দফতরে হামলা রাশিয়ার
আমাকে উৎখাতের পর ক্ষমতায় কে?
ফজরের নামাযের দশটি ফযীলত-১
সম্রাট হুমায়ুন : উদারনীতির উদ্যান-১
উচ্চতাপ বজ্র-ঝড় কালবৈশাখী ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা এ মাসেই
অবশেষে গ্রেফতার সেই ভয়ঙ্কর প্রতারক মিল্টন সমাদ্দার
ধরা পড়েনি কিলিং মিশনের ১২ খুনি, অভিযোগ ভুক্তভোগীদের
ওসির শেল্টারেই চেয়ারম্যান তপনের নানা অপকর্ম
জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভ আজ
৭ জানুয়ারির নির্বাচন ’৭৫ সালের পর দেশে অনুষ্ঠিত সুষ্ঠু নির্বাচন -ওবায়দুল কাদের
বাংলাদেশ ও ভারতের দুই সচিবের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক
কাউকে ছাড় দেবে না বিএনপি
ওমরা পালনে সস্ত্রীক সউদী আরব গেছেন মির্জা ফখরুল
শনিবার মাধ্যমিকে রোববার থেকে প্রাথমিকে পাঠদান চলবে
এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি কমেছে ৪ কোটি ডলার
ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা কলম্বিয়ার
রাশিয়ার উপগ্রহ-বিরোধী পারমাণবিক অস্ত্র ভয়ঙ্কর হতে পারে : পেন্টাগন
শিক্ষা ক্যাম্পাসজুড়ে গাজা যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ, চলছে গ্রেফতার-উচ্ছেদ