গিলা-কলিজাতেই তারা তুষ্ট!
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০২ এএম
ঈদের আগে অস্থির হয়ে উঠা গোশতের বাজারে এখনও ফেরেনি স্বস্তি। দাম সামান্য কমলেও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামেই। গরুর গোশত কেনার আর্থিক সংগতি না থাকায় এতে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্তদের অনেকেই ঝুঁকছেন গিলা-কলিজার দিকে। ভোক্তাদের দাবি, অস্থির নিত্যপণ্যের বাজারে গোশতের স্বাদ মেটাতে হচ্ছে ব্রয়লার মুরগির গিলা-কলিজা চামড়াতে। তবে সেটির দামও বেশ চড়া। এক সময় মুরগির যে গিলা, পা, কলিজা ফেলে দেয়া হতো সেটার কেজিও দুইশ থেকে আড়াইশ টাকা। গতকাল শুক্রবার যাত্রাবাড়ি, শনির আখড়া, গবিন্দপুর কেরানীগঞ্জের জিনজিরা, আগানগর এবং রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার ধারে বিক্রি হওয়া মুরগির গিলা, কলিজা ও চামড়া কিনছেন অনেকে। মুরগির গিলা, কলিজা, চামড়া ও পা একসঙ্গে নিলে প্রতি কেজির দাম পড়ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। আর পা বাদ দিয়ে নিলে দুই’শ টাকার নীচে নেই।
শনির আখড়া বাজারে সরেমজিন ঘুরে দেখা যায়, অনেক মহিলা গিলা কলিজার দোকানের কাছে গিয়ে আশপাশ দেখছেন পরিচিত কেউ আছেন কিনা; না থাকলে দ্রুত ব্রয়লার মুরগির গিলা-কলিজা-পা-চামড়া কিনে চলে যাচ্ছেন। বাজার করতে আসা এক ক্রেতার সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, ‘ব্রয়লার মুরগি কেনার সামর্থ্য নেই। তাই গিলা, কলিজা, আর চামড়া কিনে নিয়ে যাচ্ছি।’ শরিফুর নেসা নামেই এক মহিলা বলেন, গরুর গোশত দূরের কথা ব্রয়লার মুরগি কিনে খাওয়ার স্বক্ষমতা আমাদের নেই। তাই বাধ্য হয়ে গিলা কলিজা কিনছি। আর সামাজিক অবস্থানের কারণে গিলা কলিজা কিনতে দেখলে পরিচিতরা কি ভাবেন সে ভয়ে লুকিয়ে কিনতে হয়।
শরিফুন নেসার মতোই অবস্থা বেশির ভাগ নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্তদের। তারা বলেন, বাজারে মুরগিসহ অন্যান্য গোশতের দাম বাড়ছে হু হু করে। এতে মুরগি বা গরুর গোশত কেনার সাহস নেই। ফলে গোশতের স্বাদ মেটাতে বাধ্য হয়ে গিলা, কলিজা ও চামড়া কিনতে হচ্ছে। এটা অনেকটা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো আর কী! মো. রাশেদ আলম নামে এক রিকশাচালক বলেন, মুরগির কেজি ২৪০ টাকা, আর গিলা-কলিজা ১৫০ টাকা। মুরগির বদলে গিলা-কলিজা কিনতে গেলেও স্বস্তি নেই। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে মুরগির দাম বাড়ায়, ব্যবসায়ীরা বেশি দামে গিলা-কলিজা বিক্রি করছে। সেটি এনে খুচরায় বিক্রি করা হয়। তাই হাতবদলের কারণে এখানেও দাম বাড়ে। শনির আখড়ার গোবিন্দগঞ্জ বাজারের গিলা-কলিজা বিক্রেতা মো. জসিম বলেন, গিলা-কলিজার ক্রেতা মূলত নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। তবে যে হারে মুরগির দাম বাড়ছে, তাতে মধ্যবিত্তরাও এখন এসবের দিকে ঝুঁকছে।
এদিকে, বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে মুরগি নেই। তাছাড়া বেড়েছে মুরগির উৎপাদন খরচ। যার প্রভাবে বাড়ছে দাম।
বাজারে প্রতি কেজি গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি খাসির গোশত এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা এবং ছাগলের গোশত বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়। বিক্রেতারা দাবি, কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে গরু বিক্রি করছেন না খামারিরা। এতে সরবরাহ ঘাটতিতে দাম বেড়েছে গরুর। গরুর দাম না কমলে গোশতের দাম সামনে আরও বাড়বে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
উচ্চশিক্ষা খাত এগিয়ে নিতে ডিজিটাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ : ইউজিসি চেয়ারম্যান
এবি পার্টির ৪র্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ
বিক্ষোভে উত্তাল মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পুলিশ মোতায়েন
বায়তুশ শরফ দরবার মানব সেবার একটি অনন্য উদাহরণ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন ৯ মে পর্যন্ত চলবে
আগামীতে পলিশ বিহীন চাল বাজারজাত করতে মিলারদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে : খাদ্যমন্ত্রী
সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে স্কাউট শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম
বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও গাজা,ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
উদ্বৃত্ত উৎপাদন সত্ত্বেও সংরক্ষণাগারের অভাবে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয় : কৃষিমন্ত্রী
শেরপুরে ৪২৬ বোতল ফেন্সিডিলসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
নাগরিকতা সিভিক এনগেজমেন্ট ফান্ড (সিইএফ)-এর উদ্বোধন
রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
বজ্রপাতে একদিনে প্রাণ গেলো ৯ জনের
মাওলানা মামুনুল হককে রিসিপ করতে কাশিমপুর কারাগারের গেইটে হেফাজত নেতাদের ভিড়
এখন জনগণ বিশ্ব দরবারে মর্যাদা নিয়ে চলতে পারে : প্রধানমন্ত্রী
শিগগিরই উন্মুক্ত কারাগার তৈরির কাজ শুরু হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
‘প্রবাসী আতঙ্ক’ই আঘাত হানছে ভারত-চীনের অর্থনীতিতে: বাইডেন
৩০ বছর বাদে সোজা হলেন বিশ্বের কোঁচকানো ব্যাক্তি
মার্কিন ও ব্রিটিশ ১৫ ব্যক্তি ও ১০ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ইরানের
কালীগঞ্জে বিএনপির পক্ষ থেকে ছাতা পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ