মাঠ জুড়ে লাল মরিচের বাম্পার ফলন
১৯ মে ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ১৯ মে ২০২৪, ১২:০২ এএম
লাল মরিচে লাল হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন পঞ্চগড়ের কৃষকরা। বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকেরা মহাখুশি নূড়ী পাথর আর চা সমৃদ্ধ জেলা পঞ্চগড়ের বিস্তির্ণ এলাকায় মরিচ গাছ শোভা পাচ্ছে। সবুজ গাছে পাক ধরে লাল রং ধারণ করা মরিচের ক্ষেতগুলি লাল গালিজা বিছানো নয়াভিরাম দৃশ্যের অবতারণা করছে। গাছ থেকে তুলে খোলা মাঠসহ পথে প্রান্তরে শুকানোর জন্য বিছিয়ে দেয়া লাল মরিচগুলি লাল রক্তিম আভা ছড়াচ্ছে। মরিচের দিকে তাকিয়ে কৃষক ভবিষ্যত স্বপ্ন গুনছে। ফড়েয়ারা ক্রয় করে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
পঞ্চগড়ে মাটির তলার নূড়ী পাথর দেশের নির্মাণ কাজের যোগান দিয়ে চলেছে। মাটি খুড়লেই নূড়ী পাথর। মহানন্দা নদী নূড়ী পাথর উত্তোলনের দৃশ্য চির চেনা। যদিও ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর অন্যায় গুলিবর্ষণে অনেককেই প্রাণ দিতে হয়েছে অকালে। তারপরও নূড়ী পাথর সংগ্রহ থেমে নেই। হালের পরিক্রমায় বাংলাদেশে সমতল ভূমিতে চা আবাদের সূচনা হয়েছে এই জেলাতেই। পঞ্চগড় এখন দেশের দ্বিতীয় চা উৎপাদন এলাকা। এই পঞ্চগড় লাল মরিচ, চিনা বাদাম ও তরমুজ আবাদে সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে। চলতি বছর পঞ্চগড়ে লাল মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিস্তির্ণ এলাকা জুড়ে থাকা লাল মরিচের ক্ষেতগুলি কৃষক-মজুরের কোলাহলে মুখরিত হয়ে আছে। মরিচ উত্তোলিত মরিচ বাড়িতে এনে উঠোনে, ফাঁকা মাঠে ও মিল চাটালে বিছিয়ে দেয়া হচ্ছে শুকানোর জন্য। রৌদ্র তাপে লাল মরিচগুলি লাল গালিজার রুপ ধারণ করছে। কৃষকের সাথে ফড়েয়া ও ব্যবসায়ীদের মুখেও হাসি ফুটেছে। বীজ, সার, সেচ ও মজুরি বৃদ্ধির সাথে সাথে বেড়েছে উৎপাদন খরচ। তারপরও লাভ কম হলেও কৃষকেরা খুশি।
কৃষি অধিদফতর পঞ্চগড় অফিসের তথ্য মতে, জেলায় চলতি বছরে ৮ হাজার ৬৮৭ হেক্টর জমিতে মরিচ আবাদ হয়েছে। ২০২৩ সালে মরিচ আবাদ হয়েছিল ৮ হাজার ২৫ হেক্টর জমি। এবছর ৬৬২ হেক্টর জমিতে মরিচ আবাদ বেশি হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, ৫০ শতকের ১ বিঘা জমিতে উৎপাদনের উপর খরচ হয়,কারো ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। তার উৎপাদন হবে প্রায় ২০ মণ। কেউ ৪০ থেকে ৫০ হাজার খরচ করলে তার উৎপাদনও তুলনামূলকভাবে কম হবে। অর্থাৎ খরচ বেশি করলে মরিচ উৎপাদনও বেশি হবে। কিন্তু কৃষকতো আবাদকালীন সময়ে নগদ অর্থ সঙ্কটে থাকে। সরকারীভাবে প্রণোদনাসহ, সহজ শর্তে ঋণ পেলে আবাদ বাড়িয়ে অধিক ফলন ফলানো সম্ভব হবে।
মির্জাপুর এলাকার কৃষক সেলিম জানান, দেড় বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। বিঘায় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি ২০ মণ শুকনা মরিচ তুলব। কৃষক মুজাহিদ বলেন, মরিচ চাষে যেভাবে যত্ন নেয়া হয়েছে। তার অর্ধেক সময় পরিবারের লোকজনের খবর নেয়া হয়নি। ১৪ কাঠা জমিতে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ১০ মণ শুকনা মরিচ তুলেছি, আরো ২ থেকে ৩ মণ হবে। মির্জাপুর এলাকার মরিচ ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন জানান, বাজারে জাত ভেদে প্রতি মণ লাল শুকনা মরিচ ৮ হাজার থেকে সাড়ে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বায়তুল মোকাররমের ঘটনার জেরে ইফা মহাপরিচালক প্রত্যাহার
কোর্ট ম্যারেজ করা প্রসঙ্গে?
এখনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বরদের রেখেছেন কেন? - রিজভী
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে
রাষ্ট্র গঠনে যা করা জরুরি
নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে একটি প্রস্তাবনা
ঈশ্বরদীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনসহ যুবদল নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
ইসরাইল এখনো সন্ত্রাসীর মতো হামলা চালাচ্ছে
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অতিশী
ওরা পার্বত্য অঞ্চলকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়
বৃষ্টির মতো রকেট নিক্ষেপ হিজবুল্লাহর পালিয়েছেন লাখ লাখ ইসরাইলি
পাহাড়ে অশান্তির বীজ উপরে ফেলতে হবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে
পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ
শৈলকুপায় অস্ত্র ও গুলিসহ ২ জন আটক
অশান্ত মণিপুরে সেনা টহল
‘ট্রাম্প ও তার দল ভণ্ডামি করছে’
হেলিকপ্টারে যেতে পারলেন না ভারতের দুই মন্ত্রী
মার্কিনিদের লেবানন ছাড়ার আহ্বান
সংঘাতের মধ্যে নতুন অস্ত্র সামনে আনলো ইরান
ভারতকে পারমাণবিক সাবমেরিন আন্ডারওয়াটার ড্রোন দেবে ফ্রান্স