ঢাকা   রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের

সাংবাদিকরা কেন বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢুকবেন?

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

১৯ মে ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ১৯ মে ২০২৪, ১২:০১ এএম

পৃথিবীর কোন দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকে সাংবাদিকরা অবাধে ঢুকতে পারছে প্রশ্ন রেখে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ওয়েবসাইটে সব আছে আপনার জানার বিষয়। আপনি ভেতরে ঢুকবেন কেন! গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার প্রশ্নে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী উল্টো জানতে চান- পৃথিবীর কোন দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকে অবাধে ঢুকত পারে? ভারতের ফেডারেল ব্যাংকে পারে? সব ওয়েবসাইটে আছে। আপনার জানবার বিষয়, আপনি ভেতরে ঢুকবেন কেন? এ সময় বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ঘাটতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্রের ঘাটতিটা কোথায়? কি কি কারনে ঘাটতি? বাংলাদেশ বাংলাদেশের মতোই চলবে। বাংলাদেশে একটা নির্বাচন হয়েছে, বিএনপি সে নির্বাচনে নেই, সেটা অনেকেরই আজকে মেনে নেওয়া কঠিন। নির্বাচনে যে বাস্তবতা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। ভোটার টার্নআউট ৪২% শতাংশের বেশি। সংসদে বিরোধী দল সমালোচনা করছে, তাদের মুখতো আমরা বন্ধ করিনি। সংসদের বাইরে যারা বিরোধী আছে -বিএনপি যখন যা কিছু ফ্রি স্টাইলে বক্তব্য দিচ্ছে, সভা সমাবেশ করছে। ২৮ অক্টোবর তারা যা করে গেছে। নির্বাচন বয়কটের পর তাদের ওপর দমন পীড়ন সেটা তো হয়নি।

আজকে অনেক দেশে গণতন্ত্রের দাবি আছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বের অনেক নামিদামি দেশ- গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রবক্তা কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সহ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলন দমন করতে গিয়ে কিভাবে মেরে হাত-পা বেঁধে আটক করা হয়েছে। একজন প্রফেসরও এই নির্মমতার শিকার হয়েছেন। এক শিক্ষার্থী গণমাধ্যমে বলেছেন, তাদের উপর কেমিক্যাল স্প্রে করা হয়েছে। এ কারণে অনেক ছাত্রছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল, তাদের হাসপাতালে নিতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ তো বিএনপির সঙ্গে এমন আচরণ করেনি। বিএনপি যখন যেখানে সভা সমাবেশ করতে চেয়েছে করেছে। সরকার তো কোন হস্তক্ষেপ করেনি। তাহলে গণতন্ত্রের ঘাটতিটা কোথায়? আমি যদি বলি আমরা অনেক দেশের তুলনায় গণতন্ত্রে সারপ্লাস আছি।

এ সময় র‌্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া প্রশ্নে সড়ক পরিবহনের সাথে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তিনি ডিনারের পর সাংবাদিকদের সামনে এ নিয়ে যে বক্তব্য রেখেছেন সে বক্তব্য যথাযথভাবে প্রকাশিত হয়েছে কিনা তার সাথে আলাপ করলে বুঝতে পারবো। তিনি হয়তো মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে পারেন এটা তুলে নিতে।

বাকশাল নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরে মন্তব্যের জবাবে এ সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব যখন বলেন বাকশালী শাসন। আমি ফখরুল সাহেব কে বলবো -বাকশাল কোন এক দল নয়। এটা ছিল জাতীয় দল। কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ। এখন এটাকে বাকশাল বলে একটা গালিতে পরিণত করার দুরভিসন্ধি অনেকেরই ছিল। ফখরুল সাহেবকে বলবো -বিএনপি›র প্রতিষ্ঠাতা, আপনাদের নেতা জিয়াউর রহমান অফিসিয়ালি বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন। সেটার কি জবাব দেবেন? এটা আরো দু’একবার বলেছিলাম জবাব পাইনি। অহেতুক ঘাটাঘাটি করলে আপনাদের চেহারাটাই উন্মোচিত হবে।

এ সময় বিএনপির ভারতবিরোধী অবস্থান নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমে দেখলাম -বিএনপির ভারত বিরোধীতার বিষয় পুনর্বিবেচনা করে দেখবে। বিরোধীতা না করে মধ্যপন্থা অবলম্বন করা যায় কিনা। তাদের সামনে কোন ইস্যু নেই, তারা আছে এটা বোঝানোর জন্য কিছু একটা সামনে আনে। শেষ পর্যন্ত গণঅভ্যুত্থান থেকে লিফলেট বিতরণে তাদের আসতে হলো।

সংবাদ সম্মেলনে শুরুতে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন প্রসঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ১৭ই মে সারাদেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে উদযাপিত হয়েছে জননন্দিত সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। বিদেশের ৬ বছর নির্বাসনে থাকার পর তিনি দেশে এসে সারা দেশে সুনামগঞ্জ থেকে সুন্দরবন, তেতুলিয়া থেকে কুতুবদিয়া ছুটে গেছেন সাধারণ মানুষের কাছে। বঙ্গবন্ধু উত্তর হতাশা কবলিত দিশেহারা মানুষের কাছে। বঙ্গবন্ধুর আপনজন ছিলেন এদেশের সাধারণ মানুষ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও আপনজন এদেশের সাধারণ মানুষ। তিনি আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন এবং গোটা জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে বাংলাদেশে এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কেন হয়েছে? সরকারের ধারাবাহিকতা এবং নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা ও স্থায়িত্বের কারণে। এই দুই কারণে বাংলাদেশের এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি। বাংলাদেশ বিশ্বের বিস্ময়ে রূপান্তর হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

গোল উৎসবে নেশন্স কাপে উড়ন্ত সূচনা জার্মানির

গোল উৎসবে নেশন্স কাপে উড়ন্ত সূচনা জার্মানির

জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু

জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু

পোপের ১৫৪ রানের পরেও ইংল্যান্ডের ৩২৫,কামিন্দু-সিলভায় লংকানদের লড়াই

পোপের ১৫৪ রানের পরেও ইংল্যান্ডের ৩২৫,কামিন্দু-সিলভায় লংকানদের লড়াই

স্কটল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া

স্কটল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া

মানিকগঞ্জে ইছামতী নদীতে থেকে মরদেহ উদ্ধার

মানিকগঞ্জে ইছামতী নদীতে থেকে মরদেহ উদ্ধার

‌'শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কঠাগড়ায় দাঁড় করাতে হবে'

‌'শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কঠাগড়ায় দাঁড় করাতে হবে'

শেষ ম্যাচও জিততে চায় বাংলাদেশ

শেষ ম্যাচও জিততে চায় বাংলাদেশ

সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জামায়াতকে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে

সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জামায়াতকে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে

আইওসির কোচিং কোর্সে বাংলাদেশের মাহফিজুল

আইওসির কোচিং কোর্সে বাংলাদেশের মাহফিজুল

নাটোরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু

নাটোরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু

পটিয়ায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদ্ন্নুবী অনুষ্ঠিত

পটিয়ায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদ্ন্নুবী অনুষ্ঠিত

মীরসরাইয়ে কমছে পানি তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন

মীরসরাইয়ে কমছে পানি তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন

বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না

বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না

নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব

নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব

নেমে গেছে বানের পানি স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন

নেমে গেছে বানের পানি স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন

সভাপতি শওকত সম্পাদক মানিক

সভাপতি শওকত সম্পাদক মানিক

সংযোগ সড়ক ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামবাসী

সংযোগ সড়ক ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামবাসী

বাড়িভিটা হারিয়ে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ

বাড়িভিটা হারিয়ে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ

ভয়াবহ বন্যায় কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সর্বনাশ

ভয়াবহ বন্যায় কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সর্বনাশ

মাদরাসা শিক্ষার সংস্কার : একটি পর্যালোচনা

মাদরাসা শিক্ষার সংস্কার : একটি পর্যালোচনা