দেশের তিন জেলায় বজ্রপাতে ৫ জন নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন। গতকাল দিনের বিভিন্ন সময় এবং রোববার রাতে এসব ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে গতকাল ৩ বালু শ্রমিক, কুড়িগ্রামে এক দর্জি ও কলাপাড়ায় এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যের প্রতিবেদনে-

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা নরসিংপুর ইউনিয়নে চেলা নদীতে বজ্রপাতে ৩ বালু শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের চেলানদীর সোনাপুর-পূর্বচাইরগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো- ছাতকের ইসলামপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গনেশপুর গ্রামের আনছার উদ্দিনের ছেলে দুলন মিয়া, বাহাদুরপুর গ্রামের মুসলিম মিয়ার ছেলে কদ্দুস মিয়া ও অন্য একজনের পরিচয় জানা যায়নি। এঘটনায় আরো অন্তত ৫ থেকে ৭ জন মেডিক্যাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল সকালেও স্টিলবডি নৌকা নিয়ে চেলানদীতে বালু উত্তোলন করতে আসে নিহতরাসহ আরো কয়েকজন শ্রমিক। এমতাবস্থায় সকালে বৃষ্টিপাতের সাথে বজ্রপাত ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই কুদ্দুস মিয়া নিহত হয়। অন্যদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুলন মিয়াসহ অজ্ঞাত একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা জানান, কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে বজ্রপাতে এক দর্জি নিহত হয়েছেন। রোববার রাত ১০টার দিকে উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চৌমুহনী বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে এঘটনা ঘটে। নিহত মেহের জামাল কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের চর সিতাইঝাড়ের নয়ার হাট এলাকার বাসিন্দা।

জানা যায়, রোববার রাত ৮টার দিকে বজ্রবৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি থামার পর মেহের জামাল চৌমুহনী বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে রাত ১০টার দিকে কাজ শেষে বাড়ি যাওয়ার পথে ওয়াপদা সড়কে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বজ্রপাতে এক ইমারত শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেল ৫ টার দিকে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউপির খলিলপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে। নিহত জাকির ফকির ওই ইউনিয়নের মস্তফাপুর গ্রামের মোতালেব ফকিরের ছেলে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জহির জানান, জাকির মহাসড়ক লাগোয়া খলিলপুর গ্রামে গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে রেজাউলের বাড়িতে কাজ করছিলেন। এসময় তিনি আকস্মিক বজ্রপাত আহত হন। তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।