ঢাকা   রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
কঠোর মনিটরিং করতে মন্ত্রিসভায় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে নির্দেশ সিইসি-কমিশনারদের বেতন সুনির্দিষ্ট হচ্ছে

বাজারে সংকট নেই,পণ্যের দাম বাড়ছে কেন : প্রধানমন্ত্রী

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

২১ মে ২০২৪, ১২:০৯ এএম | আপডেট: ২১ মে ২০২৪, ১২:০৯ এএম

দেশে সংকট না থাকা সত্ত্বেও বাজারে কৃত্রিম মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা দেখে প্রধানমন্ত্রী কঠোরভাবে বাজার মনিটরিংয়ের জন্য সুনির্দিষ্টভাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া ইউরোপ-আমেরিকাসহ ১২৬টি দেশে যেতে সনদ ভেরিফিকেশনের জটিলতা কাটাতে একটি কনভেনশনের আওতায় যেতে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক জোট ‘বিমসটেক’ সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে জাহাজ চলাচল সহজ করতে নতুন একটি চুক্তির খসড়া অনুমোদন।

গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। সভা শেষে বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি জানান, আজকে নির্ধারিত ইস্যুর বাইরে দুইটি বিষয় ছিল। তারমধ্যে প্রধানমন্ত্রী আজকে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে কঠোরভাবে বলেছেন, বাজার মনিটরিং যেন জোরালোভাবে হয় এবং ভালোভাবে নজর দিতে বলেছেন। বাজারে পণ্যের সরবরাহ যেন ঠিক থাকে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কিছু কিছু পণ্যে সরবরাহ ঠিক আছে, ক্রাইসিস না থাকার পরও বাজারে কৃত্রিম মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা দেখেছেন। সেজন্য কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং শুরু করা হয়। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্ঠভাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে নির্দেশনা দিয়েছেন। ডলারের দাম ৭ টাকা বাড়ানো হয়েছে তার একটা প্রভাব বাজারে এরই মধ্যে পড়েছে। সেক্ষেত্রে ডলারের দাম বাড়িয়ে বাজার মনিটরিং জোরদার করার বিষয়টি কতটা যুক্তিসংগত এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই প্রশ্নটা বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে করুন। আমি আপনাদের কমিনিকেট করছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশটা। প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশ দিয়েছেন সে বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে একটু কাজ করতে দেন। তারপর ওনাকে এই প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করেন। তাহলে হয়তো কিছু জানতে পারবে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাজার মনিটরিং জোরদার করার নির্দেশনা দিয়েছেন। ক্রাইসিস না থাকার পরও বেশকিছু পণ্যের দাম বাড়ছে। সেটা কেন হচ্ছে, তা দেখতে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের বেতন সুনির্দিষ্ট করে একটি আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিতোষিকও বিশেষাধিকার) আইন, ২০২৪› এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ১ লাখ ৫ হাজার টাকা এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারগণ ৯৫ হাজার টাকা করে বেতন পাবেন। এটা সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এবছরের ১৭ এপ্রিল আইনের খসড়া উঠেছিল। তখন নীতিগত অনুমোদন করা হয়েছিল। আজকে চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে। আইনের আওতায় বর্তমানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারগণ যে বেতন-ভাতাদি পেয়ে থাকেন সেটি ছিল ১৯৮৩ সালের। সেটি ‘দ্য চিফ ইলেকশন কমিশনার এন্ড কমিশনারস (রিমিউনেরেশন এন্ড প্রিভিলেজস) অর্ডিন্যান্স-১৯৮৩।তিনি বলেন, আমাদের উচ্চ আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে সামরিক শাসনামলের যে সব আইন ছিল সেগুলো পরিবর্তনের যে নির্দেশনা আছে তার আলোকে এই আইনটি করা হয়েছে। আইনে মূলত, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনারদের বেতন-ভাতাদি নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে যে আইনটি ছিল মূলত সেই আইনকে অনুসরণ করা হয়েছে। সেটি হলো যে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার আপীল বিভাগের বিচারপতির সমান বেতন-ভাতাদি পাবেন এবং নির্বাচন কমিশনার হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমান বেতন-ভাতাদি পাবেন। এখানে ওই রকম না লিখে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে যে,প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রতিমাসে এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা বেতন পাবেন। আর নির্বাচন কমিশনার পাবেন ৯৫ হাজার টাকা। বিশেষ ভাতা হিসেবে তারা উভয়ে তাদের মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হিসেবে পাবেন। তারা উৎসব ভাতা পাবেন, বাংলা নববর্ষের ভাতা পাবেন, আবাসন সুবিধা পাবেন, যানবাহন সুবিধা পাবেন, টেলিফোন সুবিধা, কুক ভাতা, সিকিউরিটি ভাতা পাবেন। নিয়ামক ভাতা পাবেন আট হাজার টাকা করে। চিকিৎসা সুবিধা আগে যেভাবে আছে সেটাই থাকবে। শুধু আইনের ভাষাটি ইংরেজি থেকে পরিবর্তন করে বাংলায় করা হয়েছে।তাদের পদমর্যাদা ঠিক থাকছে কিনা- প্রশ্নে তিনি বলেন, সেটির কোনো পরিবর্তন হয়নি। সেটি মূল আইনে রয়েছে। আপীল বিভাগের বিচারপতিরাও এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা বেতন পান। বেতন আগের মতোই রয়েছে।

ইউরোপ-আমেরিকা যেতে সনদ ভেরিফিকেশনের জটিলতা কাটছে॥
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন,অঢ়ড়ংঃরষব ঈড়হাবহঃরড়হ, ১৯৬১’ এ বাংলাদেশের পক্ষভুক্ত হওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। এই কনভেনশনের সদস্য ১২৬টি। আমাদের ছাত্ররা বা কোনো ব্যক্তি যখন বিদেশে যান তখন অনেক ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন করতে হয়। শিক্ষা সংক্রান্ত সনদ হলে প্রথমে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়িত করে পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়িত করতে হয়। এরপর যে দেশে যাবে সেই দেশের দূতাবাস থেকে সত্যায়িত করতে হয়, এরপর তা ওই দেশে কার্যকর হয়। তিনি বলেন, যেসব দেশের দূতাবাস বাংলাদেশে নেই দিল্লিতে গিয়ে ওইসব দেশের দূতাবাসে সনদ জমা দিয়ে সত্যায়িত করতে হয়। এতে বিরাট জটিলতার মধ্যে পড়তে হয়। ‘এই কনভেনশনের সদস্য রাষ্ট্রগুলো নির্দিষ্ট ফরমেট অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দেশের পররাষ্ট মন্ত্রণালয় সত্যায়িত বা ভেরিফাই করে দিলে এরপর আর ওই দেশের দূতাবাসে গিয়ে সত্যায়িত করতে হয় না। এই কনভেনশনে বাংলাদেশ এতদিন সদস্য না থাকায় আমাদের অনেক ভোগান্তি হয়েছে। মন্ত্রিসভা খুবই ইতিবাচকবভাবে এটি গ্রহণ করেছেন। এটিতে স্বাক্ষর করলে ইউরোপ, আমেরিকায় যাওয়ার ক্ষেত্রে এখন যে ভোগান্তি হয় সেটি আর হবে না এবং ব্যয় সাশ্রয় হবে।’

বিমসটেক সদস্য দেশগুলোর মধ্যে জাহাজ চলাচলের পথ সহজ হচ্ছে॥
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিমসটেক পোস্টাল শিপিং এগ্রিমেন্ট নামে একটি খসড়া আগে অনুমোদন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে দেখা গেছে যে শ্রীলংকার জাহাজ চলাচলের অংশটুক কোস্টালে নয়, এটি গভীর সমুদ্রবন্দরের অংশ। সে কারণে পোস্টাল শিপিং এগ্রিমেন্টে শ্রীলংকাকে অন্তর্ভুক্ত করা যাচ্ছিলো না। এজন্য এটার নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে ‘এগ্রিমেন্ট অন মেরিটাইম ট্রান্সপোর্ট কো-অপারেশন’। এই নামে এখন বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলো চুক্তি করবে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘এগ্রিমেন্ট অন মেরিটাইম ট্রান্সপোর্ট কো-অপারেশন’ শীর্ষক চুক্তির খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে মালামাল পরিবহনের জাহাজ চলাচলের জন্য দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করতে হয়। এখন জাহাজ চলাচলের জন্য আর আলাদা চুক্তি করতে হবে না। বিমসটেকের এই চুক্তির ফলে দ্বিপাক্ষিক আর চুক্তি করতে হবে না। বিমসটেকের সাতটি সদস্য রাষ্ট্র সবাই জাহাজ চলাচল করতে পারবে। দ্বিপাক্ষিক চুক্তি যখন হয় জাহাজের আকার ধরা হয় ২০ হাজার মেট্রিক টন পর্যন্ত, যেটি আগের পোস্টাল শিপিং এগ্রিমেন্টে ছিল। এখন মেরিটাইম চুক্তিতে ২০ হাজারের অধিক যে জাহাজ আছে তারাও এটার মধ্যে থাকবে।

ডি-৮’এ কোন ইস্যুতে আপত্তি থাকলে সমাধানের পথ খুলছে॥ ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আপত্তি নিস্পত্তির জন্য এ সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে ‹প্রোটোকল টু দ্যা ডি-এইট পিটিএ অন ডিসপ্যুট সেটেলমেন্ট মেকানিজম›-এ বাংলাদেশের স্বাক্ষর করার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ডেভেলোপিং এইট বা ডি-এইট নামে ওআইসির মধ্যে ছোট একটা গ্রুপ আছে। সেখানে আটটি দেশ- মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, তুরস্ক এবং বাংলাদেশ। তাদের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল ২০০৬ সালে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, চুক্তির আওতায় তারা পণ্য সংক্রান্ত বিষয়ে অঙ্গীকার করেছিল। তবে সেই দেশগুলোর মধ্যে মাঝেমাঝে ডিসপ্যুট (আপত্তি) তৈরি হয়। সেই ডিসপ্যুটটা কিভাবে সমাধান করবে সেটা ওই চুক্তিতে ছিল না।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

গোল উৎসবে নেশন্স কাপে উড়ন্ত সূচনা জার্মানির

গোল উৎসবে নেশন্স কাপে উড়ন্ত সূচনা জার্মানির

জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু

জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু

পোপের ১৫৪ রানের পরেও ইংল্যান্ডের ৩২৫,কামিন্দু-সিলভায় লংকানদের লড়াই

পোপের ১৫৪ রানের পরেও ইংল্যান্ডের ৩২৫,কামিন্দু-সিলভায় লংকানদের লড়াই

স্কটল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া

স্কটল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া

মানিকগঞ্জে ইছামতী নদীতে থেকে মরদেহ উদ্ধার

মানিকগঞ্জে ইছামতী নদীতে থেকে মরদেহ উদ্ধার

‌'শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কঠাগড়ায় দাঁড় করাতে হবে'

‌'শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কঠাগড়ায় দাঁড় করাতে হবে'

শেষ ম্যাচও জিততে চায় বাংলাদেশ

শেষ ম্যাচও জিততে চায় বাংলাদেশ

সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জামায়াতকে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে

সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জামায়াতকে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে

আইওসির কোচিং কোর্সে বাংলাদেশের মাহফিজুল

আইওসির কোচিং কোর্সে বাংলাদেশের মাহফিজুল

নাটোরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু

নাটোরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু

পটিয়ায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদ্ন্নুবী অনুষ্ঠিত

পটিয়ায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদ্ন্নুবী অনুষ্ঠিত

মীরসরাইয়ে কমছে পানি তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন

মীরসরাইয়ে কমছে পানি তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন

বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না

বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না

নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব

নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব

নেমে গেছে বানের পানি স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন

নেমে গেছে বানের পানি স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন

সভাপতি শওকত সম্পাদক মানিক

সভাপতি শওকত সম্পাদক মানিক

সংযোগ সড়ক ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামবাসী

সংযোগ সড়ক ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামবাসী

বাড়িভিটা হারিয়ে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ

বাড়িভিটা হারিয়ে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ

ভয়াবহ বন্যায় কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সর্বনাশ

ভয়াবহ বন্যায় কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সর্বনাশ

মাদরাসা শিক্ষার সংস্কার : একটি পর্যালোচনা

মাদরাসা শিক্ষার সংস্কার : একটি পর্যালোচনা