মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জড়িত
০৩ জুন ২০২৪, ১২:০০ এএম | আপডেট: ০৩ জুন ২০২৪, ১২:০০ এএম
মালয়েশিয়ায় হাজার হাজার বাংলাদেশী শ্রমিক ব্যাপকভাবে বিস্তৃত প্রতারণার শিকার হওয়ার পর দেশটির সরকারের বেঁধে দেয়া ৩১ মে-এর কঠোর সময়সীমা অনুসরণ করে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য বাংলাদেশ ছুটে আসেন। কিন্তু, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে কাজ করার জন্য দালালদের অত্যধিক খরচ প্রদান করা সত্ত্বেও ভিসা জটিলতা এবং প্রতারনার কারণে বহু বাংলাদেশী শ্রমিক দেশটিতে বৈধভাবে কাজ এবং কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠানোর সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
মালয়শিয়াতে বিদ্যমান নয়, এমন চাকরির জন্য অনেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অগ্রিম অর্থ প্রদান করেছিলেন। প্রতারিত হয়ে এখন মাশুল গুনছেন তারা। এটি তাদের ভ্রমণের ঋণ পরিশোধ করতে বা ভিসা অতিক্রান্ত হওয়ার কারণে অবৈধভাবে কাজ করতে বাধ্য করেছে, যা তাদেরকে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ, পাচার এবং শ্রম শোষণের ঝুঁকিতে ফেলেছে। জাতিসংঘ একে মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশ উভয় স্থানের অপরাধী চক্র হিসাবে বর্ণনা করেছে।
মালয়শিয়ায় প্রতারণার শিকার অভিবাসীদের প্রতি আচরণকে অসহনীয় এবং অসম্মানজনক আখ্যা দিয়ে জাতিসংঘ গত মাসে দেশটির কর্তৃপক্ষকে প্রধানত বাংলাদেশী অভিবাসীদের রক্ষা করার জন্য অনুরোধ করেছিল যারা ঋণের শৃঙ্খলে পড়েছে। জাতিসংঘের শ্রম বিশেষজ্ঞরা ১৯ এপ্রিল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা তথ্য পেয়েছি যে উভয় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা এই ব্যবসার সাথে জড়িত বা এটিকে উপেক্ষা করছেন। এটা অগ্রহণযোগ্য এবং সমাপ্ত হওয়া দরকার।
এদিকে, মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক রুসলিন জুসোহ বলেছেন যে, গত সপ্তাহে বিদেশি শ্রমিকদের আগমন প্রায় চারগুণ বেড়েছে। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘সাধারণত প্রতিদিন প্রায় ৫শ’ থেকে এক হাজার বিদেশি শ্রমিক আসতেন। তবে এই সংখ্যা, ২২ মে থেকে দৈনিক ২৫শ’ এবং ২৭ মে থেকে দৈনিক ৪ হাজার থেকে ৪৫শ’ বেড়েছে।
শ্রম অধিকার কর্মীরা সতর্ক করেছেন যে, মালয়েশিয়ায় ভুয়া চাকরির প্রলোভনের পিছনের অপরাধী চক্রগুলি নির্মূল করা হয়নি, যার অর্থ নবাগতরা বাধ্যতামূলক শ্রম এবং অন্যান্য ধরণের শোষণের ঝুঁকিতে রয়ে গেছে। স্বাধীন অভিবাসী শ্রমিক অধিকার বিশেষজ্ঞ অ্যান্ডি হল বলেছেন, ‘এই শ্রমিকদের মধ্যে অনেকেই আধুনিক দাসত্বের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।’
কুয়ালা লামপুর বিমানবন্দরে বিপুল ভিড়ের একটি অনলাইন ভিডিওতে দেখা গেছে যে, মালয়েশিয়ার প্রবেশের সময়সীমা অতিক্রম করতে ৬ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক তাড়াহুড়ো করছেন এবং তারা দেশটির জনসাধারণের কাছ থেকে কঠোর সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছেন, যারা প্রশ্ন তুলেছেন যে, কেন আরও অভিবাসী শ্রমিক দেশে প্রবেশ করছে।
মালয়েশিয়া কয়েক দশক ধরে বিদেশী শ্রমের উপর নির্ভরতা থেকে নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টা করছে এবং বছরে ২৫ লাখ ৫০ হাজার মিলিয়ন নতুন অভিবাসী শ্রমিক নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বাংলাদেশ ছাড়াও মায়ানমার, নেপাল এবং ইন্দোনেশিয়ার শ্রমিকরাও মালয়েশিয়া জুড়ে রেস্তোরাঁ, নির্মাণ খাত এবং পাম অয়েল বাগানে কাজ করে থাকেন।
বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধা’ হিসেবে পরিচিত স্বল্প-দক্ষ অভিবাসী শ্রমিকরা শুধুমাত্র এপ্রিলেই বাংলাদেশে প্রায় ২শ’ কোটি টাকা পাঠিয়েছে। বাংলাদেশের অভিবাসী কর্মী খাতে মালয়েশিয়া ষষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য হিসেবে স্থান পেয়েছে, যেখান থেকে প্রতিমাসে গড়ে ১শ’ ৩২ কোটি টাকার বৈদেশকি মুদ্রা আসে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
নতুন মামলায় গ্রেপ্তার সালমান-আনিসুল-শাহজাহান-সাদেক
কার্যকর হলো বাসে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া
আবারও রিমান্ডে সাবেক আইজিপি মামুন
লেবাননে স্মরণকালের হামলার পর জনগণকে ভিডিও বার্তা নেতানিয়াহুর
সাজেকে আটকা পড়া ১৪০০ পর্যটক পত্যাবর্তন
নরসিংদীতে রেলওয়ের ২ একর জায়গার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
বাঁচানো গেল না গুলিবিদ্ধ শিশু রাতুলকে, খুনি হাসিনার বিচার দাবি
ঝিনাইদহে মিনি ট্রাকের পিছনে বড় ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ২, আহত ১
অধিবেশনের ফাঁকে মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারির সঙ্গে বৈঠক পররাষ্ট্র উপদেষ্টার
বোয়ালমারীতে ইসলামী এজেন্ট ব্যাংকের নাম ভাঙ্গিয়ে অর্থ আত্মসাৎ দায় নেবেনা ইসলামী ব্যাংক
জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত, সুনামি সতর্কতা জারি
রোহিঙ্গা সংকট শুধু বাংলাদেশের একার উদ্বেগের বিষয় নয় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ক্ষতিকর ভারী ধাতু লাল শাকে বেশি, লিচুতে উচ্চমাত্রার কীটনাশক
নিরাপদ নয় অ্যাপেলের গ্যাজেটও, তথ্য ফাঁসের আশঙ্কায় সতর্কবার্তা ভারতের
ডুলহাজরায় ডাকাতের ছুরিকাঘাতে সেনা কর্মকর্তা নিহত, ৭ ডাকাত আটক
৬ বছরের শিশুর ধর্ষণ ঠেকাল বাঁদর বাহিনী!
চলতি হেমন্তকালই যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নির্ণয় করবে: জেলেনস্কি
নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস
লেবানন প্রবাসী বাংলাদেশিদের জরুরি বার্তা দূতাবাসের
দেড় বছরের মধ্যে দেশে নির্বাচন হতে পারে সেই ব্যবস্থা করব : সেনাপ্রধান