বাঁচানো গেল না গুলিবিদ্ধ শিশু রাতুলকে, খুনি হাসিনার বিচার দাবি (ভিডিওসহ)

Daily Inqilab সোশাল মিডিয়া ডেস্ক

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫০ এএম | আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৭ পিএম

বগুড়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দিয়ে গুলিতে আহত ষষ্ঠ শ্রেণির শিশু জুনাইদ ইসলাম রাতুল মারা গেছে।

৪৯ দিন ধরে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করা শিশুটি সোমবার সকালে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।

নিহত রাতুল বগুড়া উপশহরের পথ পাবলিক স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং ওই এলাকার মুদি দোকানি জিয়াউর রহমানের ছেলে।

রাতুলের বাবা জিয়াউর রহমান গণমাধ্যমকে ছেলের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, ৫ আগস্ট সকালে নাশতা না করে মায়ের নিষেধ সত্ত্বেও বোন জেরিন সুলতানা ও ভগ্নিপতি আমির হামজার সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যায় রাতুল। একটা সময় মিছিল নিয়ে তারা বগুড়া সদর থানার অদূরে ঝাউতলার কাছে পৌঁছায়। তখন বৈষম্যবিরোধী মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে আহত হয় রাতুল।

চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, রাতুল বেঁচে ফিরলেও চিরদিনের জন্য দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর বেঁচে ফেরা হলো না রাতুলের। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালে না ফেরার দেশে চলে যায় শিশুটি।

এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কঠিন সমালোচনা করেছেন স্বৈরাচার খুনি হাসিনার। নেটিজেনরা সবাই খুনি হাসিনার ফাঁসি দাবি করেন। সেই সঙ্গে তারা বলেন, প্রশাসন কিভাবে ছোট-ছোট বাচ্চাদের ওপর গুলি চালালো। আমাদের বুঝতে কষ্ট লাগে তারা কি কোনো মানুষ না অমানুষ। তাদের কি কোনো বাচ্চা নেই। প্রশাসনের এসব কর্তা ব্যক্তিদের অচিরেই আইনের আওতায় এনে ফাঁসি কার্যকর করুন।

একজন লিখেছেন, আল্লাহ ছাত্র আন্দোলনের সকল মৃত্যুকে কবুল করুন। জালেমদের বিচার দুনিয়াতে করুন।

আসিফ মাহমুদ নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, আল্লাহ আমার ভাইটিকে বেহেশত নসিব করুন। প্রত্যেকটা গুলি ও প্রতিটা লাশের হিসাব করে বিচার করতে হবে। নয়তো এদেশের বিপ্লবী ছাত্র জনতা এসবের বিচার করবে।

জসিম নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, তার পরিবারকে আল্লাহ তায়ালা ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দান করুন। এছাড়া সরকারিভাবে তার পরিবারকে সহায়তা করা হোক।

কেউ কেউ বলেছেন, স্বৈরাচার খুনি হাসিনা চেয়েছিল হাজার হাজার ছাত্র জনতাকে মেরে ক্ষমতায় থাকতে। অবশেষে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তিনি ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়। আমরা চাই ড. ইউনূস তাকে ফিরিয়ে এনে জনসম্মুখে ফাঁসি দেওয়া হোক।


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

নিকলী খেলাফত মজলিসের আলোচনা ও ইফতার অনুষ্ঠিত
পুরো মাহে রমজান উপলক্ষে ফ্রি ইফতার বিতরণ
আগামী নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে : সাঈদ সোহরাব
নেতাকর্মীদের মিলনমেলায় পূর্ণ  সিলেটে বিএনপি পরিবারের ইফতার মাহফিল
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হোক, তা আমরা চাই না: জিএম কাদের
আরও
X

আরও পড়ুন

নিকলী খেলাফত মজলিসের আলোচনা ও ইফতার অনুষ্ঠিত

নিকলী খেলাফত মজলিসের আলোচনা ও ইফতার অনুষ্ঠিত

পুরো মাহে রমজান উপলক্ষে ফ্রি ইফতার বিতরণ

পুরো মাহে রমজান উপলক্ষে ফ্রি ইফতার বিতরণ

দিল্লিতে বিচারপতির বাংলো থেকে টাকা উদ্ধার নিয়ে নতুন নাটক

দিল্লিতে বিচারপতির বাংলো থেকে টাকা উদ্ধার নিয়ে নতুন নাটক

বিষক্রিয়ার আশঙ্কা, ভারতের বাজার থেকে সরানো হল কয়েক হাজার কাশির ওষুধ

বিষক্রিয়ার আশঙ্কা, ভারতের বাজার থেকে সরানো হল কয়েক হাজার কাশির ওষুধ

আরও ২৯৫ ভারতীয়কে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

আরও ২৯৫ ভারতীয়কে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

আগামী নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে : সাঈদ সোহরাব

আগামী নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে : সাঈদ সোহরাব

ইউটিউব দেখে নিজেই নিজের পেট কেটে ১১টা সেলাই যুবকের!

ইউটিউব দেখে নিজেই নিজের পেট কেটে ১১টা সেলাই যুবকের!

জমানো টাকার যাকাত প্রদান প্রসঙ্গে।

জমানো টাকার যাকাত প্রদান প্রসঙ্গে।

রাস্তা সংস্কার চাই

রাস্তা সংস্কার চাই

ইতিকাফের ফজিলত

ইতিকাফের ফজিলত

অবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হোক

অবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হোক

হয়রানিমূলক মামলা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে

হয়রানিমূলক মামলা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে

প্রশ্ন : আমার মা গত ২০১৭ সালে দীর্ঘ দিন কিডনি, ক্যান্সারসহ নানা জঠিল রোগে ভুগে আমার উপর বেশ রাগ, অভিমান নিয়ে মারা গেছেন। মা খুব অসহায় অবস্থায় মারা যান। বড় সন্তান হিসেবে তার প্রতি দায়িত্ব পালন করিনি। অনেক অবহেলা করেছি, রাগারাগি করেছি, তার চিকিৎসাও ঠিকমতো করিনি। আমি এখন খুব মর্মাহত, ক্ষমা পাওয়ার উপায় আছে কি?

প্রশ্ন : আমার মা গত ২০১৭ সালে দীর্ঘ দিন কিডনি, ক্যান্সারসহ নানা জঠিল রোগে ভুগে আমার উপর বেশ রাগ, অভিমান নিয়ে মারা গেছেন। মা খুব অসহায় অবস্থায় মারা যান। বড় সন্তান হিসেবে তার প্রতি দায়িত্ব পালন করিনি। অনেক অবহেলা করেছি, রাগারাগি করেছি, তার চিকিৎসাও ঠিকমতো করিনি। আমি এখন খুব মর্মাহত, ক্ষমা পাওয়ার উপায় আছে কি?

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো কী বলছে?

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো কী বলছে?

মাহে রমজান : অর্জন-বর্জন ও ঈমান নবায়ন

মাহে রমজান : অর্জন-বর্জন ও ঈমান নবায়ন

রমজান : মুমিন হৃদয়ের বসন্ত

রমজান : মুমিন হৃদয়ের বসন্ত

মহাকাশে হীরার গ্রহের সন্ধান, অবাক নাসার বিজ্ঞানীদের

মহাকাশে হীরার গ্রহের সন্ধান, অবাক নাসার বিজ্ঞানীদের

রমজানের রোজা যেভাবে ফরজ হলো

রমজানের রোজা যেভাবে ফরজ হলো

অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণে যাকাতের ভূমিকা

অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণে যাকাতের ভূমিকা

মূকাভিনয় দিবসে মূকনাট্য ‘ম্যাকবেথ’

মূকাভিনয় দিবসে মূকনাট্য ‘ম্যাকবেথ’