ভারতে পালানোর সময় খুনি চক্রের ৪ জন গ্রেফতার
১৩ জুলাই ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৪, ১২:০৫ এএম
চট্টগ্রামের আলোচিত সাহেদ হোসেন মনা হত্যা মামলার চার আসামিকে হবিগঞ্জ জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার এড়াতে তারা ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিল। গতকাল শুক্রবার খুনি চক্রের ওই চারজনকে গ্রেফতারের তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার চৈঠপুর এলাকা থেকে তাদের ধরা হয়। তারা হলেন- প্রধান আসামি জুয়েল (৩৪), সহযোগী বশির (২৬), সাগর (২৮) ও জুয়েল ওরফে ছোট জুয়েল (২৫)।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ জোনের উপ-কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোস্তাফিজুর রহমান এই বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের লিডার হত্যাকারীরা ও মনা আগে এক পক্ষে থাকলে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি হয়ে আলাদা দুইটি পক্ষ তৈরি হয়। এ বিরোধের জেরেই মূলত মনার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা হত্যাকা-ের পরপরই চট্টগ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। হবিগঞ্জের সীমান্ত এলাকা দিয়ে তারা ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের হবিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান তিনি।
গত ৭ জুলাই রাতে কোতোয়ালি থানার স্টেশন রোড পাখি গলিতে ছুরিকাঘাতে খুন হন সাহেদ হোসেন মনা। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, অস্ত্রসহ অন্তত আটটি মামলা রয়েছে। গত বছরের ৯ জুলাই কোতোয়ালীর আমতল এলাকা থেকে মোবাইল ফোন ডিলারের দুই কর্মীকে পিটিয়ে ১০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন মনা। ওই মামলায় তিনি গ্রেফতারও হয়েছিলেন।
পুলিশ জানায়, ভাতের হোটেলের ব্যবসাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধের জেরে পূর্ব পরিচিতরা মনাকে ছুরিকাঘাত করে।
এ ঘটনায় মনার বাবা শাহ আলম গ্রেফতার জুয়েলকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন। হত্যাকা-ের পর পুলিশ সজীব ও ফরহাদ নামে দুই জনকে গ্রেফতার করে।
মনার বাবার করা মামলায় বলা হয়, মনা একসময় নিউ মার্কেট এলাকার হকার হিসেবে ব্যবসা করতেন। ওই সময় আসামিদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ঘটনার বর্ণনায় এজাহারে বলা হয়, মনার পূর্ব পরিচিতি এক ছেলের কাছ থেকে ১৫/২০ দিন আগে জুয়েল ও রহিম নামে দুজন মোবাইল ছিনিয়ে নেন। পরে মনা ফোন করেন জুয়েলের কাছে মোবাইল ছিনতাইয়ের বিষয়ে জানতে চান। জুয়েল সেসময় মারমুখী আচরণ করেন। মনা রোববার রাতে পোষা বিড়ালের খাবার কিনতে পাখি গলিতে গিয়েছিলেন। তখন জুয়েলসহ অন্যরা মনাকে মারধর করেন। একপর্যায়ে জুয়েল, সাগর, বশির ও শাকিল তাকে ছুরিকাঘাত করেন।
পুলিশ জানায়, ৭ জুলাই রাতে মনাকে খুনের পর দুই জুয়েল, বশির ও সাগর ঢাকা চলে যায়। সেখানে ফকিরাপুল এলাকার এক বাসিন্দার মাধ্যমে তারা অবৈধভাবে ভারতে চলে যাবার চেষ্টা করেছিল। ৮ জুলাই ফকিরাপুলে ওই ব্যক্তির বাসায় অবস্থান করে পরদিন বিকালে হবিগঞ্জ রওনা করে। সেখান থেকে তাদের গ্রেফতার করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
‘প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ বাধ্যতামূলকভাবে করতে হবে’
রাজনীতির মধ্যে ঢুকতে চায় না ইসি, ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু সোমবার
টিকটকের যুক্তরাষ্ট্রে পরিষেবা বন্ধ, আইনি নিষেধাজ্ঞার প্রভাব
ইউল্যাবের হাল্ট প্রাইজ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ
স্পিকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিকল্পনা করছিলেন হাসিনা : দ্য হিন্দু
আওয়ামী দুঃশাসনের যেন পুনরাবৃত্তি না হয়: রিজভী আহমেদ
সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি, আ.লীগের জয়জয়কার
নাম পাল্টিয়েও শেষ রক্ষা হলো না সাইফের আততায়ীর
থানায় বসে ঘুষ গ্রহণ: সেই এসআই প্রত্যাহার
জেলেদের দিক নির্ণয়ের জন্য বরগুনায় লাইট হাউজ স্থাপন
ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের অভিষেকের বিরুদ্ধে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ
বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের দুরবস্থা বর্ণনার বাইরে
বেনাপোলে ৩০ হাজার মার্কিন ডলারসহ ৪০ লাখ টাকার চোরাই পণ্য জব্দ
গাজায় যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ ‘অস্থায়ী’: নেতানিয়াহু
রক্তে প্লাবিত শরীর, সিংহের মতো তৈমুরের হাত ধরে হাসপাতালে সাইফ
বড়লেখায় যুবদল নেতাকে হত্যা
মার্কিন বিমানবাহী জাহাজে হামলার দাবি হুথির
সীমান্তের কাঁটাতার: কীসের, কেন আর কবে থেকে এই বেড়া?
জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে শীতার্ত মানুষের পাশে স্বেচ্ছাসেবক দল
নোয়াখালীর চৌমুহনীতে পাওনা টাকার দ্বন্দ্বে কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা