চট্টগ্রামে ডা. রবিউল হোসেন ও তার পুত্রের বিরুদ্ধে কিডনি চুরির মামলা
১৫ জুলাই ২০২৪, ১২:১২ এএম | আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৪, ১২:১২ এএম
চট্টগ্রামে এক চিকিৎসক পরিবারের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে সুকৌশলে কিডনি নিয়ে নেয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। গতকাল রোববার চট্টগ্রাম পঞ্চম মহানগর হাকিম আদালতে নগরীর বায়েজিদ এলাকার বাসিন্দা আবু বক্কর (৪৪) মামলাটি করেন। মামলার আসামিরা হলেন- চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল হোসেন, তার স্ত্রী খালেদা বেগম ও তাদের চিকিৎসক ছেলে রাজীব হোসেন। মহানগর হাকিম নুসরাত জাহান জিনিয়া অভিযোগ গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন- পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদির আইনজীবী অ্যাডভেকেট এহেসানুল হক হেনা। বাদী আবু বক্কর নগরীর বায়েজিদের ওয়াজেদিয়া এলাকার মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে।
মামলার অভিযোগে আবু বক্কর উল্লেখ করেন, তিনি বাড়িতে পশু পালন করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পূর্ব পরিচয়ের সুবাদে একদিন ডা. রাজীব হোসেন তার বাবা ডা. রবিউলের সঙ্গে আবু বক্করের পরিচয় করিয়ে দেন। এ সময় সিঙ্গাপুরে ডা. রবিউলের চিকিৎসা করানোর কথা বলে তাদের একজন অ্যাটেন্টডেন্ট প্রয়োজনের কথা জানানো হয় আবু বক্করকে। মানবিক দিক বিবেচনা করে তখন আবু বক্কর তাদের সঙ্গে অ্যাটেন্টডেন্ট হিসেবে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার প্রস্তাবে রাজি হন।
২০১২ সালে ১০ মার্চ ডা. রবিউল হোসেন, তার স্ত্রী খালেদা বেগম, ডা. রাজীব হোসেনসহ তিনি সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে পৌঁছে ডা. রবিউলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ডা. রাজীব হোসেন মামলার বাদীকে জানান তার বাবার অবস্থা ভালো না। তাকে সুস্থ করতে হলে যেকোনো মানুষ থেকে কিছু টিস্যু দিতে হবে। এ সময় টিস্যু দিলে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না বলে আশ্বস্ত করে বাদীকে টিস্যু দেয়ার অনুরোধ করেন ডা. রাজীব। বাদী মানবিক বিবেচনায় টিস্যু দিতে রাজি হন। পরে বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষার পর ডা. রবিউলের সঙ্গে বাদীর টিস্যুর মিল আছে জানিয়ে বাদীকে অপারেশনে রাজি করানো হয়।
ওই বছর ৩ এপ্রিল বাদীকে হাসপাতালে ভর্তির পর অপারেশন করা হয়। ৯ এপ্রিল তাকে হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ দেয়া হয়। একই বছরের ১৫ এপ্রিল বাদীকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বাদী টিস্যু দিয়ে জীবন বাঁচানোর কৃতজ্ঞতাস্বরূপ তাকে ডা. রবিউল হোসেন পরিচালিত প্রতিষ্ঠান পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতাল (চিটাগাং আই ইনফর্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্সে) চাকরি দেয়া হয়। ২০১৭ সালে শারীরিক দুর্বলতা ও অক্ষমতা দেখিয়ে বাদীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। এরপর দিনে দিনে বাদীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। গত ২৩ মে চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি আলট্রাসনোগ্রাফি করান। পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে তাকে চিকিৎসক জানান, তার ডান কিডনি নেই। চিকিৎসক মতামত দেন, সার্জারির মাধ্যমে তার ডান কিডনি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
মামলার আরজিতে আরো বলা হয়, কিডনি সরিয়ে ফেলার বিষয়টি জানার পর আবু বক্কর বিবাদীদের কাছে গেলে তাকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩০ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাউকে বিষয়টি না জানাতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু গত ১৩ জুন বাদী তাদের বাসায় গেলে উল্টো তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়। আসামিরা প্রভাবশালী। এই ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। ##
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে : তারেক রহমান
ঋণখেলাপিরা যাতে মনোনয়ন না পায় চেষ্টা করবো : মির্জা ফখরুল
অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবে না : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
টিসিবি’র এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিশ্চিতে কারখানা পরিদর্শন ভোক্তা অধিকারের
গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় কাউন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা
রাজধানীর তিন পার্কে ভেন্ডারের চুক্তি : শর্ত ভঙ্গের তদন্তে ডিএনসিসি
বাবা-মায়ের পুরোনো বাড়িতে যাই : শফিকুল আলম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি টাকা অনুদান
২০২৪ সালে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ভারতীয় ৭২ গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপতথ্য প্রচার
লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরো ৪৭
প্লাটফর্ম বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
শক্তিশালী অর্থনীতি ও গর্বিত জাতি গড়তে শহীদ জিয়ার দর্শন ধারণ করতে হবে : আমির খসরু
কী আছে তৌফিকার লকারে?
ঘটনার তিনদিন পর থানায় মামলা
অনিয়ম ঢাকতে তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের পাঁয়তারা
শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের দুরবস্থা
৯৬টি সিএনজি ভাঙ্গাড়ি হিসাবে সাড়ে ১১ লাখ টাকায় বিক্রি
৩১ দফা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে রূপগঞ্জে বিএনপির সমাবেশ