আদালতে স্বজনদের ভিড়
২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:০৩ এএম
বংশালে জুতার কারখানায় চাকরি করতেন আরমান (১৯)। থাকেন যাত্রাবাড়ি, রায়েরবাগ মেসে। ছেলে ‘নিখোঁজ’ শুনে কারফিউর মধ্যে পিতা মহরম পাটোয়ারি চাঁদপুর থেকে ছুটে এসেছেন কোর্টে। প্রথম কদমতলী, যাত্রাবাড়ি, ডেমরা, শ্যামপুর-সূত্রাপুর,ওয়ারি-সবগুলো থানায় খোঁজ নিয়েছেন। আরমানকে গ্রেফতারের কথা স্বীকার করেনি পুলিশ। গিয়েছিলেন ডিবি অফিসেও। আরমানের হদিস মেলেনি কোথাও। বিভিন্ন জনের পরামর্শে চলে আসেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। এখানে লোকে লোকারণ্য। চার-পাঁচটি প্রিজন ভ্যান এলোমেলো করে রাখা।
ভ্যানের গেট খুলতেই হ্যান্ডকাফ পরা ‘আসামি’দের নামানো হচ্ছে মুরগির মতো। ডানে-বামে তাকানোর সুযোগ না দিয়ে তাদের ঠেলে ঢোকানো হচ্ছে গারদে। একেকটি প্রিজন ভ্যান আসছে-অমনি মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে আপনজনের সন্ধানে। কারো ভাই, কারো সন্তান, কারো স্বামী। গেলো কয়েক দিনের ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র পর পুলিশ ও ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে এসেছে তাদের। মহরম এদের ভিড়ে সন্তানকে খুঁজে হয়রান। ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত-ক্ষুধার্ত এবং আশাহত মহরম গারদের এক পাশে বসে নারীদের মতো বিলাপ করছিলেন। ‘আমার বাপধন রে কই পামু!’। মহরম জানান, ৬ মাস হয় ছেলে আরমান জুতার কারখানায় চাকরি নিয়েছে। ঢাকার অলিগলি তেমন চেনে না। একই গ্রামের চাচাতো ভাই জুতার কারখানায় কাজে লাগিয়ে দেয়। একই সঙ্গে থাকতো ঢাকার রায়ের বাগ। গত সোমবার রাতে মেসে পুলিশ হানা দেয়। সেখান থেকে অনেককেই ধরে এনেছে পুলিশ। এর মধ্যে আরমানও থাকতে পারে বলে আশঙ্কা তার। কোথায়, কার কাছে গেলে ছেলেকে পাবেন- তিনি জানেন না। ছেলে কোথায় আছে-এ দুশ্চিন্তায় তিনি দিশেহারা।
দিলকুশা একটি কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মচারী শেখ ফরিদ (২০)। বাসা রাজধানীর মানিকনগর। ‘গ-গোল’র দিন ডিউটি শেষে বাসায় ফিরছিলেন। গোপিবাগ রেলক্রসিং পার হতেই পড়েন গোলাগুলির সামনে। চলছে ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ। কৌতূহলবশত সেই ভাঙচুরের ছবি ধারণ করেন মোবাইলে। গ-গোল এড়িয়ে শেখ ফরিদ বাসায় ফেরেন সেদিন। সদ্য কৈশোর পার হওয়া ফরিদের ঝোঁক ক্রিকেট খেলায়। কারফিউ শিথিল হলে এক বিকেলে তিনি গোলাপবাগ মিনি স্টেডিয়ামে যান খেলা দেখতে। এ সময় হঠাৎ পুলিশ হানা দেয়। শেখ ফরিদ এবং রাব্বি নামক আরেকজনকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। তাকে বেদম প্রহার করা হয়। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই সম্পৃক্ততা মেলে না তার। কিন্তু ধারণা করা ভাঙচুরের সেই যে ভিডিও সেটি পাওয়া যায় তার মোবাইলে। আর তাতেই তাকে ‘অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর আর নাশকতার মামলা’য় গ্রেফতার দেখিয়ে চালান করে দেয়া যাত্রাবাড়ি থানা পুলিশ। ঢাকা সিএমএম কোর্টে ছেলের জামিন চাইতে এসেছেন ফরিদের পিতা নূরুল ইসলামও। সারাদিন কোর্টে অপেক্ষা করেও জামিন করাতে পারেননি ছেলের। উকিল বলেছেন, সপ্তাহ দুই পরে পুনরায় জামিন চাইতে। নূরুল ইসলামের প্রশ্ন- আমার ছেলেতো রাজনীতি করে না। খেটে খাওয়া একজন শ্রমিক। ভাঙচুরের সঙ্গেও জড়িত নয়। পুলিশ তাহলে তাকে কেনো গ্রেফতার করলো ? গারদের সামনেই বুক চাপড়ে বিলাপ করছেন ফরিদের বৃদ্ধা মা। ‘আমার পোলারে আইন্যা দে...। কী দোষ করছে আমার পোলা..! পুলিশ ক্যান ওরে কাইল ধইরা লইয়া আইলো..!’ পাশেই একজন সান্ত¦না দিচ্ছেন, ‘ওর কিচ্ছু হইবো না ! এমনিতেই ছাড়া পাইবো..!’
শুধু আরমান কিংবা শেখ ফরিদের বাবা-মা’র বিলাপই নয়। এমনি শত শত স্বজনের বুকফাটা রোনাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে আদালতপাড়া। না, কোনো দাগী অপরাধী নয়। ছাত্র, শিক্ষক, মাঝ বয়সী, কারখানার কিশোর-শ্রমিক নির্বিশেষে চালান করা হচ্ছে আদালতে। সবার বিরুদ্ধেই প্রায় অভিন্ন অভিযোগ। এরা ভাঙচুর,অগ্নিসংযোগ, রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি নাশকতার মামলার ‘আসামি’। তাদের এক নজর দেখতে এবং আইনি প্রক্রিয়ায় ছাড়িয়ে নিতেই স্বজনদের এই আহাজারি। এখানে কে অপরাধী আর কে নিরপরাধ- এ প্রশ্ন করাটাই অবান্তর। পুলিশ কাউকে ধরেছেতো সে ‘অপরাধী’! এমন নির্বিচারের মধ্যে পড়েই বহু নিরপরাধের স্বজন এখন ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে জমিয়েছেন ভিড়।
কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় সারাদিন বাসায় ছিলেন। এমন তরুণ-কিশোর, ছাত্রÑশ্রমিকের হাতেও হাতকড়া। বাদ পড়েনি স্কুল ছাত্র। প্রতিবন্ধী কিশোরও। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভাঙচুর ও নাশকতা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে দল-মত, বয়স, শ্রেণিপেশা নির্বিশেষে ‘আসামি’ হিসেবে তোলা হচ্ছে আদালতে। অনেক স্বজন ছুটে এসেছেন থানা, র্যাব ও গোয়েন্দা হেফাজতে কোনো খোঁজ না পেয়ে। এইটুকুন নিশ্চিত হতে এসেছেন যে, পুলিশ কিংবা র্যাব হেফাজতে থাকলেও অন্তত প্রাণে বেঁচে আছে !
স্কুল ছাত্র-প্রতিবন্ধীরাও আসামি : ঢাকা সিএমএম আদালতের প্রধান ফটকের কাছেই দেখা মেলে পঞ্চম শ্রেণী পড়–য়া শিশু সিফাতের (১৫) পিতা নাসির উদ্দিন হাওলাদারের। ছেলেটা কোথায় আছে-সন্ধান পাচ্ছেন না। প্রতিবেশীর পরামর্শে এসেছেন আদালতে খুঁজতে। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, গরীব মানুষ আমি। তেজগাঁও বস্তিতে থাকি। ছেলে পড়ে পাগলারপুল আরবান সøাম আনন্দ স্কুলে। প্রত্যয়নপত্রে দেখা যায়, সিফাতের জন্ম ২০০৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর। নাসিরের একটাই জিজ্ঞাসা, ওইদিনতো আমি বাচ্চাকাচ্চা নিয়া সারাদিন ঘরেই ছিলাম। আমার ছেলেডারে ক্যান ধইরা আনলো? জনে জনে তার একটাই নিবেদন, আমার সন্তানের খোঁজ দ্যান ! ছেলেডারে খালি এক নজর দেখতে চাই !
সিজিএম ভবনের এককোণে জন্ম নিবন্ধন হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন আরেক শিশু আলআমীনের বাবা, দাদি ও বোন। নিবন্ধন অনুযায়ী ওর বয়স প্রায় ১৩ বছর। পরিবারের দাবি, ঘুমাতে যাবো এমন সময় রাত ১০টার দিকে আল-আমিনকে ধরে নিয়ে আসে পুলিশ। তাদের বাসা কদমতলী থানার কদমতলী এলাকায়। টাকার অভাবে পড়াশোনা করাতে পারেননি ছেলেকে। মহল্লার এক দোকানে ইলেকট্রিকের কাজ শিখতো আল-আমীন। কাজ শেখে পেটে-ভাতে। একদিন কাজে না গেলে মালিক খাওয়ার খরচ দেয় না। মহল্লার কারণে ‘গ-গোলের মধ্যে’ও ভয়ে ভয়ে কাজে গেছে। গত সোমবার কাজ থেকে আলামীন বাসায় ফেরে। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ পুলিশের হানা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আল-আমীনের হাতে পরানো হয় হাতকড়া। থানায় গিয়ে অনুনয় বিনয় করেও ছাড়ানো যায়নি। কাঁদতে কাঁদতে তার দাদি বলেন, পুলিশ বলছে আমার নাতি নাকি আন্দোলন করছে। আমার নাতি পড়ালেখা করে না। কে কোনো স্কুলের ছাত্রও না। ও আন্দোলন করবে ক্যান? কাজ করেই তো সময় পায় না ! একদিন কাজ না করলে আমাগো পেটে ভাত জোটে না। নাতিকে এক নজর দেখার জন্য গারদ খানার দিকে ছোটেন দাদি।
আদালত প্রাঙ্গণে আসা শারীরিক প্রতিবন্ধী আশিকের মা মোর্শেদার সেকী কান্না ! গত রোববার রাত থেকে ছেলের দেখা না পেয়ে পাগলপ্রায় তিনি। আইনজীবীদের কাছে ছেলেকে দেখার ব্যবস্থা করে দেয়ার করুণ আকুতি তার। মোর্শেদা জানান, তার ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী। প্যাকেজিংয়ের একটি কারখানায় কাজ করে। রাতে বাসায় যায় পুলিশ। কারণ জানতে চাইলে পুলিশ বলেন, আন্দোলনে ভাঙচুরের সঙ্গে নাকি আমার ছেলে জড়িত। অথচ আশিক ঠিকমতো হাঁটতেই পারে না। ১৬ বছর বয়স হলেও তার মানসিক বিকাশও ঘটেনি। রাজধানীর পূর্ব নাখালপাড়ার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোর্শেদা।
গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকার সিএমএম আদালত প্রাঙ্গণ ঘুরে লক্ষ্য করা গেছে এমন হৃদয়বিদারক চিত্র। কেউ বুক চাপড়িয়ে বিলাপ করছেন। কেউ হু হু করে কাঁদছেন অঝোরে। কেউবা সন্তানকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় ছুটছেন প্রিজন ভ্যানের পিছু পিছু।
জানাগেছে, রাজধানীর অন্তত ৫৩টি থানা থেকে গ্রেফতারকৃতদের কোর্টে চালান করা হয়েছে। ১৫-২০ মিনিট পর আদালতের গারদে এসে ভিড়ছে একেকটি প্রিজন ভ্যান। গাদাগাদি করে ভ্যানে ঢোকানো ‘আসামি’দের গারদে পোরা হচ্ছে পশু-পাখির মতো। হাতকড়া ও দড়ি দিয়ে বেঁধে তাদের তোলা হচ্ছে কাঠগড়ায়। আইনজীবীরা গ্রেফতারকৃতদের পক্ষে জামিন চাইছেন। কিন্তু পুলিশ বাদী হয়ে করা প্রায় সব মামলায়ই রয়েছে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ধারা। ফলে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে পাঠিয়ে দিচ্ছেন কারাগারে। কারাগারগুলো এখন নতুন ‘আসামি’তে তিল ঠাঁইহীন।
এদিকে রাজধানীসহ সারাদেশেই চলছে গণগ্রেফতার। বিশেষত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলাকালে যে নজিরবিহীন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে, সেই ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের কাউকে আর ছাড় না দেয়ার প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর শুরু হয় ব্যাপক গণগ্রেফতার। এই গণগ্রেফতারে পুলিশের বিরুদ্ধে ‘গ্রেফতার বাণিজ্য’র অভিযোগও রয়েছে। গ্রেফতার আতঙ্কে সাধারণ মানুষও ঘরে থাকতে পারছে না। বিশেষত নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী, মেহনতি মানুষের পারিবারিক জীবনে নেমে এসেছে বিপর্যয়। উপার্জনক্ষম একমাত্র পুরুষ ব্যক্তির গ্রেফতারে তাদের জীবনে নেমে এসেছে দুর্বিষহ অবস্থা। বিদ্যমান অথনৈতিক পরিস্থিতিতে একেতো নিম্নবিত্ত মানুষের ঘরে খাবার নেই। কর্মহীন বেকারদের হাতে কোনো কাজ নেই। এমন অবস্থায় পথে চলছে অনির্দিষ্টকালের কারফিউ। ঘরে গ্যাস-বিদু্যুৎ সংকট। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অগ্নিমূল্য। সব কিছু মিলিয়ে সাধারণ মানুষের এমনিতেই ত্রাহি দশা। এর মধ্যে গত কয়েক দিন যুক্ত হয়েছে গ্রেফতার ও পুলিশ আতঙ্ক। ছাত্র আন্দোলনের জেরে শিশু, কিশোর, তরুণ, বেকাররা পড়েছেন মহা বিপদে। বিশেষ করে যাদের ঘরে ১২ থেকে ২৫ বছর বয়সী শিক্ষার্থী ও ছেলে রয়েছে তাদের ভীতি আরো বেশি। আইন-শৃংখলা বাহিনীর গণ গ্রেফতারের ভয়ে অভিভাবকরা চরম আতঙ্কে রয়েছেন। এ চিত্র শুধু রাজধানীই নয়। বন্দর নগরী চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, বগুড়া, দিনাজপুর, বরিশাল, খুলনা, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের চিত্র প্রায় অভিন্ন। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে অন্তত ১০ হাজার মানুষকে। গ্রেফতার আতঙ্কে ঘরে থাকতে পারছে না অনেকে। এ মুহূর্তে ছাত্র আন্দোলনকারীদের মিছিল-বিক্ষোভ চোখে না পড়লেও কারফিউ জারি থাকায় আইন-শৃংখলা বাহিনীর তৎপরতা বেড়েছে। আন্দোলনের সময় ভয়ের মধ্যে থাকলেও গেলো কয়েকদিন ধরে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে পুলিশ। মোড়ে মোড়ে চালাচ্ছে তল্লাশি। শরীর, পকেট হাতাচ্ছে। মোবাইল ফোন হাতিয়ে নিয়ে চেক করছে। আন্দোলনের কোনো ছবি কিংবা ভিডিও ফুটেজ থাকলেই কোনো কথা নেই। হাতকড়া পরিয়ে তুলে নিচ্ছে ভ্যানে। যদিও সেনাবাহিনীর টহল চলছে। এর ফাঁকে ফাঁকে চলছে পুলিশী তল্লাশি। যে সব এলাকায় বিক্ষোভ, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও সংঘাত সংঘর্ষ বেশি সংঘটিত হয়েছে সেসব এলাকার বাসা-বাড়ি ও মেসবাড়িতে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালাচ্ছে। সন্দেহজনক কাউকে পেলেই ধরে নিয়ে যাচ্ছে। পুলিশের নয়া গ্রেফতার আতঙ্কে মানুষের ঘুম রীতিমতো হারাম হয়ে গেছে। পুলিশের হাতে ধরা পড়া স্বজনদের অসহায় আর্তনাদের ঢেউ গিয়ে আছড়ে পড়ছে আদালতের বারান্দায়। কাকে কোন্ ফাঁকে নিঃশব্দে পুলিশ তুলে নিয়ে যাচ্ছে, সেটি টের না পেলেও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এলে আন্দাজ করা যায় গ্রেফতারের হার। শত শত নয়। হাজার হাজার মানুষকে করা হয়েছে গ্রেফতার। গ্রেফতারকৃতদের জামিন শুনানিতে আইনজীবীদের রুদ্ধশ্বাস ছোটাছুটি বেড়েছে।
ঢাকা বারের সিনিয়র আইনজীবী মাহবুবুর রহমান বলেন, অনেক আন্দোলন দেখেছি। আন্দোলনের পর গণগ্রেফতারও দেখেছি। কিন্তু এবারের মতো এতো অধিক সংখ্যক গ্রেফতার কখনো দেখিনি। তিনি বলেন, এলাকার রেফারেন্সে আসামির অভিভাবকরা যোগাযোগ করেন। কম বয়সী ছোট ছোট ছেলেদের ধরে নিয়ে আসা হচ্ছে। ফি’র কথা চিন্তা না করে মানবিক কারণে তাদের জামিনের জন্য কাজ করছি।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
দেশের মানুষ আর ভোট বিহীন সরকার দেখতে চায় না - আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী
সর্বদলীয় সভায় অংশগ্রহণে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বিএনপি
কিশোরগঞ্জে ভূয়া মানবাধিকার চক্রের ৯ সদস্য আটক
ভারতের বক্তব্যে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তীব্র প্রতিক্রিয়া
লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতা ফয়েজ হত্যা : শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনের নামে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
ঢাকা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়ক বালিতে বায়ু দূষণ, অতিষ্ঠ জনসাধারণ
‘কর্মের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে নিজেদেরকে মর্যদাশীল করা সম্ভব’
ডা. ফয়েজ হত্যা: শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল
সাইফের শরীরে একাধিক অস্ত্রোপচার, ডাকাত সন্দেহে আটক ৩
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদের গেজেট প্রকাশ
টুইটারের পর এবার টিকটক কিনছেন মাস্ক?
বর্ধিত ১৫% ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে নরসিংদীতে রেস্তোরা মালিক সমিতির মানববন্ধন
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে সউদী আরব
সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার
বাম চোখের পরিবর্তে ডান চোখে অপারেশন, চিকিৎসক গ্রেফতার
টিউলিপকে দুর্নীতিবাজ বলে আখ্যা দিলেন ইলন মাস্ক
এনআইডি স্বরাষ্ট্রে নেওয়ার আইন বাতিল করতে প্রস্তাব
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ নেবে না এলডিপি
ফুডি অ্যাপে ডোমিনোজের পিৎজা অর্ডার করলেই ৪০% ছাড়!
ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় গ্রেপ্তার নিয়ে যা জানালেন দুই উপদেষ্টা