লক্ষ্মীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান টিপুসহ আ. লীগ ও যুবলীগের ৭১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, লক্ষ্মীপুর থেকে

১৫ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৩ এএম

লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় দায়িত্বরত পুলিশের কাজে বাধা, পুলিশ বক্স ভাঙচুর ও আট পুলিশ সদস্যকে আহত করার ঘটনায় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপুকে প্রধান আসামি করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৭০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সদর থানায় মামলাটি করা হয়েছে বলে সদর মডেল থানার ওসি ইয়াছিন ফারুক মজুমদার। সালাহ উদ্দিন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার আলোচিত সাবেক মেয়র প্রয়াত আবু তাহেরের ছেলে।

কোটা আন্দোলনকে ঘিরে গত ৪ আগস্ট সংঘর্ষে পুরো লক্ষ্মীপুর শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। টানা ৬ ঘণ্টা ধরে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি বর্ষণ করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিনসহ তার বাহিনী। এতে শহীদ হয়েছেন ৪ শিক্ষার্থীসহ ১২ জন। আহত হয়েছেন অনন্ত শতাধিক। এর মধ্যে অধিকাংশই গুলিবিদ্ধ। শহীদ চার শিক্ষার্থী হলেন- লক্ষ্মীপুর ভিক্টোরিয়া কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী সাদ আল আফনান (১৯), লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কাউসার ওয়াহেদ বিজয় (২৩), শিক্ষার্থী ওসমান গনি (২৩), দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মো. সাব্বির।

পুলিশ জানান, গত ৪ আগস্ট মাদাম ব্রিজ ও ঝুমুর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয় ছাত্র-জনতা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ লক্ষ্মীপুর আদালতের সামনে দায়িত্বরত ছিল। মামলার অভিযুক্ত ব্যক্তিরা মিছিল নিয়ে পুলিশের কাজে বাধা সৃষ্টি করেন। একপর্যায়ে হামলা চালিয়ে আট পুলিশ সদস্যকে আহত করেন। ঘটনার সময় তাদের হামলায় ছাত্র-জনতাও আহত হয়। শহরের বিভিন্ন এলাকায় তারা দফায় দফায় হামলা চালান।
সদর থানার ওসি ইয়াছিন ফারুক মজুমদার বলেন, ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর সালাহ উদ্দিনসহ আসামিরা আত্মগোপনে চলে যান। তাদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে।

বিভাগ : জাতীয়