নিজাম হাজারীকে প্রধান আসামি করে আরো একটি হত্যা মামলা

ফেনী জেলা সংবাদদাতা

১৫ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৩ এএম

ফেনীর মহিপালে গত ৪ আগস্ট আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলিতে নিহতের ঘটনায় আরো একটি মামলা হয়েছে। ওইদিন মহিপাল পাসপোর্ট অফিসের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন শিক্ষার্থী জাকির হোসেন শাকিল (২১)। গত মঙ্গলবার রাতে তার মা কোহিনুর আক্তার বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় ৭১ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ১৫০-২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যা মামলায় ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল, ফেনী পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান করিম উল্ল্যাহ বিকম ওরফে (রেন্সু করিম), যুবলীগ নেতা জিয়া উদ্দিন বাবলু, শর্শদি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জানে আলম, পৌর কাউন্সিলর কোহিনুর আলম রানা, লুৎফুর রহমান খোকন হাজারী, যুবলীগ নেতা শরীফ হাজারী, আবদুল জলিল আদর, সাইফুল ইসলাম পিটু, সোনাগাজী পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন আরো অনেকে।
ফেনী মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, এ ঘটনায় দুইজন বাদী হয়ে থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

নিহত শাকিল সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের মান্দারি গ্রামের নাজির সওদাগর বাড়ির সউদী প্রবাসী আবদুল লতিফের ছেলে। তার মা কোহিনুর আক্তার জানান, আমার তিন ছেলেকে নিয়ে আমি মহিপাল সার্কিট হাউজের পাশে ভাড়া বাসায় থাকতাম। আমার স্বামী জীবিকার তাগিদে দুই বছর আগে সউদী আরবে যান। শাকিল আমার বড় ছেলে। পড়ালেখার পাশাপাশি তাকে ড্রাইভিং শিখাই। আশা ছিল তাকে বিদেশ পাঠিয়ে দিব। কিন্তু আমার সে আশা পূর্ণ হতে দিল না তারা। আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।

এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে মহিপালে নিহতদের মধ্যে অটোরিকশাচালক মো. সবুজের ভাই মো. ইউসুফ বাদী হয়ে ৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ফেনী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায়ও নিজাম উদ্দিন হাজারীকে প্রধান আসামি করা হয়।

বিভাগ : জাতীয়