হাসিনার বিরুদ্ধে আরো তিন মামলা
২০ আগস্ট ২০২৪, ১২:১০ এএম | আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২৪, ১২:১০ এএম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বিএনপি নেতাসহ তিনজনকে হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে তিনটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা তিনটি করা হয়। এর মধ্যে দুটি মামলা ঢাকার মিরপুর মডেল থানা পুলিশকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ এবং অন্য মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিন মামলায় মোট আসামি সংখ্যা ২২৮ জন। এছাড়া অজ্ঞাতনামা অনেককে আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গায় শেখ হাসিনা ও আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যাসহ নানা অভিযোগে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। বিএনপি নেতা হত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৬৭ আসামি: কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ঢাকা মহানগর উত্তরের ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ কবির খানকে হত্যার মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৬৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসানের আদালতে এ মামলাটি করেন নিহতের স্ত্রী আফসানা ইসলাম (৩৫)। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। এ মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সাবেক সেতুমন্ত্রী মো. ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাঈনুল হোসেন খান নিখিল, সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী মো. কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক সংসদ সদস্য মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মান্নান কচি ও যুবলীগ নেতা মেসবাউল আলম সাচ্চু।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায় আইডিয়াল স্কুলের সম্মুখে ছাত্র-জনতা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন। এসময় ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ কবির খান আন্দোলনে আহত ছাত্রদের সহযোগিতা করে রিকশায় তুলে চিকিৎসার জন্য পাঠাচ্ছিলেন। সেসময় শেখ হাসিনার নির্দেশে পুলিশ গুলি চালালে তিনি নিহত হন।
হাসিনাসহ ১৪৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা:বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে মিরপুরে লিটন হাসান লালু ওরফে হাসান নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ১৪৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে নিহত হাসানের ভাই মিলন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আদালত মিরপুর মডেল থানা পুলিশকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খান (নিখিল), ইলিয়াস মোল্লা, কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল-মামুন, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিআইজি হারুন-অর-রশীদ, অতিরিক্ত যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার, ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্যসচিব এস এম মান্নান (কচি)।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়, দেশে মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলাকালে লিটন হাসান লালু গত ৪ আগস্ট মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। দুপুর ২ টার দিকে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আব্দুল্লাহ আল-মামুন, হারুন-অর-রশীদ, আসাদুজ্জামান খান কামাল, বিপ্লব কুমার ও হাবিবুর রহমানের নির্দেশে অন্যান্য আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ৩০০ জন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলি করে। অজ্ঞাত আসামির ছোড়া বুলেটে হাসান গুলিবিদ্ধ হন। পরে ৭ আগস্ট আগারগাঁও নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার তদন্তে পিবিআই: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় কাঠমিস্ত্রি তারিক হোসেনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারহা দিবা ছন্দার আদালতে তারিকের মা মোসা. ফিদুশি খাতুন এ মামলা দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলায় আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিআইজি হারুন-অর-রশীদ, অতিরিক্ত যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার। বাদীপক্ষের আইনজীবী লিটন মিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে শেরেবাংলা নগর থানার সামনে রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হন তারিক হোসেন। তাকে দ্রুত পার্শ্ববর্তী শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৯ আগস্ট তিনি মারা যান।
হাসিনা কাদের হাছান নওফেলসহ ২৫০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিতে এক কলেজছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ ২৫০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। রোববার রাতে নিহত কলেজছাত্র ওয়াসিম আকরামের মা জোছনা বেগম বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলাটি করেন।
মামলার অন্যান্য আসামির মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, বর্তমান মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশিষ পাল, সাবেক যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাস সুমন, চান্দগাঁও ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসরারুল হক, কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনি, গিয়াস উদ্দিন, মোবারক আলী, নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম জাকারিয়া দস্তগীর, লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম প্রমুখ।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, নিহত ওয়াসিম আকরামের মা বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। মামলা এজাহারে বলা হয়, গত ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনে বাদীর ছেলে ওয়াসিম আকরাম নগরীর মুরাদপুর এলাকায় কর্মসূচিতে অংশ নেন। মামলার আসামিদের নির্দেশে ও নেতৃত্বে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করা হয়। তারা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালায়। গুলিতে বাদীর ছেলে ওয়াসিম আকরাম নিহত হন। মামলার বাদী জোছনা বেগম বলেন, আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। হত্যার নির্দেশদাতা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
বিগত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল নগরীর ষোলশহর এলাকায়। তার আগের দিন ঢাকায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রতিহত করার নির্দেশ দেন ছাত্রলীগের কর্মীদের। তিনি আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীদের ইঙ্গিত করে দম্ভের সাথে বলেন , নব্য রাজাকারদের দমনে ছাত্রলীগই যথেষ্ট। তার এই ঘোষণার পর ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও মাঠে নামে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা। তারা প্রকাশ্যে দিবালোকে অস্ত্র উঁচিয়ে নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি বর্ষণ করে। এতে ওয়াসিম আকরামসহ তিন জন নিহত এবং শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। নিহত চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী ওয়াসিম আকরাম ছাড়াও অপর দুইজন হলেন- ওমর গণি এমইএস কলেজের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ শান্ত, মুরাদপুর এলাকার স্টিল ফার্নিচার দোকানের শ্রমিক মো. ফারুক। ওই ঘটনায় নিহত আরো দুই জনের পরিবারের পক্ষ থেকেও মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। এর আগে গত শনিবার কোটা সংস্কার আন্দোলনে নগরীর বহদ্দারহাটে গুলিতে নিহত তানভির সিদ্দিকীর চাচা বাদী হয়ে নগরীর চান্দগাঁও থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ ৮০ জনকে আসামি করা হয়।
কুমিল্লায় সাবেক এমপি বাহার-মেয়র সূচনাসহ ৬২ জনের নামে মামলা
স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে জানান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কুমিল্লার কোটবাড়ি নন্দনপুরে মাসুম মিয়া নামে একজন নিহতের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। রোববার রাতে দায়ের করা মামলায় কুমিল্লা- ৬ আসনের সাবেক এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও তার জ্যেষ্ঠ কন্যা কুসিক মেয়র তাহসীন বাহার সূচনাসহ ৬২ জনের নাম উল্লেখ করে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
গতকাল সোমবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার ওসি মো. আলমগীর ভূঁইয়া জানান, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার দিশাবন্দ এলাকার মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে আবদুল হান্নান বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ৬২ জনের নাম উল্লেখসহ ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলা এজহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর রামপুরের শাহিন মিয়ার ছেলে মাসুম মিয়া কুমিল্লার সদর দক্ষিণ থানার কোটবাড়ি নন্দনপুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষে নিহত হন। প্রথমে তার পরিচয় না পাওয়ায় তাকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়। পরে নিহতের ছবি দেখে লাশ সনাক্ত করে তার পরিবার। মামলায় আসামিদের সবাই সাবেক এমপি বাহারের ঘনিষ্ঠ এবং তার নিয়ন্ত্রিত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ও চিহ্নিত ক্যাডার, অস্ত্রবাজ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। মামলায় প্রধান আসামি সাবেক এমপি বাহার ও ২ নম্বর আসামি করা হয় তারই কন্যা কুসিক মেয়র সূচনাকে। এছাড়া আরো ৬০ জনের নাম উল্লেখ করে মামালাটি করা হয়।
আশুলিয়ায় সাবেক এমপি, ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪০ জনের নামে হত্যা মামলা
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে পিটিয়ে, গুলি করে ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে ঢাকা-১৯ আসনের (সাভার-আশুলিয়া) সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আরো অনেককে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার সকালে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএফএম সায়েদ মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরআগে রোববার রাতে মামলাটি দায়ের করেন আশুলিয়ার বাইপাইলে নিহত শিক্ষার্থী আস-সাবুরের মা মোছা. রাহেন জান্নাত ফেরদৌসী।
নিহত আস-সাবুর (১৫) মায়ের সাথে আশুলিয়ার শিমুলতলা এলাকায় বসবাস করতো। সে স্থানীয় শাহীন স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। মামলায় আস সাবুরের বাবার নাম ও ঠিকানা উল্লেখ নেই।
মামলায় ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন, আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন মাদবর, ইয়ারপুর ইউপি চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ সুমন ভুইয়া ও তার বোন জামাই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী রুবলে আহমেদ ভুইয়া ওরফে জামাই রুবেল, আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার, ঢাকা জেলা পরিষদের সদস্য এনামুল হক মুন্সী, আশুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হেলালার মাদবর, আশুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেনসহ ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আস-সাবুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিতে বাসা হতে বেরিয়ে বাইপাইলে যায়। দুপুর তিনটা পর্যন্ত আস-সাবুরের সাথে তার মায়ের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হয়। কিন্তু তারপর থেকে তার সাথে আর যোগাযোগ করতে পারেনি তার মা। সেদিন রাতেও সে বাসায় ফেরেনি। পরেরদিন বিকাল ৫টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইল মোরে আস-সাবুরের ক্ষত-বিক্ষত পোড়া লাশ পেয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর থানা এলাকার বাড়িতে নিয়ে যায়। পরদিন ৭ আগস্ট সকালে জানাজা শেষে মহাদেবপুর কেন্দ্রীয় করস্থানে লাশ দাফন সম্পূর্ণ করে তার পরিবার।
এজাহারে আরো বলা হয়, পরবর্তীতে খোঁজ খবর নিয়ে নিহতের পরিবার জানতে পারেন, গত ৫ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এক থেকে দেড় হাজার আন্দোলনকারী বাইপাইলে অবস্থান নেন। এ সময় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসীরাসহ অজ্ঞাতনামা আরো আসামিরা দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীসহ যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই এলোপাতাড়ি পিটিয়েছে ও গুলি করেছে। তখন আস-সাবুর দৌড়ে পালানোর সময় আসামিদের হাতে ধরা পড়ে গেলে তারা লাঠি দিয়ে এলোপাথারী মারপিট ও গুলিবর্ষণ করে হত্যার পর আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এতে আস-সাবুর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরণ করে।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, নিহতের মায়ের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় ৪০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো অনেকেই আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
শাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু : সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ, ভিসি, প্রো-ভিসি, প্রক্টরসহ আসামি ৭৬
শাবি সংবাদদাতা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে আহত হওয়ার পর ছাত্রলীগ ও পুলিশি অভিযান আতঙ্কে খাল পার হতে গিয়ে পানিতে ডুবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুদ্র সেনের মৃত্যুর ঘটনায় ৭৬ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
গতকাল সোমবার সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব, সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মো. কবীর হোসেন, কামরুজ্জামান চৌধুরী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক এমপি রনজিত সরকারসহ ৭৬ জনকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করেন শাবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলাম। রুদ্র সেন শাবির কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি দিনাজপুরের পাহাড়তলীতে। মামলার বাদী শাবি শিক্ষার্থী হাফিজুল রহমান বলেন, মামলার বিষয়ে রুদ্রের পরিবারের সঙ্গে আমাদের সহযোদ্ধারা কথা বলেছে। গত ১৮ জুলাই রুদ্র শহীদ হয়। পুলিশ এবং ছাত্রলীগ আক্রমণের ফলে এটা ঘটেছে। এর আগে সে আহত ছিলো। আমরা এখন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আমরা চাই এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হয়ে বিচার হোক।
সাতক্ষীরায় সাবেক দুই পুলিশ সুপারসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের
সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা জানান, সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, তৎকালীন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেল কাজী মনিরুজ্জামান (বর্তমান এসপি পদমর্যাদা) সাতক্ষীরা সদর থানার তৎকালিন অফিসার ইনচার্জ মো. ইনামুল হকসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নম্বর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন, মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রঘুনাথপুর গ্রামের মফিজ উদ্দিন এর ছেলে। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল শহরের কামালনগরের একটি মেসে তৎকালি ছাত্র শিবিরের শহর সেক্রেটারী আমিনুর রহমানকে ( বাদীর ভাই) হত্যাসহ সাতজনকে গুলি করার অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরার তৎকালীন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (বর্তমান এসপি পদমর্যাদা) কাজী মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইনামুল হক, ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনারুল ইসলাম রনি, যুবলীগ নেতা এস. এম ইউসুফ সুলতান, ডিবির আলি হোসেন, কামালনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মোকছেদ সরদারের ছেলে মো. বাবর আলী, আবুল কাশেম (এস.আই),হুমায়ূন কবীর (এস.আই), বিধান কুমার বিশ্বাস (এস.আই), ইয়াছিন আলী (এস.আই), লিটন বিশ্বাস (এ.এস.আই), জাহাঙ্গীর আলম, বেলায়েত হোসেন, জিল্লুর রহমান, বাবুল হোসেন, ফারুক হোসেন, শেখ আলম, আব্দুল হান্নান (এস.আই), হান্নান শরীফ (এস.আই), আবুজার গিফারী, (এস.আই) হাবিবুর রহমান, রাসেল মাহমুদ, ওমর ফারুক, আব্দুর রহমান, আবিদুর রহমান, আসাদুজ্জামান, বদরুল আলম, তৎকালীন জেলা গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তা।
আদালতে বাদী পক্ষের আইন জীবী অ্যাড. আবুল কালাম বাবলা বলেন, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল শহরের কামালনগরের একটি মেসে পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, কাজী মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইনামুল হকের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনার নামে তৎকালি ছাত্র শিবিরের শহর সেক্রেটারী আমিনুর রহমানকে গুলি করে হত্যা করে। এসময় মেসে থাকা আরো ৭ জনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে মারাত্মক জখম করে। রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে পুলিশ তখন আমাদের মামলাটি আমলে নেয়নি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় আদালতের কাছে প্রার্থনা করেছি। মামলা করেছি। তিনি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। আদালতের বিচারক নয়ন বড়াল মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানার ওসিকে এফ আই আর ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
কুষ্টিয়ায় হানিফসহ ৭৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
বিশেষ সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া থেকে জানান, কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নিহতের ঘটনায় আরো একটি হত্যা মামলা হয়েছে। মামলায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
হামলায় নিহত ইউসুফ শেখ কুষ্টিয়া শহরের চর থানাপাড়া এলাকার মৃত এদাত আলীর ছেলে। তিনি কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে চাকরি করতেন। ৫ আগস্ট দুপুরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
নিহত ইউসুফের মেয়ে মোছাঃ সীমা বাদী হয়ে রোববার দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলাটি করেন। মামলায় মাহবুবউল আলম হানিফকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও মামলায় হানিফের চাচাতো ভাই সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা,জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি রবিউল ইসলাম, সহ-সভাপতি কুষ্টিয়া জজ কোটের পিপি অ্যাড.অনুপ নন্দী,সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, কোষাধ্যক্ষ অজয় সুরেকা, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাইজাল আলী খানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ মামলায় মোট ৭৫ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিহতের মেয়ে সীমা এজাহারে উল্লেখ করেছেন,বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যে গত ৫ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আমার বাবা ইউসুফ শেখ তার কর্মস্থল হইতে বাসায় ফেরার পথিমধ্যে কুষ্টিয়া শহরের ফায়ার সার্ভিস অফিসের সামনের নূর টেইলার্স গলির ভেতরে পৌঁছালে এজাহারনামীয় আসামিরা আমার বাবাকে দেখিয়া ধাওয়া করে। এরপর হানিফ ও তার চাচাতো ভাই আতার নির্দেশে আসামিরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহফুজুল হক চৌধুরী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলার আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আব্দুল্লাহ নামে এক কিশোর নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মাহবুবউল আলম হানিফকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
কলাপাড়ায় সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীসহ ১৫১ জনের নামে মামলা
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিএনপি নেতাকর্মীদের মারধর ও বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমানকে প্রধান করে ও ৫১ আওয়ামী লীগ নেতার নাম উল্লেখ সহ আজ্ঞাতনামা আরো ১০০ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় বর্তমান ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং পৌর মেয়রের নাম নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। গত রোববার রাতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান বিশ্বাস বাদী হয়ে কলাপাড়া থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত বছরের ৩০ আগস্ট রাত ৮টার দিকে আসামিরা বিএনপি কার্যালয়ে প্রবেশ করে নেতাকর্মীদের মারধর, চেয়ার টেবিল ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এছাড়া বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ করে বিএনপি কার্যালয়ের টিভি ও সকল সিলিং ফ্যান লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধিত হয়। কলাপাড়া থানার ওসি তদন্ত মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মামলা রুজু করা হয়েছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ঢাবি ও বণিক বার্তার যৌথ আয়োজনে ৮ম নন-ফিকশন বইমেলা শুরু আগামীকাল
মঠবাড়িয়ায় মালয়শিয়া প্রবাসীর ঘরে ডাকাতি, বৃদ্ধাসহ ৩ নারী আহত
টুইটার থেকে এক্স ,ইলন মাস্কের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নতুন যুগ
বিপুল পরিমাণ গাঁজা, ট্রাক ও ধানসহ নকলার মাদক কারবারিকে ফুলপুরে আটক
বিপিএলে অনিশ্চিত সাকিব নাম লেখালেন পিএসএলে
আলফাডাঙ্গায় চলছে হালি পেঁয়াজ লাগানোর মহোৎসব, শ্রমিকের অভাবে বাড়ছে চাষির খরচ
শ্রীনগরে পুকুর থেকে ভাসমান বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
কলকাতায় দেশদ্রোহী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকা চিন্ময়ের আইনজীবী এবার জাতিসংঘে যাওয়ার হুমকি দিলেন
রোববার হারিছ চৌধুরীর পুনর্দাফন
চলছে বিক্ষোভ, তারেক রহমানকে স্মারকলিপি, জবির অন্যান্য সংগঠনের প্রতিবাদ
চীনে তৈরি হবে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ বাঁধ
কোহলির আরও বড় শাস্তি প্রাপ্য ছিল: পন্টিং
বান্দরবানে আগুন দিয়ে ১৭ ঘর পুড়ে দেয়ার সাথে জড়িত দের ছাড় দেয়া হবে না- পার্বত্য উপদেষ্টা
জাহাজ সেভেন মার্ডারের খুনি ধর্মান্তরিত ইরফানের অজানা কাহিনী
খুলনার তাবলীগ মসজিদ এলাকায় সেনাবাহিনীর টহল
দেশে কি চাঁদাবাজি বন্ধ হয়েছে? জামায়াত আমীরের প্রশ্ন
ভারতে ইসকন মন্দিরে চিন্ময়ের আইনজীবীর বৈঠক
নির্বাচনে অংশ নিতে খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের আইনগত কোনো বাধা নেই : অ্যাটর্নি জেনারেল
শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের নৌ ধর্মঘট, বন্ধ রয়েছে পায়রা বন্দরের পণ্য খালাস কার্যক্রম
বিএনপির সংস্কার চায় না, এ কথাটি সঠিক নয়: মির্জা ফখরুল