পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের প্রথম শুক্রবার গতকাল রাজধানীসহ সারাদেশের মসজিদে ছিল মুসুল্লিদের উপচে পড়া ভিড়। বিশেষ করে তরুণদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। আরবি এ মাসটি মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত ফজিলতের মাস। এ মাসের ১২ তারিখ প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স,) এর জন্ম ও ওফাত দিবস। যাকে মুসলমানরা পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী হিসাবে পালন করে। তাই এ মাসটি মুসমানদের ইবাদতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঈদে মিলাদুন্নবীকে সামনে রেখে প্রতিটি মসজিদের এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া ছাত্র-জনতার সফল বিপ্লবের পর দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্ববর্তীকালীন সরকারের সাফল্য কামনায় মসজিদে মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়েছে।

রাজধানীতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম আজানের কিছুক্ষণের মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। এরপর মুসুল্লিরা উত্তর এবং দক্ষিণ গেটের সড়িতে দাঁড়িয়ে এবং বাইরে খোলা জায়গায় নামাজ পগেছেন। শুধু বায়তুল মোকাররম নয়, মহাখালির মসজিদে গাউসুল আজস, গুলশানের আজাদ মসজিদসহ অন্যান্য সব বড় বড় মসজিদেও মুসুল্লিদের বাইরে নামাজ পড়তে হয়েছে। এ ছাড়া পাড়া মহল্লার মসজিদগুলোতেও ছিল মুসুল্লিদের ঢল। পাঁচ-তলা ছয়তলা সা মসজিদ পূর্ণ হয়েও মুসুল্লিরা রাস্তায় নামাজ পড়েছেন।

শাহজাহানপুর আমতলা জামে মসজিদে দেখা গেছে কয়েক হাজার মুসল্লি। ছয়তলা মসজিদের পুরোটা পরিপূর্ণ হওয়ার পর মুল্লিরা মসজিদের সামনের এবং পাশের রাস্তায় ছট বিছিয়ে নামাজ পড়েছেন। আগত মুসুল্লিদের মধ্যে তরুণদের সংখ্যাই বেশি। মহল্লার মসজিদের হঠাৎ করে তরুণদের এত বেশি উপস্থিতির কারণ কি? পাশের মুসুল্লির কাছে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি তার মতো একটা ব্যাখ্যা দিলেন। তিনি বলেন, বিগত জুলাই ও ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সারা দেশে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। ওই আন্দোলনে হাজার মানুষ জীবন দিয়েছে। এরপর ৫ আগস্ট আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এতদিন মানুষ যে দু:শাসনের মধ্যে ছিল তার অবসান হওয়ায় সবাই এখন প্রাণ ভরে দ্বিতীয় মুক্তির স্বাদ উপভোগ করছে। বিশেষ করে তরুণদের নেতৃত্বে এই ফ্যাস্টিট সরকারের পতন হওয়ায়তে তারা এখন খুবই খুশি। এ কারণে তারা এখন অনেক দায়িত্বশীলতারও পরিচয় দিচ্ছে। সামাজিক বিভিন্ন ভাল কাজে তারা মনযোগি হচ্ছ্,ে পাশাপাশি মসজিদেও আসছে।