সাভারে ফুটপাত ব্যবসায়ীদের ভয় দেখিয়ে চাঁদা নিচ্ছে আওয়ামী লীগ অনুসারীরা
২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৯ এএম | আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৯ এএম
ঢাকার সাভারের বিভিন্ন ব্যস্ততম সড়কের পাশে ফুটপাথের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ভয় দেখিয়ে চাঁদা নিচ্ছে আওয়ামী লীগের অনুসারীরা। হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে ফুটপাতের ‘চাবি’ ছিল আওয়ামী লীগ নেতাদের হাতে। তখন অবৈধ দোকানের ভাড়ার টাকা গুনতেন আওয়ামী লীগ নেতারা। এমনকি টাকার ভাগ যেত সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের পকেটেও। হাসিনা সরকারের পলায়নের পর স্থানীয়ও আওয়ামী লীগ নেতারা গা ঢাকা দিলে কিছুদিন বন্ধ ছিল চাঁদা তুলা। হঠাৎ করে আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুসারীরা ব্যবসায়ীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করছে। কেউ চাঁদার টাকা দিতে না চাইলে তাকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করছে চাঁদাবাজরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাভার বাসস্ট্যান্ড, হেমায়েতপুর স্ট্যান্ড, গেন্ডাস্ট্যান্ড, আমিনবাজার, নবীনগর, নয়ারহাট, বাইপাইল, জিরানীবাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ফুটপাত দখল, চাঁদাবাজি, উৎপাত সবই আছে আগের মতো। কয়েকটি স্থানে হাত বদল হয়েছে। তবে বেশিরভাগ জায়গার ফুটপাতের চাঁদা তুলছে আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুসারীরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাঁদাবাজ একই আছে শুধু বদলেছে চাঁদা তুলার ধরন।
সরেজমিনে জিরানী কাঠপট্টি এলাকাঘুরে ও মল্লিক মার্কেটের ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে আশুলিয়ার জিরানী বাজার এলাকার ফুটপাত থেকে সাইফ সরকারের লোকজন প্রতি দোকান থেকে মাসে ২ হাজার ৫শ’ করে টাকা নিতো। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কিছুদিন কেউ চাঁদা তুলা বন্ধ থাকলেও এখন আবার নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে।
ফুটপাতের ব্যবসায়ী মনিরুল, ইমাম আলী, নুরু, সোবাহানসহ অনেকেই বলেন, ফুটপাতের চাঁদাবাজ চক্র আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এই এলাকায় ফুটপাত থেকে প্রতিনিয়ত চাঁদা তুলেন আলম, সাইফুল, তাহারুল, মিরু, রাশেদুল, সাইফ মোয়াজ্জেমসহ আরো কয়েকজন।
ফুটপাত ব্যবসায়ীরা জানায়, দাবিকৃত চাঁদার টাকা দিতে না পারায় কয়েকদিন আগে আমাদের কয়েকজন ব্যবসায়ীকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করেছে চাঁদাবাজরা। এই চাঁদাবাজদের কবল থেকে পরিত্রানের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন।
অপরদিকে আশুলিয়ার জিরানী বাজারের ব্যবসায়ী আলহাজ আনোয়ার মল্লিক ওরফে কালু মল্লিক অভিযোগ করেছেন, শনিবার রাতে তাদের জায়গাসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের জন্য লাঠিসোঠা নিয়ে আজিম মোল্লা, দেলোয়ার হোসেন, জসিম, বছির, চাঁন মিয়া, শাকিল ও তাদের লোকজন অবস্থান নেয়। তখন ও ব্যবসায়ীর ম্যানেজার আতিকের সাথে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়।
এসব বিষয়ে জানতে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
জুলাই হতাহতের বিচার আদৌ হবে কিনা সংশয় স্বজনের মধ্যে
হরিণাকুন্ডুতে যুবদল সভাপতির উপর গুলি অল্পের জন্য রক্ষা
সচিবালয়ে আগুন, টঙ্গী হত্যাকাণ্ড ও ইসকনের আস্ফালন একই সূত্রে গাঁথা : যুব সমাবেশে মাওলানা মামুনুল হক
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে :পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
সেই সুখরঞ্জন বালির ভারতে গুমের লোমহর্ষক কাহিনী
খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন শাস্তি হলে হাসিনার সুযোগ নেই :অ্যাটর্নি জেনারেল
থার্টি ফাস্ট নাইট নিষিদ্ধ করতে হবে আইন করে :জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ান
হাসিনা-জয়ের ৩০০ মিলিয়ন ডলার যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের প্রমাণ পেয়েছে এফবিআই
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের রহস্য নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন
সংস্কারের সঙ্গেই নির্বাচন প্রস্তুতি
‘রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে বিকল্প সোলার সিস্টেম চালু করুন’
আসিফ মাহমুদের হেলিকপ্টারে ছয় দিনে ২৮ বার সফর বিতর্ক
বন্ধ রয়েছে পায়রা বন্দরে পণ্য খালাস কার্যক্রম
ডেঙ্গুতে মৃত্যুহীন ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৫৩
নববর্ষ উদযাপনে ৭ বছরে শব্দদূষণ বেড়েছে ৭৪ শতাংশ
হাসিনা পরিবারের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরুর পরই সচিবালয়ে আগুন : রিজভী
হাসিনার ফ্যাসিজম নিয়ে সস্তা কথা টিকবে না : শফিকুল আলম
চাঁদপুর মেঘনায় ড্রেজারসহ ২৮ জন আটক
ব্যাট হাতেও উজ্জ্বল অভিষিক্ত বশ,চালকের আসনে দক্ষিণ আফ্রিকা
১৬ বছরের অভিনেতার অকাল প্রয়াণে হলিউডে শোকের ছায়া