পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর ফারুকীকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করুন -হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ
১২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক এক বিবৃতিতে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে অন্তর্ভুক্ত করায় আমরা হতবাক হয়েছি। তিনি শাহবাগী নাস্তিক্যবাদীদের দোসর।
দেশের আধ্যাত্মিক রাহবার, হেফাজত আমির শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.)-কে তেঁতুল হুজুর বলে ব্যঙ্গ করে চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন তিনি। যা ক্ষমা করা যায় না। তাকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হেফাজত নেতৃদ্বয় বলেন, বিগত সরকার মুজিববাদকে পুঁজি করে একটি ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিল। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেই জালেম শাসকগোষ্ঠীর পতন নিশ্চিত হয়। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীসহ একাধিক উপদেষ্টা সেই পতিত আওয়ামী সরকারের দোসর। বিভিন্ন সময়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানা উপায়ে শেখ হাসিনা সরকারের প্রশংসা করেছেন, সমর্থন জুগিয়েছেন। এছাড়া সজীব ওয়াজেদ জয়ের ঘনিষ্ঠ সাবেক তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ ফ্যাসিস্ট সরকারের একাধিক নেতার ঘনিষ্ঠ ছিলেন ফারুকী। এ ছাড়াও তিনি গণঅভ্যুত্থানের পর সেই শাসনের প্রতীক সংস্কারের পক্ষে আওয়াজ তুলে এক প্রকার ফ্যাসিবাদীদের পক্ষে নিজের অবস্থান পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন।
যা দেশবাসীর দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। তিন জুলাই বিপ্লবে হাজারো ভাইয়ের রক্তের বিনিময়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ক্ষমতায় এদেশের ছাত্র-জনতাসহ আলেম ওলামারা সম্মিলিতভাবে বসিয়েছে। তারা আরো বলেন, দুঃখের বিষয় হলোÑ এই সরকারও ফ্যাসিবাদীদের পুনর্বাসনে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যারা আমাদের ভাইদের হত্যা করেছিল, তাদের বিচার এখনো হয়নি। এর বদলে তারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চালাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, আমাদের সন্তানরা জীবন দিয়ে ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করেছে। ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করলে এদেশের আপামর তৌহিদি জনতা আপনাদেরকেও ক্ষমা করবে না। নেতৃদ্বয় আরো বলেন, দেশে কি যোগ্যতাসম্পন্ন লোকের অভাব পড়েছে? ফারুকীর মতো একজন নাট্যকারকে কোন যুক্তিতে উপদেষ্টা নিয়োগ দেয়া হয়েছে তা দেশবাসী জানতে চায়? আমাদের বক্তব্য স্পষ্টÑ জাতীয় মুনাফিক, গাদ্দার, নাস্তিক, মুরতাদ ও শাহবাগীদের অনুসারী, সমকামিতার পৃষ্ঠপোষক, ফ্যাসিস্টের দোসর কাউকে আমরা উপদেষ্টা পরিষদে দেখতে চাই না। শহীদ ভাইদের রক্তের সাথে বেঈমানি করে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে কখনোই তা মেনে নেয়া হবে না।
অপর দিকে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, সমকামিতা, লিভটুগেদার ও পরকীয়া প্রমোটকারী চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে উপদেষ্টার পদ থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। রুচি ও চিন্তা ভ্রষ্ট কোনো মানুষকে উপদেষ্টা দেখতে চায় না দেশবাসী। ফারুকীর মতো অসুস্থ মানসিকতার লোককে উপদেষ্টা বানানোর জন্য হাজার হাজার ছাত্র-জনতা জীবন দেয়নি। জীবন দিয়েছে দেশপ্রেমিক আদর্শ নাগরিকদের মাধ্যমে একটি নতুন কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য। সেই আদর্শ নাগরিকদের মাধ্যমেই পরিচালিত হবে বাংলাদেশ। আওয়ামী সুবিধাভোগী, দোসর ফারুকী দেশের নাগরিক হলেও উচ্ছিষ্টভোগী বিদেশি অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের ব্যস্ত থেকেছে। চলচ্চিত্র নির্মাতা হয়েও জাতীয় চেতনা, বোধ, বিশ্বাস ও জাতিসত্তাকে ধারণ করে নাটক-সিনেমার মাধ্যমে সুস্থ ধারার বিনোদন দিতে যে ব্যর্থ হয়েছে সে কিভাবে উপদেষ্টা হয়, তা আমাদের বোধগম্য নয়। এ জন্য আমরা অন্তর্র্র্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাবো অতিসত্ত্বর মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে উপদেষ্টা থেকে প্রত্যাহার করুন। যাকে তাকে ধরে এনে উপদেষ্টা বানাবেন না। উপদেষ্টা বানানোর আগে দেখবেন দেশ, জাতি-মানবতার জন্য তার কী অবদান রয়েছে।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, অশ্লীলতা প্রসারকারী মোস্তফা সরয়ার ফারুকী কোন বিবেচনায় উপদেষ্টা হলেন? জুলাই বিপ্লবের সময়ে উনি ফ্যাসিবাদবিরোধী স্টাটাস দিয়েছিলেন তাই?
তাহলে যারা ফ্যাসিবাদের আমলে নির্যাতিত, দেশান্তরি হয়েছেন তাদেরকেও ধরে এনে উপদেষ্টা বানান! একই প্রশ্ন শেখ বশির উদ্দিনের ক্ষেত্রেও। সেও আওয়ামী লীগ আমলে সুবিদাভোগী। তাকে কোন বিবেচনায় উপদেষ্টা করা হলো? যাকে আপনার ভালো লাগে, যার সাথে আপনাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে তাকে রাষ্ট্রীয় পদে পদায়িত করার জন্য জনতা রাজপথে লড়াই করেনি।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
আমরা একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই: হাসনাত আবদুল্লাহ
যুবদল কর্মী হত্যার ঘটনায় ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যাচার ও শিবির সভাপতির উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ
এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ
টাঙ্গাইলে ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
শিক্ষা ও গবেষণায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
মানুষের দুর্দশা মোচনে সরকারকে মনোযোগ দিতে হবে
সেনাবাহিনী ক্ষমতার বিকল্প সত্তা নয়
লিভ টুগেদার ইস্যুতে এবার স্বাগতাকে উকিল নোটিশ
ফিলিস্তিনের সমর্থনে ইস্তাম্বুলে লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ
ব্যাপক গোলাগুলিতে নিউইয়র্কে আহত ১০
গাজায় জনসংখ্যা কমেছে ৬ শতাংশ
আইএসের পতাকা উড়িয়ে হামলা, নিহত বেড়ে ১৫
নোয়াখালীতে কৃষি জমির মাটি কাটায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
ইসরাইলি পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করলেন ইয়োভ গ্যালান্ট
ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত
আশা জাগানিয়া প্রত্যাশা করা বড়ই কঠিন : গুতেরেস
মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে উন
শেনজেন অঞ্চলের পূর্ণ সদস্য হলো রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া
প্লাস্টিক দূষণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে : পরিবেশ উপদেষ্টা
১৫% ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করুন: মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ