ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

’৭১-এ জামায়াতের ভূমিকা ভুল প্রমাণ হলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইব -ডা. শফিকুর রহমান

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম

’৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতের ভুমিকা যদি সন্দেহাতীতভাবে ভুল প্রমাণ হয় তাহলে দলটি জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে বলে জানিয়েছেন জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, একাত্তরে যারা ভারতে চলে গিয়েছিল তাদের জন্য পরিস্তিতি একরকম ছিল; আর যারা দেশে ছিল তাদের জন্য অন্যরকম অবস্থা ছিল। দেশে থাকাদের হয়তো পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হতো না হয় তাদের পক্ষে থাকতে হতো। এমন অবস্থায় যারা সরাসারি যুদ্ধ করেনি তাদের অনেকের অবস্থান পাকিস্তানিদের পক্ষে ছিল। যা আর পরবর্তীতে আলোচনা হয় না। আলোচনা শুধু জামায়াত নিয়ে। গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বাংলা মিডিয়ার সাংবাদিকরা এতে অংশ নেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতের রাজনৈতিক পজিশন কেমন ছিল, বর্তমান জামায়াতের অবস্থানটা কী সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের (জামায়াত) অবস্থান ছিল আসলে, আনফরচুনেটলি পাকিস্তানিরা আমাদের উপর একটা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল। এটা কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ ইনভাইট করে আনেনি। ভুট্টু সাহেব তার একগুয়েমির কারণে পাকিস্তানকে একটা অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন। এবং সেখানে ইয়াহিয়া খান তার কাছে কার্যত অসহায় আত্মসমর্পন করেছেন। বাংলাদেশের জনগণের জন্য এর বাইরে কিছু করার ছিলও না। তখন যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়া ছাড়া। হ্যাঁ, যদি সেই সময় জামায়াতের কোনো নেতা কোনো অপরাধ করে থাকেন তার যদি বিচার হয়, আমার কোনো বক্তব্য নাই, তার বিচার হোক। এবং সেই বিচারে কোনো শাস্তি হয় তাতেও আমার কোনো বক্তব্য নাই।

কিন্তু একজন অপরাধ না করে শুধু রাজনীতির কারণে যদি তিনি ভিক্টিমাইজড হন এটা এর চাইতে বড় অপরাধ। এই নির্দিষ্ট অপরাধ করার জন্য যেটা হতো তার শাস্তি-একজনকে অন্যায়ভাবে ভিক্টিমাইজড করা এর চাইতে বড় অপরাধ। এবং সেইটিই আমরা মনে করি হয়েছে। এই বিচারের (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্র্যাইবুনালে জামায়াত নেতাদের বিচার) ব্যাপারে অনেকেই আপত্তি তুলেছেন। আমি জাস্ট বৃটেনের কোর্টের একটা বিষয়ে আপনাদের সামনে কোট করবো। চৌধুরী মইনুদ্দিনের বিচারের ব্যাপারে এখানকার জাজরা একটা অবজারবেশন দিয়েছেন। ইটস এ জেনোসাইড অফ জাস্টিস। এই বিচারের মাধ্যমে বিচারকে হত্যা করা হয়েছে। বিচারের গণহত্যায়িত হয়েছে। দিজ ইজ রিয়েলিটি। আমরা এই সমস্ত পেইন নিয়ে আছি। ১৫ বছর (ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামল) আমাদের অফিসে একদিন আমাদের বসতে দেয়নি। কথা বলতে দেয়নি। আমরা এদেশের (বাংলাদেশ) নাগরিক, একটা বৈধ পার্টি। আমাদের একটা র‌্যালি অর্গানাইজ করতে দেয়া হয়নি। আমাদের কথা নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে যেতে পারি নাই। তাদের মাধ্যমে জাতিকে বলতে পারিনি। সাংবাদিকদের মনের কথাগুলো আমরা শুনতে পারি নাই। তাদের মাধ্যমে জাতির কথা আমাদের কাছে আসবে এটাও পথ বন্ধ ছিল। ফলে আমাদের সকল ইন্টারেকশন বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।

এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের আমীর বলেন, এই ৫ আগস্টের পর থেকে আগস্ট মাসে আমরা একটু সামান্য সুযোগ পেয়েছি। এখন যেমন আমাদের কথা বলতে পারছি। আপনাদের কথাগুলো শুনতে পারছি। এভাবে যখন মিউচুয়াল ইন্টারেকশন আমাদের বেশি বেশি করে হবে তখন আমাদের ব্যাপারে মিস প্রোপাগান্ডা এবং মিথ যেগুলো আছে ইনশাআলাহ, আশা করি দূর হবে। আর আমরা যদি কোনো ভুল করে থাকি সত্যিই যদি, এটা উইদাউট অ্যানি কোশ্চেন, এটা যদি প্রমাণ হয় সন্দেহাতিতভাবে আমি দায়িত্ব নিচ্ছি- আমি ক্ষমা চাইবো জাতির কাছে ইনশাআল্লাহ। এ ব্যাপারে আমার কোনো দূর্বলতা নাই।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে দেখা করলেন ভুটান রাষ্ট্রদূত
বিদায় বেলা ঢাকায় আসছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিধান থাকছে না আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে
১২ বছর পর আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা না পালালে বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে টুকরো টুকরো করে ফেলতো’
আরও

আরও পড়ুন

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে দেখা করলেন ভুটান রাষ্ট্রদূত

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে দেখা করলেন ভুটান রাষ্ট্রদূত

ইয়েমেন টনক নাড়িয়ে দিয়েছে মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের

ইয়েমেন টনক নাড়িয়ে দিয়েছে মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের

মহাখালীতে রিকশা চালকদের অবরোধ : ট্রেন চলাচল বন্ধ

মহাখালীতে রিকশা চালকদের অবরোধ : ট্রেন চলাচল বন্ধ

মহাখালীতে রেললাইনে ব্যাটারিচালিত রিকশা রেখে চালকদের অবরোধ, শহরজুড়ে তীব্র যানজট

মহাখালীতে রেললাইনে ব্যাটারিচালিত রিকশা রেখে চালকদের অবরোধ, শহরজুড়ে তীব্র যানজট

ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন পাচার হওয়া ২৪ নারী-পুরুষ

ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন পাচার হওয়া ২৪ নারী-পুরুষ

ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল নিয়ে যা বলছে নেটিজেনরা

ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল নিয়ে যা বলছে নেটিজেনরা

উ.কোরিয়ার চিড়িয়াখানায় সিংহ ও বাদামী ভাল্লুক উপহার দিলেন পুতিন

উ.কোরিয়ার চিড়িয়াখানায় সিংহ ও বাদামী ভাল্লুক উপহার দিলেন পুতিন

"আমি 'স্টারবাকস বর্জন করি আপনাদেরও করা উচিত"

"আমি 'স্টারবাকস বর্জন করি আপনাদেরও করা উচিত"

যানজটে স্থবির ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ভোগান্তি চরমে

যানজটে স্থবির ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ভোগান্তি চরমে

বিসিএস কর্মকর্তা হওয়ার স্বপ্ন আর পূরণ হলো না জাবির শিক্ষার্থী রাচির

বিসিএস কর্মকর্তা হওয়ার স্বপ্ন আর পূরণ হলো না জাবির শিক্ষার্থী রাচির

লাওসে বিষাক্ত মদের বিষক্রিয়ায় পর্যটকের মৃত্যু

লাওসে বিষাক্ত মদের বিষক্রিয়ায় পর্যটকের মৃত্যু

বিদায় বেলা ঢাকায় আসছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি

বিদায় বেলা ঢাকায় আসছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি

ইউক্রেন যুদ্ধ,রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত প্রতিযোগিতা!

ইউক্রেন যুদ্ধ,রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত প্রতিযোগিতা!

রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক আটকে বিক্ষোভে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা : চরম ভোগান্তি

রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক আটকে বিক্ষোভে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা : চরম ভোগান্তি

সেন্ট মার্টিন যাওয়ার ট্রাভেল পাস যেভাবে পাবেন

সেন্ট মার্টিন যাওয়ার ট্রাভেল পাস যেভাবে পাবেন

রাসিকের মাষ্টাররোলে নিয়োজিত ১৬১ কর্মীকে অব্যাহতি, ৩৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ

রাসিকের মাষ্টাররোলে নিয়োজিত ১৬১ কর্মীকে অব্যাহতি, ৩৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ

সিরিয়ার পালমিরা শহরে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলায় নিহত ৩৬, আহত ৫০

সিরিয়ার পালমিরা শহরে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলায় নিহত ৩৬, আহত ৫০

অস্ট্রেলিয়ায় প্রস্তাবিত শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ কার্যকর হবে কি?

অস্ট্রেলিয়ায় প্রস্তাবিত শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ কার্যকর হবে কি?

ক্ষেপণাস্ত্রের পর এবার ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে স্থলমাইন ব্যবহারের অনুমতি দিলেন বাইডেন

ক্ষেপণাস্ত্রের পর এবার ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে স্থলমাইন ব্যবহারের অনুমতি দিলেন বাইডেন

রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিধান থাকছে না আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে

রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিধান থাকছে না আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে